সীমান্তে ফেলানি খাতুন হত্যাকাণ্ডের নতুন করে বিচার করবে বর্ডার সিকিওরিটি ফোর্স (বিএসএফ)। এর আগে ১৮১ ব্যাটেলিয়নের জওয়ান ক্যাপ্টেন অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাসের রায় দিয়েছিল বাহিনীর ‘জেনারেল সিকিওরিটি ফোর্স কোর্ট’। শনিবার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে ঢাকা
যাচ্ছেন বিএসএফের ডিজি সুভাষ জোশী। বনগাঁয় পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্তে চালু হতে চলেছে ওয়াঘার মতো যৌথ ‘বিটিং রিট্রিট’ সেরিমনি। তার আগে ফেলানি হত্যার ফের বিচারের ঘোষণা দু’দেশের সম্পর্কে আস্থা ফেরাবে বলে মনে করছেন বিএসএফ কর্তৃপক্ষ।
ফেলানির বিচারের রায় নিয়ে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে বাংলাদেশে। কোচবিহারের চৌধুরীহাট সীমান্তে ২০১১-র ৭ জানুয়ারি মই দিয়ে কাঁটাতারের বেড়া পেরোনোর সময়ে বিএসএফের গুলিতে মারা যান বাংলাদেশের কুড়িগ্রামের তরুণী ফেলানি। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা তাঁর দেহ কাঁটাতারে ঝুলে থাকে। আনন্দবাজারে প্রকাশিত এই ছবি ফেসবুক-টুইটারে ছড়িয়ে পড়ার পরে এই প্রথম গুলি চালনার দায়ে কোনও জওয়ানের বিচার শুরু করেছিল বিএসএফ। সে দিন ফেলানির সঙ্গে থাকা তাঁর বাবা জওয়ান অমিয় ঘোষকে আততায়ী হিসেবে শনাক্ত করার পরেও কোর্ট তাঁকে রেহাই দেয়। সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পক্ষে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আইনি উপদেষ্টাদের সঙ্গে আলোচনার পরে কর্তৃপক্ষ রায়টি নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। তার পরেই মামলাটি ফের বিচার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ওয়াঘা সীমান্তে পাকিস্তান রেঞ্জার এবং ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর একে অপরের চোখে চোখ রেখে, বুক সমান পা তুলে স্পর্ধা-প্রতিস্পর্ধা দেখানোর ‘রিট্রিট সেরিমনি’ পরিচিত দৃশ্য। তবে পেট্রাপোলের প্যারেড হবে স্বভাব-নম্র। ওয়াঘাতে জিরো লাইনে গিয়ে দুই বাহিনীর জওয়ানরা একে অপরের চোখে চোখ রেখে ফিরে আসে, পেট্রাপোলে তারা ফিরবে হাত মিলিয়ে। রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুলগীতি, লালনের গান বা ভূপেন হাজরিকার গানও বাজবে ওই অনুষ্ঠানে। ২ অক্টোবর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্দে এই রিট্রিট সেরিমনির সূচনা করতে পেট্রাপোল যাচ্ছেন। থাকার কথা বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরও। সীমান্তরক্ষী বাহিনী সূত্রের খবর, ২০১১-এ ঢাকায় বিএসএফ-বিজিবি-র ডিজি পর্যায়ের বৈঠকে এই প্যারেড শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এখন সপ্তাহান্তে এক বার রিট্রিট সেরিমনি হলেও পরে প্রতিদিনই এই প্যারেড করার পরিকল্পনা রয়েছে।
|