স্থলসীমান্ত ও তিস্তা জল চুক্তি নিয়ে প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেনি দিল্লি। কিন্তু আড়াই বছর আগে সীমান্তে বিএসএফের একটি হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিচার শুরু করে ঢাকাকে দেওয়া কথা রাখল ভারত সরকার। বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বেআইনি অনুপ্রবেশকারীর মৃত্যুর ঘটনা অভিনব না হলেও, অভিযুক্ত জওয়ানকে কাঠগড়ায় তুলে এই প্রথম কোনও বিচার প্রক্রিয়া শুরু হল।
দিনহাটা সীমান্তে খিতাবের কুঠি এলাকায় ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার বাসিন্দা ফেলানি খাতুন নামে বছর পনেরোর একটি মেয়ের মৃত্যু হয়। মই বেয়ে উঠে কাঁটাতারের বেড়া পেরোনোর সময়ে বিএসএফ গুলি চালায়। বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশে হইহই পড়ে যায়। বাংলাদেশ সরকার এ ঘটনার আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানায় ভারতের কাছে। বাংলাদেশের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন দিল্লি এসেও এ ঘটনা উল্লেখ করে সীমান্তে বিএসএফের গুলিচালনা বন্ধের দাবি জানান। সেই সময়েই ভারত সরকার ফেলানি হত্যাকাণ্ডের বিচারের প্রতিশ্রুতি দেয়। সীমান্তে প্রাণহানি এড়াতে বেশ কিছু পদক্ষেপের কথাও ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব। বিএসএফ-এর হাতে প্রাণঘাতী অস্ত্রের বদলে স্টান গান ও প্লাস্টিক বুলেটের মতো অস্ত্রশস্ত্র দেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু কখনই এই ঘটনার বিচার হয়নি।
তিন মাস আগে বিএসএফের ডিজি সুভাষ জোশী ঢাকায় গিয়ে ঘোষণা করেন, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ফেলানি হত্যার বিচার শীঘ্রই শুরু হবে। তার পরে গত মঙ্গলবার বিএসএফের কোচবিহার সেক্টরের সোনারি ক্যাম্পে জেনারেল সিকিউরিটি কোর্টে বিচার প্রক্রিয়াটি শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে সোমবার সাক্ষ্য দিতে এসে আদালতে কান্নায় ভেঙে পড়েন ফেলানির বাবা নুরুল ইসলাম নুর ও মামা আব্দুল হানিফ। |