আজীবন নির্বাসনের ‘অদ্ভুত’ শাস্তি নিয়ে ভারতীয় বোর্ডের বিরুদ্ধে আদালতে যাবেন বলে জানিয়ে দিলেন শ্রীসন্তের আইনজীবী। তাঁর আইনজীবী রেবেকা জন মনে করছেন, বোর্ডের শাস্তি স্বাভাবিক ন্যায়বিচারের সম্পূর্ণ বিরোধী। রেবেকার কথায়, “দিল্লি পুলিশের কিছু সদস্যের সঙ্গে ব্যক্তিগত আলোচনা এবং আদালতে পেশ করা পুলিশের চার্জশিটের উপর ভিত্তি করে বোর্ড তাদের রায় দিয়েছে। ওদের উচিত ছিল আদালতের রায়ের জন্য অপেক্ষা করা, শ্রীসন্তদের বিরুদ্ধে প্রমাণ আদৌ আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট কি না।”
শ্রীনিবাসনকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করতেও ছাড়েননি রেবেকা। তাঁর দাবি, “এই শাস্তির একটাই কারণ শ্রীনিবাসন দেশের মানুষকে বোঝাতে চাইছিলেন যে উনি এই বিষয়টা কড়া হাতে সামলাচ্ছেন। তাই কয়েকজনকে বলির পাঁঠা হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।” সঙ্গে রেবেকা বলেন, “প্লেয়ারদের দিক দিয়ে দেখলে সবচেয়ে বিরক্তিকর ব্যাপার হল, ওরা শাস্তি পেলেও আসল লোক ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে। শ্রীনিবাসনের কী হবে? চেন্নাই সুপার কিংসের মালিক হিসেবে ওঁর বিরুদ্ধে তো কনফ্লিক্ট অফ ইন্টারেস্টের অভিযোগ আছে।”
রবি সাওয়ানির রিপোর্টকে ‘লুজ’ বলে রেবেকা আরও বলেন, “রিপোর্টে শুধু দিল্লি পুলিশের কয়েক জনের সঙ্গে কথাবার্তার প্রসঙ্গ আছে। যেখানে পুলিশ দাবি করেছে, শ্রীসন্ত এবং অন্য কয়েক জন ক্রিকেটার তাদের সামনে দোষ স্বীকার করেছে। রিপোর্টে তথ্য প্রায় নেই।” রেবেকা আরও প্রশ্ন তুলে বলেন, “সেশন কোর্ট তো শ্রীসন্তদের জামিনে ছাড়া দিয়েছে। যে বুকি অভিযুক্ত হয়েছে, তার সঙ্গে শ্রীসন্ত বা অন্য ক্রিকেটারদের যোগসূত্র খুবই ক্ষীণ। তা হলে বোর্ডের এক সদস্যের কমিটি কী ভাবে শ্রীসন্তকে আজীবন নির্বাসনের শাস্তি দেয়?” |