টেরিকটের পিতৃদত্ত নাম ব্যোমকেশ। ব্যোমকেশের পিতা জানতেন না যে তাঁর সুযোগ্য পুত্র পরবর্তী কালে বোম-যুক্ত হয়ে যাবে। বোমাটা পরেই ফেলব, তার আগে ওর টেরিকট নাম-রহস্যটা জানাই।
ব্যোমকেশ ছিল আমাদের ব্যাচের কেমিস্ট্রির খুব ভাল ছাত্র। সেই ১৯৬৮/’৬৯ সালের কথা। সে সময় টেরিলিন শব্দটা নতুন এবং মাহাত্ম্যপূর্ণ। দামি জিনিস। ‘সঙ্গম’ সিনেমায় টেরিলিনের পোশাক পরে বৈজয়ন্তীমালা ‘বোল রাধা’ নেচেছিলেন। একটা জনপ্রিয় প্যারোডি গান ছিল— ‘কী করে কাটাই দিন/ হায় গিন্নি চেয়েছে টেরিলিন।’ টেরিলিনের পাঞ্জাবি পরে বিয়ে করতে যেত হঠাৎ-বড়লোকেরা। টেরিলিনের সঙ্গে কিছুটা কটন ‘ভেজাল’ মিশিয়ে টেরিকটন হত। টেরিলিনের চেয়ে টেরিকটনের কদর কিছুটা কম হলেও টেরিকট পরাটাও গর্বের ছিল। ব্যোমকেশ যে-কোনও জামা পরলেই বলত টেরিকট। এমন কী শুদ্ধ খাদি’কেও বলত, ২০% টেরিলিন আছে। সেই থেকেই ওর নাম ‘টেরিকট’।
ছবি: ওঙ্কারনাথ ভট্টাচার্য
কত কিছুই উলটে যায়। বাঙালির চুলের টেরি-চেতনার মতো টেরিলিন চেতনাও উলটে গেল। এখন সুতি বা কটনের মর্যাদাই বেশি। টেরিলিন-টেরিকটের সুবর্ণ যুগ গেল, কিন্তু ব্যোমকেশের ‘টেরিকট’ নামটা রয়ে গেল।
প্র্যাক্টিকালে অজানা লবণ ও র্যাডিকাল শনাক্তকরণের একটা পরীক্ষা হয়। এ জন্য ধাপে ধাপে এগোতে হয়। ফ্লেম টেস্ট, চারকোল টেস্ট, ড্রাই টেস্ট, অ্যাসিড টেস্ট ইত্যাদি। ব্যোমকেশ নিজের প্রতিভাবলে অজানা পদার্থ শনাক্তকরণের কতগুলি পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিল, এবং আজীবনের আপশোস যে, এ জন্য পেটেন্ট নেওয়া হয়নি। এই টেস্টগুলি কোনও বইতে লেখা নেই এবং ব্যোমকেশ পরবর্তী প্রজন্মের উপকারের জন্য বইও লেখেনি। ওর নিজস্ব টেস্টগুলির একটি হল চুলকুনি টেস্ট। পদার্থটার সামান্য অংশ জল দিয়ে দু’আঙুলে চটকে নিয়ে কানের লতি এবং নাকের ডগায় লাগিয়ে অনুভব করা— চুলকোচ্ছে কি না, বা কতটা চুলকোচ্ছে, বা কী ধরনের চুলকুনি। চুলকুনির মধ্যে জ্বালা আছে কি না। সব পদার্থই যে চুলকুনি দান করবে, এমন নয়। সেই পদার্থগুলো যদি একই রঙের হয়, তা হলে চুলকুনির মাত্রা এবং ধরনের পার্থক্য অনুভব করে পদার্থের অর্থ বোঝার চেষ্টা করত। আর একটা ছিল চটপটি টেস্ট। বুড়ো আঙুল এবং দাঁত মাজার আঙুলে জল লাগিয়ে পদার্থটার আঠালো ভাবের মাত্রা নিরীক্ষণ করত। স্মেল টেস্ট তো ছিলই, টাং টেস্টও ছিল। আঙুলে, সামান্য মাত্রায় জিভে বুলিয়ে দিত। শুধু জিভের ডগায় নয়, কারণ জিভের ডগায় সব রকম স্বাদ-কোরক থাকে না। ডগায় শুধু নোনতা স্বাদ পাওয়া যায়। তাই ‘সারফেস এরিয়া’ বাড়িয়ে দেওয়া। এটা ছিল খুব মোক্ষম টেস্ট। ধরা যাক, একই রকমের দেখতে কয়েকটা পদার্থ— ক্যালসিয়াম কার্বনেট, ম্যাগনেসিয়াম কার্বনেট, বেরিয়াম সালফেট ইত্যাদি। কোনওটা স্বাদহীন, কোনওটা কষাটে, কোনওটা তেতো। টার্টারিক, সাইট্রিক, অক্সালিক অ্যাসিড— সবই টক, কিন্তু ও টকনেস বুঝে নিত জিভে। টক-এর প্রকারভেদ। এক দিন আমাদের হেড বিকাশ চন্দ, (যিনি সংক্ষেপে বি সি, কিন্তু বি সি বললে রেগে যেতেন, বলতেন, আমাকে বিকাশবাবুই বলবে) টেরিকটকে কট করলেন। ‘এ কী! কেমিক্যাল মুখে দিচ্ছ? তুমি এত বি সি?’ ব্যোমকেশের পুরো নাম ব্যোমকেশ চট্টোপাধ্যায়।
টেরিকট বলল, এখানে তো পটাসিয়াম সায়ানাইড নেই, আর যা যা আছে, .০০৫ মিলিগ্রামে কিস্সু হবে না, শিয়োর। এটা স্যর টাং টেস্ট। বিকাশ স্যর বলেছিলেন, ফারদার টাং টেস্ট করতে দেখলে মুখ থেকে টাং খুলে নেব। তখন স্যরেরা এ রকম বকাঝকা দিতে পারতেন। আজকালকার স্যরেরা টাং সামলে বলেন, টেংরি সামলে চলেন।
টেরিকট এর পর নতুন বুদ্ধি করল। সল্ট নিয়ে বাথরুমে চলে যেত। ও বলেছিল, এপিথেলিয়াল টিস্যু ঠোঁট থেকে পাছা পর্যন্ত একই। পুরোটাই গোলাপি, এবং সিস্টেমের অগ্রে ও পশ্চাতে একই অনুভূতি হয়। লঙ্কা ঘষে দিলে ওষ্ঠ ও পায়ু দুটোই জ্বলে। টেরিকট যাবতীয় অক্সাইড, হ্যালাইড, সালফেট, নাইট্রেট ইত্যাদি পায়ুজ অনুভূতি নিয়ে শনাক্তকরণ করত। ফার্স্ট ক্লাস পেয়েছিল। প্র্যাক্টিকালে অনেক। পরে ফরেনসিক বোম-বিশারদ হয় এবং বোমা ভালবেসে ফেলে। গন্ধ শুঁকে কী ধরনের বোমা, বুঝে ফেলার ক্ষমতা অর্জন করে। স্নিফার ডগের পরিবর্তে ব্যোমকেশ গেলেও কাজ হত। কোন বোমা জলের পরিবর্তে টক দইয়ে আগে নিষ্ক্রিয় হয়, কোনটা গোমূত্র দ্বারা— সেটাও জানত। ব্ল্যাক পাউডার, টি এন টি, আর ডি এক্স, অক্সিডাইজার ইত্যাদি সম্পর্কে অগাধ জ্ঞান। এ হেন ব্যোমকেশকে কেন্দ্রীয় সরকার পাঠিয়ে দিল ভুটানের রাজার সিকিয়োরিটির জন্য।
অনেক দিন পর দেখা। ছুটিতে এসেছে। ও বলল, শেষ দশ বছর কাল কাটছে বড় ভাল। ভুটানে বোমাবাজি নেই। হ্যাপিনেস ইনডেক্স-এ ভুটান এশিয়ায় ফার্স্ট। চুরি-ছিনতাইও হাতে গোনা। বাড়ি আয় এক দিন, দুঃখের কথা বলব।
মানিকতলায় ওর পুরনো বাড়িতে গেলাম এক দিন। বোমার আদি পীঠস্থান মানিকতলা। ও সত্যিই ব্যাজার মুখে বসে আছে। টিভি চলছে, হঠাৎ ঝলসে উঠল ওর মুখ। কারণ, ঝলসে উঠেছে টিভিতে মোটামত এক নেতা। হাত নাড়িয়ে বলছে— বিরুদ্ধ প্রার্থীদের বোম্মারুন, পুলিশকেও বোম্মারুন।
ব্যোমকেশ বলল— আহা! কী শান্তি!


