ধর্মতলা থেকে বাস টার্মিনাস সরাতে এবং শহরের এই প্রাণকেন্দ্রকে দূষণের হাত থেকে বাঁচাতে সাত সদস্যের একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি তৈরি করে দিল আদালত। কমিটির কাজ হবে ওই এলাকার দূষণ রোধে দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনার প্রস্তাব আদালতের কাছে পেশ করা। শুক্রবার কমিটি গঠন করার পরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি মৃণালকান্তি চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, যে কোনও প্রস্তাব হাইকোর্টে পেশ করার আগে বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্তের মতামত নিতে হবে ওই কমিটিকে।
ধর্মতলা থেকে সরকারি ও বেসরকারি বাস টার্মিনাস সরানো নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে টানাপোড়েন চলছে। সেই বিষয়েই এ দিন রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকদের ডেকে পাঠায় আদালত। এ দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের পরিবহণসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতার পুলিশ কমিশনার সুরজিৎ করপুরকায়স্থ, সেনাবাহিনীর পূর্র্বাঞ্চলীয় ল্যান্ড ম্যানেজার-সহ রাজ্যের বিভিন্ন পরিবহণ সংস্থার পদস্থ কর্তারা। তাঁরা প্রত্যেকে নিজেদের বক্তব্য রাখেন। |
কলকাতার বাস টার্মিনাস নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে পরিবহণসচিব আদালতকে জানান, ধর্মতলা থেকে ইতিমধ্যেই সরকারি বাস তুলে নেওয়া হয়েছে এবং নতুন বাস টার্মিনাসের জন্য হিডকো ১০ একর জমি চিহ্নিত করেছে। হাওড়ার মন্দিরতলাতেও প্রায় ছয় একর জমি বাস টার্মিনাসের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে।
পরিবহণসচিব এ-ও জানিয়েছেন, প্রতিটি বাস টার্মিনাসই হবে বহুতল। প্রথম দু’টি তলে বাস থাকবে। বাকি তলগুলি ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহার করা হবে।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, ধর্মতলার বাস টার্মিনাস থেকে ময়দান পর্যন্ত পুরো জায়গাটা সেনাবাহিনীর হওয়া সত্ত্বেও সেখানে বেআইনি ভাবে বাস টার্মিনাস গড়ে উঠেছে। এ ব্যাপারে রাজ্য সরকারকে বারবার জানিয়েও ফল হয়নি। পুলিশ কমিশনার অবশ্য জানান, আদালত যা নির্দেশ দেবে, তা সব সময়ে মেনে চলবে পুলিশ।
সকলের কথা শোনার পরেই শহরের দূষণ রোধে এবং শহরের ফুসফুস ময়দানকে বাঁচাতে সাত সদস্যের ওই কমিটি গঠন করে দেয় আদালত। রাজ্যের মুখ্যসচিবকে কমিটির চেয়ারম্যান ও পরিবহণ-সচিবকে আহ্বায়ক করা হয়েছে।
|