শহরে পুরসভা নির্বাচনের মুখে আলিপুরদুয়ার শহরের পাশে অসম রেল গেটের উপর উড়ালপুল তৈরির দাবি নিয়ে এলাকার মানুষের আবেগ নিয়েই ফের শুরু হল রাজনৈতিক চাপানউতোর। রেল প্রতিমন্ত্রী কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী রবিবার এখানে এসে বলেন, ওই উড়ালপুল তৈরি করতে ২৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রেল। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব অবশ্য অন্য একটি সভায় মন্তব্য করেছেন, “অধীরবাবু হোমওয়ার্ক করে আসেননি। ওই উড়ালপুলের জন্য ২২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। তার অর্ধেক আবার দেবে রাজ্য সরকারই।” গৌতমবাবুর বক্তব্য, “কিন্তু কাজই শুরু করা যাচ্ছে না কেননা রেল এখনও পূর্ত দফতরকে তার অনুমতি দেয়নি।” কিছু দিন আগে শহরে রেলের জমিতে বসবাসকারী বহু মানুষের হাতে উচ্ছেদের নোটিস ধরিয়ে দেয় রেল দফতর। রেলের সেই সিদ্ধান্তকে হাতিয়ার করে তৃণমূল রেলের বিরুদ্ধে প্রচারে নামে। এ দিন অধীর আশ্বাস দেন, “কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না।” এ দিন স্টেশন রোডে বক্তৃতা দেওয়ার সময় অধীর বলেন, “নোটিস যারা পেয়েছেন, তাঁরা কোনও ভয় পাবেন না।”
অধীর বলেন, “দিদি ভোট আসলে অনেক কথাই বলেন। বহু প্রতিশ্রুতি দেন। তা বাস্তবে রূপান্তরিত হয় না। বেকার ভাতা দেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিলেও ১৭ লক্ষ বেকার ভাতা পাচ্ছেন না। পুর নির্বাচনে পুলিশকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল মস্তানি করছে বলে অভিযোগ করেন অধীর। তৃণমূলের উদ্দেশে তিনি বলেন, “তোমরা মস্তানি করলে আমরাও মস্তানি করতে জানি, কিন্তু মস্তানি করে ভোটে জেতা যায় না।”
মন্ত্রী গৌতমবাবু অবশ্য বলেন, “তৃণমূল কোনও মস্তানি করছে না। আর বেকার ভাতা নিয়ে বিধানসভায় বিল পাশ হলে সমস্যার সুরাহা হয়ে যাবে খুব অল্প দিনের মধ্যেই।” কংগ্রসে সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য অবশ্য বলেন, “এই এলাকায় কংগ্রেস পরিচালিত পুরসভা অনেক কাজ করেছে। যা করেছে তা কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে লোকজনকে জানিয়ে দিয়েছে। কেউ চ্যালেঞ্জ করতে পারেননি।” পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রসের খারাপ ফলাফলের প্রসঙ্গে প্রদীপবাবুর ব্যাখ্যা, “পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা হারিনি, আমাদের হারতে হয়েছে তৃণমূলের পেশি শক্তির কাছে।” |