সুসংহত বস্তি এলাকার গৃহ নির্মাণ প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে তৃণমূল এবং আরএসপি-র কাজিয়া চরমে। তথ্য জানার অধিকার আইনের মাধ্যমে ওই প্রকল্পের খতিয়ান হাতে পেয়ে তৃণমূল কংগ্রেস প্রায় ১৬ কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে। দলের তরফে বিভাগীয় তদন্ত করার দাবি তোলা হয়েছে। পুরভোটের মুখে তৃণমূলের তোলা অভিযোগ মিথ্যা বলে প্রচারে আরএসপি।
আরএসপি-র জেলা সম্পাদক তথা প্রাক্তন কারামন্ত্রী বিশ্বনাথ চৌধুরী বলেন, “ওই প্রকল্পে পাওয়া ১৫ কোটি ৭৭ লক্ষ ৫ হাজার টাকায় বস্তিবাসী ৭৯০টি পরিবারকে বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পে শর্ত মেনে রান্নাঘর, শৌচাগার, বিদ্যুৎ ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তৃণমূলের তরফে আরটিআই করার পর ওঁধের সব তথ্য দেওয়া হয়। এখন মনগড়া তথ্য দিয়ে প্রচার করা হচ্ছে। আমরা প্রকৃত তথ্য মানুষকে জানাব।”
বালুরঘাটের তৃণমূল বিধায়ক তথা সমবায়মন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তীর অভিযোগ, ‘নগরোন্নয়ন দফতর থেকে তথ্য পেয়েছি। তাতে দেখা গিয়েছে বিগত পুরবোর্ড ওই প্রকল্পের কোনও শর্ত মানেনি। ২০০৯-১০ থেকে ২০১২-১৩ সাল পর্যন্ত পুরসভা কোনও অডিট রিপোর্ট দেখাতে পারেনি।” জওহরলাল নেহেরু জাতীয় আর্বান রিনিউয়াল মিশনের আওতায় সুসংহত বস্তিবাসীর গৃহনির্মাণ প্রকল্পে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের তরফে বালুরঘাট পুরসভা ২০০৯-এ ৩০ মার্চ আর্থিক অনুমোদন পেয়েছিল ১৫ কোটি ৭৭ লক্ষ ৫ হাজার টাকা। ২০১০ ২৯ সেপ্টেম্বর প্রকল্প গাইডলাইন মতো বস্তিগুলিতে আবাসন গড়ে ৭৯০টি পরিবারকে প্রকল্পের আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়। প্রতিটি পরিবারের জন্য দুটি শোওয়ার ঘর, রান্নাঘর, একটি বসার ঘর ও শৌচাগার তৈরির কথা ছিল। জল এবং বিদ্যুতের ব্যবস্থাও কথাও শর্তে ছিল। কিন্তু বালুরঘাটের স্বীকৃত ১৩টি বস্তি এলাকায় ওই কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। ঘর মিললেও নিকাশি, জলের মত কাজ ঠিক ভাবে করা হয়নি। জেলা কংগ্রেস সভাপতি নীলাঞ্জন রায়ের অভিযোগ, “প্রকল্পের টাকা কেন্দ্রের। আদর্শ বস্তি হিসাবে গড়ার জন্য টাকা দেওয়া হয়। বিগত বোর্ড ঠিকভাবে টাকা ব্যবহার করেনি। তাই কেন্দ্রীয় তদন্তের দাবি করেছি।” |