• খুব যৌনতা করবেন বলে ধর্মগুরুর ভেক ধরলেন। কিন্তু সেক্সি শিষ্যারা জানাল,
এ সব করলেই তাদের টানা হাঁচি হয়, তাই তারা ধর্মের লাইনে এসেছে।
• বয়স হয়েছে তো কী হয়েছে, লিয়েন্ডার তো পারছে— ভেবে
পাড়ার পার্কে ক্যারাটে শিখছেন। হবু বেয়াই দেখতে পেয়ে তড়িঘড়ি
আপনার মেয়ের সম্বন্ধ ভেঙে দিলেন। ‘পাগলামি তো হেরিডিটারি!’
• গণেশপুজো বিরাট হিট। প্রচণ্ড রমরমা। আপনিও ফ্যাশনেবল হতে
ভক্তি ভরে ইঁদুর পুষলেন। ইঁদুর ফিরতি আদর দিতে, প্লেগের চোটে কাতরালেন, গোটা দুর্গাপুজো কালীপুজোর ফুর্তির গণেশ উলটোল!

• বেসরকারি একটি ব্যাংকের পরিষেবা-অব্যবস্থায় ও দুর্ব্যবহারে তিতিবিরক্ত হয়ে কোর্টে মামলা করলেন স্কোয়াশে ভারত-চ্যাম্পিয়ন দীপিকা পল্লিকাল। বিদেশে হোটেলের বিল মেটাতে গিয়ে লজ্জায় মাথাকাটা, অ্যাকাউন্টে যথেষ্ট টাকা থাকা সত্ত্বেও এটিএম কার্ড কাজই করল না। বারংবার চেষ্টায় গলদঘর্ম ও বিদেশি সহ-খেলুড়েদের টিটকিরি-মুচকিতে জেরবার হয়ে দেশে ফোন করেন মা’কে, ব্যাংকে যোগাযোগ করেও সাহায্য মেলেনি। অন্য একটি এটিএম কার্ড ছিল বলে রক্ষে, কিন্তু গোটা ঘটনায় বিব্রত দীপিকা গোটা টুর্নামেন্টেই ভাল খেলতে পারেননি। দেশে ফিরে এক লক্ষ টাকা সরকারি পুরস্কারের চেক ওই ব্যাংকে জমা দিতে গিয়ে ফের বিপত্তি, ব্যাংক গোড়ায় ‘আমাদের চেক নয়’ বলে নিলই না, বহু ভ্যানতারা-উত্তর জবাব, টেকনিকাল এরর হয়েছিল, সরি। অতঃপর মামলা। কিন্তু মজা তখনও বাকি। কোর্টে ব্যাংক-বিবৃতি: যে মেয়ে এট্টু টেকনিকাল ‘ডিস্টার্বেন্স’ সইতে পারেন না, তাঁর ওয়ার্ল্ড-চ্যাম্পিয়নোচিত ‘টাফনেস’ সম্পর্কে তারা যথেষ্ট সন্দিহান। এ-ও দেখা বাকি ছিল। নিজ ভুল শুধরোনো দূরস্থান, স্বীকারটুকু অবধি না করে, উলটে প্লেয়ারের টাফনেস-পানে তর্জনী তুলছে ব্যাংক! এটা এই যুগের স্পেশাল দান: যে ভুল করবে, সে-ই চোখ রাঙাবে! উদ্ধত অপদার্থ চেঁচাবে: আমার নামে নালিশ করেছে, তার মানে খেলতে জানে না!

