খেলবি যদি, আয় রে ছুটে

গা আর পা থাকতে, হাত কেন
ব্যাডমিন্টন কোর্টের আকারের একটি কোর্ট। মাঝে উঁচু একটা নেট। এ পারে ও পারে রয়েছে তিন জন করে খেলোয়াড়। খেলার নিয়মটা বেশ সোজা। অপোনেন্ট-এর কোর্টে বল পাঠাতে মাথা, গা, পা শরীরের যে কোনও অংশ ব্যবহার করা যাবে, হাত ছাড়া! দেখলে মনে হবে সকার, ভলিবল ও জিমন্যাস্টিক্স মিলিয়ে তৈরি হয়েছে খেলাটি। নাম ‘সেপাক তাক্র’। মালয় ভাষায় ‘সেপাক’-এর অর্থ ‘কিক’ বা লাথি মারা। আর তাই ভাষায় ‘তাক্র’ বলতে বোঝায় ‘বোনা বল’। এই দু’টি শব্দ মিলিয়েই তৈরি হয়েছে খেলাটির নাম। এমন গেম-এর প্লেয়ার হলে তো কোনও দিনই ‘হ্যান্ড অব গড’-এর সাহায্য নেওয়া যাবে না, কী বলো?

মগজ ধোলাই
মাইক টাইসন বিশ্বনাথন আনন্দ-এর সঙ্গে দাবা খেললে কী হবে? টাইসন গো-হারান হারবে। আবার আমাদের আনন্দকে যদি টাইসনের সঙ্গে বক্সিং রিং-এ নামানো হয়? সেকেন্ডের মধ্যেই নকআউট। দেখতে গেলে এঁদের কেউই চ্যাম্পিয়ন হতে পারতেন না যদি তাঁদের চেসবক্সিং-এ নামতে হত। কারণ, চেসবক্সিং-এর মতো খেলায় দুটোই লাগে। ফিজিকাল স্ট্রেংথ উইথ ব্রেন্স। খেলায় প্রতিযোগীদের পালা করে চার মিনিটের দাবা খেলতে এবং তার পর মিনিট তিনেকের বক্সিং করতে হয়। মাঝে বিরতি থাকে এক মিনিট করে। সর্বাধিক মোট এগারো রাউন্ডের খেলা হতে পারে ছ’রাউন্ডের দাবা এবং পাঁচ রাউন্ডের বক্সিং। খেলাটির উদ্ভাবন কোথা থেকে হয়েছিল জানো? এক ফরাসি কার্টুনিস্ট-এর একটি গ্রাফিক নভেল থেকে!

কুস্তি বীর
বছরের গোড়ার দিকে খবর ছিল থাকবে না। সম্প্রতি মত পালটে অলিম্পিকে কুস্তিকে আবার ফিরিয়ে আনল আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটি। একটা বিশেষ ধরনের কুস্তির কথা আজ বলি। তুরস্কের বিভিন্ন প্রান্তে বসে সেই কুস্তির প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগীরা সাধারণত তিন ভাবে জিততে পারে। এক, অন্য জন ময়দান ছেড়ে পালিয়ে গেলে। হয়তো এক জন এমন ভয়ংকর ড্রেস করে এল যে তা দেখেই অন্য জন দিল চম্পট। দুই, এক জন অন্য জনকে এমন কাবু করে দিল যে সে আর্তনাদ করে উঠল। আর তিন, এক জন অন্যকে খেলার মধ্যেই মাটিতে ফেলে দিল। অনেক সময় আবার প্রতিদ্বন্দ্বীদের লড়াই-মন্দাও হয়। তখন যতই চেষ্টা করো, তারা কিছুতেই লড়বে না। যা-ই হোক, দর্শকদের মজার শেষ থাকে না। এই খেলোয়াড়রা কিন্তু মানুষ নয়। উট!

ওয়ার্ম চার্মার
বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে পোকাদের নিয়ে একটি খেলা হয়। ‘ওয়ার্ম চার্মিং’। ফান্ডাটা সোজা। যেনতেনপ্রকারেণ পোকামাকড়দের তাদের মাটির নীচের বাড়ি থেকে বার করে আনতে হবে। একটি নির্দিষ্ট জায়গা দেওয়া থাকবে। বাঁধা সময়ের মধ্যে নানান পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে সেখান থেকে প্রতিযোগীদের বের করে আনতে হবে এই পোকাগুলিকে। লোকে কত যে উদ্ভট সব পদ্ধতি কাজে লাগায়, ইয়ত্তা নেই। চিৎকার করে, নেচেকুঁদে, লাফিয়ে-ঝাঁপিয়ে, বাজনা বাজিয়ে, মাটিতে লাঠি ঠুকে, জল, চা বা মানুষে খায় এমন পানীয় ছড়িয়েও। এক বার একটি দশ বছরের মেয়ে সাড়ে পাঁচশোর বেশি পোকা বের করে বিশ্বরেকর্ড গড়েছিল এই খেলায়!


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.