ওড়িশার নন্দনকানন, কলকাতার আলিপুর চিড়িয়াখানার মতো পশুপাখি ‘দত্তক’ নেওয়া যাবে ত্রিপুরার সিপাহিজলা চিড়িয়াখানাতেও। মূল্যবৃদ্ধির ‘বাজারে’ চিড়িয়াখানার জীবজন্তুর যত্নে আর্থিক সংকট বাধা না-হতে পারে, সে দিকে তাকিয়ে ওই পরিকল্পনা করেছে রাজ্যর বন দফতর। ওই বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্তা অজিত ভৌমিক জানিয়েছেন, এ নিয়ে রাজ্য সরকার সবুজ সংকেতও দিয়ে দিয়েছে। বন দফতর জানিয়েছে, চিড়িয়াখানার কোনও প্রাণীকে প্রাথমিক পর্যায়ে ছ’মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত ‘দত্তক’ নেওয়া যাবে। বিভিন্ন প্রাণীর দেখভালের খরচ আলাদা, তা-ই তাদের ‘দত্তক’ নেওয়ার খরচও ভিন্ন। অজিতবাবু জানান, ইতিমধ্যেই চিড়িয়াখানার একটি বাঘের দায়িত্ব নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত একটি তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদক সংস্থা। সে জন্য খরচ পড়বে বছরে তিন লক্ষ টাকা। আগরতলার এক পশুপ্রেমীও একটি অজগর সাপের দায়িত্ব নিয়েছেন। ছ’মাসের জন্য তাঁকে দিতে হবে ১১ হাজার টাকা।
বন দফতর জানায়, চিড়িয়াখানার ১০-১২টি প্রজাতির প্রাণী ‘দত্তক’ নেওয়ার সুযোগ মিলবে। তালিকায় রয়েছে বাঘ, সিংহ, ভল্লুক, সাপ, স্নো-লেপার্ড, চিতা, চশমা বাঁদর। ‘দত্তক’ নেওয়ার নিয়ম-কানুন দফতরের প্রধান কার্যালয় থেকে জানা যাবে।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, কোনও প্রাণীকে ‘দত্তক’ নিলে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কিছু সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তাঁর পরিবারের সদস্যরা প্রবেশমূল্য ছাড়াই চিড়িয়াখানায় ঢুকতে পারবেন। তাঁকে ‘দূত’ হিসেবে বন দফতরের বিশেষ অনুষ্ঠানেও নিয়ে যাওয়া হবে। অজিতবাবু বলেন, ‘‘দত্তক দেওয়ার ক্ষেত্রে এগিয়ে রয়েছে মহীশূর চিড়িয়াখানা। আপাতত সিপাহিজলায় ওই ব্যবস্থা চালুর পরিকাঠামো তৈরি করছে বন দফতর।’’
|