• নেদারল্যান্ডস সরকার বন্দির অভাবে ১৯টা সংশোধনাগার তালাবন্ধ করে দিলেন। চোরছ্যাঁচোড়ময় ভারতবর্ষ যুগপৎ বিস্ময়ে ও অবিশ্বাসে ‘অ্যাঁ!’ রব তুললেও, ঘটনা সত্যি। রিপোর্ট বলছে, নব্বইয়ের দশকে সেখানে ক্রিমিনালদের রবরবা হলেও এখন অপরাধগ্রাফ ডাউন হওয়ায় তারা মাইনরিটি, গোটা দেশে অপরাধী মোটে ১২০০০, যেখানে জেলগুলোয় ধরে ১৪০০০-এরও বেশি। দেশে অপরাধ কম পড়িয়াছে, শ্লাঘার কথা। সরকার পার্লামেন্টে কলার তুলে বলছেন, অন্য দেশ চাল-তেল-মুরগি আমদানি করে, আর তাঁরা পড়শি দেশ বেলজিয়ামের উপরোধে আমদানি করছেন বিদেশি ক্রিমিনাল, ৫০০ জনকে ঠাঁই দিচ্ছেন ডাচ জেলে। বাজেটে কমেছে জেল-বরাদ্দও, প্রহরী-রাঁধুনি-জেলার সহ বহু লোক কাঠবেকার। এ ক্রিমিনালবহুল দেশ থেকে দাগি ক’গন্ডাকে পাঠালে মন্দ হত না। ভারতের একটা ওলন্দাজ-কানেকশন আছেই, এই মওকায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কটা ঝালানো যেত। সংস্কৃতি-দূত হিসেবে সঙ্গে যেতেন ছবি-করিয়েরা, ফাঁকা জেলে সঞ্জয় দত্তকে নিয়ে অ্যাকশন থ্রিলার শুট। শুধু মন্ত্রীরা অর্থ না বুঝে সাংবাদিক সম্মেলনে ‘উই আর গোয়িং ডাচ!’ বলে ফেললে কেলো!

৩০
রিজার্ভ ব্যাংক-এর নিয়ম অনুযায়ী বিদেশে বসবাসকারী ভারতীয়রা
বছরে মোট যত বার দেশে
টাকা পাঠাতে পারেন
২১০০০
রাজ্যের সেন্ট্রাল ও জেলা
জেলগুলোতে মোট
বন্দিসংখ্যা যত ছাড়িয়েছে
১১
বিয়ের আসরে পারফর্ম করা
জনপ্রিয় বলিউড-তারকাদের মধ্যে
সর্বাধিক যত শতাংশ ভোট পেয়ে
এক নম্বরে ক্যাটরিনা কাইফ
২০
ভারতে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ
আইন অনুযায়ী পোষা
হাতিদের একটানা যত
কিলোমিটারের বেশি হাঁটানো নিষেধ
৪৩২০

১৬০৯
মাটিতে ঘণ্টায় যত কিলোমিটার গতিবেগসম্পন্ন ব্লাডহাউন্ড সুপারসনিক কার তৈরির
কাজ চলছে ইংল্যান্ডে

৮৫০০০০০
ছ’বছরের চুক্তিতে রিয়েল মাদ্রিদ
ফুটবল ক্লাবে যোগ দিয়ে মাসে যত
পাউন্ড মাইনে পাবেন গ্যারেথ বেল

৪১৪৪
এ বছরের প্রথম ছ’মাসে ফেসবুক-কর্তৃপক্ষের কাছে যত জন ফেসবুক-ব্যবহারকারীর সম্পর্কে বিশেষ তথ্য
জানতে চেয়েছে ভারত সরকার

৬৬
ভারতে এই মুহূর্তে মোট
যতগুলো সন্ত্রাসবাদী বা
বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী সক্রিয়
বলে জানাল কেন্দ্রীয় সরকার


সী


চৌ
ধু
রী
বাজার গেলেই টের পেয়ে যাই দু’চোখ ভরা বর্ষা
ইদের পরেও দাম কমেনি, গণেশ পুজোই ভরসা
বাজার এখন চালাক বেজায়
দেখলে পুলিশ দর কমে যায়
পুলিশ গেলেই ফের যে কে সেই, পকেট হল ফরসা

স্কুল-কলেজে এ বার শুধু হিংসাটি হোক ব্রাত্য
অল্পস্বল্প রাজনীতি থাক, বলেন মহামাত্য।
আমার টিমে প্লেয়ার পেতে দরকার এইটুকুর।
এই জমানার অনুব্রত, সেই জমানার সুকুর!

লেটারিং বেটারিং
ডলারের fall দেখে ফল আর নাই!




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.