তরুণী বধূর আত্মহত্যার অভিযোগের পরে ১৫ দিন কেটে গেলেও মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষুব্ধ মৃতার পরিবার। অভিযোগের তদন্তে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে মৃতার পরিবারের তরফে। প্রয়োজনে শিলিগুড়ি পুলিশের ভূমিকা নিয়ে সরাসরি রাজ্য পুলিশের উপর মহলে অভিযোগ জানানোর জন্য চিন্তা ভাবনা করছে মৃতার পরিবার।
পুলিশ জানিয়েছে, গত ৩১ অগস্ট রাতে দেশবন্ধুপাড়ায় বাপের বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে এক তরুণীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁর একটি ১৩ পাতার নোটও উদ্ধার করে পুলিশ। ওই নোটে মৃতা যে আঁকার স্কুলে কাজ করতেন তার কর্ণধার সোমেশ ঘোষের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা ছাড়াও যৌন হয়রাণি, কুপ্রস্তাব দেওয়া এবং হুমকির অভিযোগ রয়েছে। সোমেশের স্ত্রী, বাবা-সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধেও তাঁকে ফোনে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ লিখে যান ওই তরুণী। তার ভিত্তিতে শিলিগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার মা। ঘটনার তদন্ত শুরু করে সোমেশের বাবা তুষারকান্তিকে গ্রেফতার করলেও মূল অভিযুক্ত পলাতক বলে পুলিশ দাবি করেছে।
এদিকে মৃতার জামাইবাবু বলেন, “এতদিন পরেও একজন অপরাধীকে কেন ধরতে পারছে না পুলিশ তার জবাব দিতে হবে তাদেরই। অন্যথায় আমরা উপরমহলে যাব।”
১১ সেপ্টেম্বর রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের শিলিগুড়ির জন শুনানিতে পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ জানায় মৃতার পরিবার। অভিযোগ শুনে ১৪ দিনের মধ্যে পুলিশের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় কমিশন। রবিবার পর্যন্ত কমিশনের চিঠি পাওয়া যায়নি বলে শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার কারলিয়াপ্পন জয়রামন জানিয়েছেন। কমিশনার বলেন, “মানবাধিকার কমিনশনের কোনও চিঠি বা নির্দেশনামা আমি এখনও পাইনি। তবে অভিযুক্তের খোঁজ চলছে। তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ সঠিক নয়।” মৃতার পরিবারের মতো পুলিশের ভূমিকা নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন দার্জিলিং জেলা লিগাল এড ফোরামের সম্পাদক অমিত সরকার। তিনি বলেন, “পুলিশ মূল অভিযুক্তকে ধ রতে গাফিলতি করছে। পুলিশের আরও সক্রিয় হওয়া প্রয়োজন। কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁদের কাজ করা উচিৎ।” পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির ৪ নম্বর কমিটির সম্পাদক বেবি সমাদ্দার দাবি করেন, “অভিযুক্তের গ্রেফতারের পাশাপাশি যে কটি অভিযোগ রয়েছে সবগুলিতেই মামলা করতে হবে পুলিশকে।” |