সিপিএম পরিচালিত পুরসভার প্রস্তাবিত স্কুল তৈরির জমি থেকে দখলদার উচ্ছেদে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার পুলিশ এবং প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে পুরাতন মালদহ পুর কর্তৃপক্ষ ১১ নম্বর ওয়ার্ডে প্রস্তাবিত স্কুলের জন্য চিহ্নিত জমি থেকে দখলদার উচ্ছেদ করতে গেলে, তৃণমূলের তরফে দলের পতাকা লাগিয়ে বাধা দেয় বলে অভিযোগ। যার জেরে শনিবারও এলাকায় উত্তেজনা ছিল।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে পুর এলাকার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে থাকা ৬২ কাঠা জমিতে প্রায় ৭০টি পরিবার অস্থায়ী ছাউনি তৈরি করে বসবাস করছে। পুর কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, তৃণমূল স্কুল তৈরিতে বাধা সৃষ্টি করতে ওই পরিবারগুলিকে প্রস্তাবিত স্কুলের জমিতে এনে বসিয়েছে। |
পুরসভার চেয়ারম্যান বিশ্বনাথ শুকুলের অভিযোগ, “তৃণমূল কংগ্রেসে পুরসভার স্কুল তৈরির পরিকল্পনা ভেস্তে দেওয়ার জন্য ৭০টি পরিবারাকে ওই সরকারি খাস জমিতে জোর করে বসিয়েছে। গত শনিবার ওই জমি থেকে বেআইনি দখলদারদের উচ্ছেদ করতে গিয়েও তৃণমূলের বাধা পেয়ে ফিরে আসতে হয়েছে।”
ঘটনাটি নিয়ে অস্বস্তিতে তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্ব। পুরাতন মালদহ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি বশিষ্ঠ ত্রিবেদী বলেন, “পুলিশ প্রশাসনের কেউ বাধা দিয়ে আসবে এই আশঙ্কা করেই জমিতে বসবাসকারীরা তৃণমূলের পতাকা লাগিয়েছে। জানার পরে কর্মীদের পাঠিয়ে জমি থেকে দলের পতাকা খুলে ফেলা হয়েছে।” যদিও বৈশিষ্ট্যবাবুর পাল্টা দাবি, “অনুমতি না নিয়ে বসবাস করা বেআইনি। তবে রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য মঙ্গলবাড়ি এলাকার রাস্তার পাশে থাকা বাসিন্দাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওঁরা নিরুপায় হয়ে তাই ওই জমিতে বসবাস করছেন।”
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শুক্রবার উচ্ছেদে বাধা পাওয়ার পরে, ফের ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়ে দখলদারদের সরে যেতে বলা হয়েছে। পুরাতন মালদহের বিডিও দুলেন রায় বলেন, “এইভাবে খাস জমি দখল মেনে নেওয়া যায় না।” |