|
|
|
|
দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় |
নির্বাচনে হার, আশঙ্কায় কংগ্রেস |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচনের আর দু’মাসও বাকি নেই। তার আগে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের নির্বাচনে কংগ্রেসকে কার্যত উৎখাত করল বিজেপি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদে এতদিন কর্তৃত্ব ছিল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন এনএসইউআই-এর। কিন্তু নির্বাচনে আজ সংসদের বারো আনা পদই দখল করে নেয় বিজেপি-র ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)। সভাপতি, সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের একটি পদে এবিভিপি প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। এনএসইউআই জিতেছে মাত্র একটি সাধারণ সম্পাদকের পদে।
ছাত্র সংসদের নির্বাচন হলেও এই ফলাফলকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন অনেকে। তাঁদের দাবি, বিধানসভা ভোটের আগে লিটমাস পরীক্ষা হয়ে গেল। স্বাভাবিক ভাবেই উচ্ছ্বসিত বিজেপি। গত কালই বিজেপি-র প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর নাম ঘোষণার পর দিল্লিতে উৎসব করেছেন রাজ্য বিজেপি নেতারা। সেই রেশ থাকতে থাকতেই আজ ফের সুখবর এসেছে। দলের রাজ্য নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিজয় গয়াল বলেন,“দিল্লিতে শীলা দীক্ষিত সরকারের পতন এবার কেউ ঠেকাতে পারবে না।”
বিপরীতে দৃশ্যত হতাশ কংগ্রেস নেতারা। ঘরোয়া আলোচনায় তাঁরা জানিয়েছেন, দুর্নীতি, মূল্যবৃদ্ধি তো আছেই। তা ছাড়া গত ডিসেম্বরে দিল্লিতে গণধর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্র অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছিল। তারই প্রতিফলন ঘটেছে এই নির্বাচনে। তা ছাড়া দিল্লিতে অণ্ণা হজারে ও অরবিন্দ কেজরিওয়ালদের আন্দোলনও প্রভাব ফেলেছে বলে আশঙ্কা তাঁদের।
কংগ্রেস মুখপাত্র মীম আফজলের বক্তব্য, “ছাত্র সংসদের আন্দোলন পৃথক সমীকরণে হয়। তা দেখে বিধানসভা ভোটের ফল নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করা এখনই ঠিক হবে না।”
প্রসঙ্গত, দিল্লিতে গত তিনটি মেয়াদ তথা ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে শীলা দীক্ষিত সরকার। ফলে শীলার বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতা রয়েছেই। তা ছাড়া এবিপি-এসি নিয়েলসন সমীক্ষাও জানিয়েছে, এ বার দিল্লিতে কংগ্রেসের পরাজয়ের সম্ভাবনাই বেশি। তুলনায় এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। তবে দিল্লির দায়িত্বপ্রাপ্ত সর্বভারতীয় কংগ্রেসের এক নেতার মতে, শীলা দীক্ষিতের বিরুদ্ধে বিজেপি এখনও কাউকে মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী হিসাবে তুলে ধরতে পারেনি। সে দিক থেকে কংগ্রেস এগিয়েই রয়েছে। তা ছাড়া আশা করা হচ্ছে, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টিও বিরোধী ভোটে ভাগ বসাবে। শেষ পর্যন্ত তাতে হয়তো কিছুটা সুবিধা পেয়ে যাবে কংগ্রেস।
|
জেএনইউ-এ এগিয়ে আইসা-ই |
সময়ের মধ্যে গোটা দেশের লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণা হয়ে যায়, তার চেয়ে বেশি সময় নিয়েও বিশেষ স্পষ্ট হল না জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (জেএনইউ) ছাত্র সংসদের ফলাফল! শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয়ে শনিবার রাত পর্যন্ত ভোট-গণনা থেকে যতুটুকু ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, তাতে জয়ের পথেই এগোচ্ছে সিপিআই (এম-এল) লিবারেশনের ছাত্র সংগঠন আইসা। জেএনইউ-এ তাদের প্রভাব কয়েক বছর ধরেই বেশি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত যে ১০টি কাউন্সিলর পদের ফল চূড়ান্ত হয়েছে, তার মধ্যে ৮টিই গিয়েছে আইসা-র ঝুলিতে। একটি পেয়েছে এসএফআই থেকে বহিষ্কৃতদের সংগঠন ডিএসএফ এবং অন্যটি সিপিআইয়ের এআইএসএফ। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদেও আইসা এগিয়ে। তবে গত বারের চেয়ে ভোট বাড়াতে পেরেছে এসএফআই। স্কুল অফ সোস্যাল সায়েন্সে দু’টি পদে জয়ী আইসা প্রার্থীদের থেকে তারা পিছিয়ে দুই ও তিন ভোটে। গত বার এসএফআইয়ের সর্বোচ্চ ভোট ছিল ১৩৬! এ বার শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩২৪। জেএনইউ-এ এগিয়ে থাকা এবং দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইসা-র বেশ কিছু ভোট পাওয়া বামপন্থী রাজনীতির পক্ষে ভাল লক্ষণ বলেই মনে করছেন লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য। |
|
|
|
|
|