শাসক-বিরোধী সকলের উপস্থিতি এবং সম্মতিতে বাজেট পেশের দিন ঘোষণা হল শিলিগুড়ি পুরসভায়। শনিবার বাজেটের দিন ঠিক করতে বিশেষ সভা ডেকেছিলেন পুরসভার ডেপুটি মেয়র তথা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সবিতা অগ্রবাল। ছিলেন মেয়র গঙ্গোত্রী দত্তও। পুরসভার সূত্রের খবর, শাসক কংগ্রেস ছাড়াও তৃণমূল এবং বাম কাউন্সিলরদের সম্মতি নিয়ে ২৩ সেপ্টেম্বর বাজেটের দিন নির্ধারিত হয়। তার পরে ২৫ সেপ্টেম্বর হবে বাজেট নিয়ে আলোচনা। তবে এ দিন সভা শেষে তৃণমূল ও সিপিএম উভয়েরই বক্তব্য, “বাজেট দেখেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
পুরসভা সূত্রের খবর, এ দিন সভা শুরু হওয়ার প্রায় ১৫ মিনিট পরে সভাকক্ষে আসেন তৃণমূলের ১২ জন কাউন্সিলর। তৃণমূল কাউন্সিলরদের নির্দিষ্ট জায়গায় বসার জায়গা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কংগ্রেসের মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত নিজের দলের কাউন্সিলরদের সরিয়ে তাঁদের বসার ব্যবস্থা করেন। এর পরে সভাতে বাজেটের দিন ও আলোচনার দিন প্রস্তাব করে তিনি সকলের সম্মতি চান। তৃণমূল এবং বামেদের তরফে কোনও আপত্তি না ওঠায় সেই সময় বাজের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়ে যায়।
তবে সভা শেষ ঘোষণা হতেই তৃণমূলের কাউন্সিলররা বিরোধিতা শুরু করেন। তৃণমূল কাউন্সিলর কৃষ্ণ পাল, জয়দীপ নন্দী বলেন, “বাজেট পাস হয়েছে বলে শহরের মানুষকে এতদিন পর্যন্ত মিথ্যা কথা বলেছেন মেয়ের।” তাঁরা মেয়রের পদত্যাগ দাবি করেন। এরপরই চেয়ারম্যানের অনুমতি নিয়ে সভাকক্ষ থেকে বেড়িয়ে যান বাম কাউন্সিলররা। সঙ্গে বার হয়ে যান কংগ্রেসের কাউন্সিলররাও।
পুরসভা সূত্রের খবর, গত ২৩ মার্চ বাজেট পেশ করেছিলেন মেয়র গঙ্গোত্রী দত্ত। তার বিরোধিতা করেছিলেন তৃণমূল কাউন্সিলরেরা। কংগ্রেসের বোর্ড বাজেশ পাশ হয়েছে দাবি করলেও পুর কমিশনার এবং তৎকালীন চেয়ারম্যান নান্টু পাল তা পাশ হয়নি বলে পুর দফতরে চিঠি দেন। এর পরে শুধুমাত্র ১৬টি কাজের নির্দেশিকা দেওয়া হয় রাজ্য সরকারের তরফে। এ দিন মেয়র বলেন, “সকলকে উন্নয়নের জন্য এই বাজেট সমর্থন করার অনুরোধ করছি।” |