সিরিয়ায় এখনই মার্কিন অভিযান নয়
কূটনৈতিক পথেই শেষমেশ সিরিয়া নিয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছল রাশিয়া ও আমেরিকা। গত তিন দিন ধরে মার্কিন বিদেশসচিব জন কেরির সঙ্গে রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভ্রভের আলোচনা-বৈঠক চলছিল। আজ দু’দেশের বোঝাপড়ায় স্থির হয়, ২০১৪ সালের মাঝামাঝির মধ্যে রাসায়নিক অস্ত্র নষ্ট করে বা সরিয়ে ফেলতে হবে সিরিয়াকে। এই শর্তে সিরিয়া মানে কি না তা আগে দেখা হবে। তার পরে স্থির করা হবে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা। সিরিয়া রাসায়নিক অস্ত্র সমর্পণ না করলে সামরিক হানার প্রস্তাব দেওয়া হবে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের কাছে।
রাশিয়া-আমেরিকা বাগ্যুদ্ধ চলছিল গত কয়েক সপ্তাহ ধরে। সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলায় আমেরিকা কাঠগড়ায় তুলেছে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদকে। রাশিয়া তা মানতে নারাজ। সিরিয়ার বিরুদ্ধে মার্কিন অভিযান রুখতে চাপ সৃষ্টির জন্য ভূমধ্যসাগরে যুদ্ধজাহাজও পাঠিয়েছিল মস্কো। সম্প্রতি মার্কিন দৈনিকেই আমেরিকার বিরুদ্ধে কলম ধরেছিলেন খোদ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পাশাপাশি জেনিভায় বোঝাপড়া চালিয়ে যাচ্ছিলেন কেরি ও লাভ্রভ। আজ সাংবাদিক সম্মেলন করে তাঁরা সিদ্ধান্তের কথা জানান।
সিরিয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করছেন জন কেরি ও সের্গেই লাভ্রভ।
শনিবার জেনিভার সাংবাদিক বৈঠকে। ছবি: রয়টার্স।
দুই দেশের যৌথ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সিরিয়া শর্ত মানতে না পারলে রাষ্ট্রপুঞ্জের সনদের সপ্তম অধ্যায় মেনে তাদের উপর সামরিক আঘাত হানা হবে। আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার খাতিরে প্রয়োজনে রাষ্ট্রপুঞ্জকে সামরিক অভিযান চালানোর অধিকার দিয়েছে সনদের ওই অধ্যায়।
যৌথ সাফল্যের পথে এগনোর জন্য বৃহস্পতিবারই চার দফা পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল রাশিয়া। সমঝোতা এগিয়েছে সেই পথেই। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সিরিয়ার কোথায় কোথায় রাসায়নিক অস্ত্র রয়েছে, তা বিশদ জানাতে হবে আসাদ সরকারকে। নভেম্বরের মধ্যে ‘রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ কেন্দ্র’-র একটি তদন্তকারী দল পাড়ি দেবে সিরিয়ায়। শুরু হবে তদন্ত। সে বিষয়ে শুধু আসাদ সরকারকেই নয়, বিদ্রোহীদেরও সাহায্যে চেয়েছেন কেরি। এখন আসাদ-বাহিনীর থেকেও বিরোধীদের নিয়ে বেশি চিন্তিত কেরি। আক্রমণের পথে না হেঁটে রাশিয়ার সঙ্গে বোঝাপড়ায় যাওয়ায় ওবামা-সরকারের উপর ক্ষুব্ধ তারা। সে ক্ষেত্রে তদন্তকারী দলের বিপদের আশঙ্কা আছে। এক মার্কিন কর্তার কথায়, “পরিস্থিতি ভীষণ জটিল। তবে সমস্যার সমাধান অসম্ভব নয়।” প্রায় একই কথা বলেছেন কেরিও। রাশিয়া-আমেরিকার যৌথ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব বান-কি-মুন। তিনি বলেন, “এতে ভবিষ্যতে সিরিয়ায় রাসায়নিক হামলা রোখা যাবে। দ্বিতীয়ত, কূটনৈতিক পথে সিরিয়ার মানুষের সমস্যা সমাধানও সম্ভব হবে।”

পুরনো খবর:
মোদীর ভিসা নিয়ে অনড় আমেরিকা
নরেন্দ্র মোদীকে ভিসা দেওয়া নিয়ে নীতির কোনও পরিবর্তন হয়নি বলে জানিয়েছে আমেরিকা। গোধরা-পরবর্তী দাঙ্গার পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৫ সালে মোদীকে কূটনৈতিক ভিসা দেয়নি আমেরিকা। পর্যটকের ভিসাও বাতিল করে দেয় ওয়াশিংটন। কোনও দেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘিত হলে অভিবাসন ও নাগরিকত্ব আইনে এই পদক্ষেপ করতে পারে মার্কিন সরকার। শুক্রবার মোদীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র মারি হার্ফ জানিয়েছেন, ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির সঙ্গে তাঁদের কোনও সম্পর্ক নেই।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.