এক সিপিএম নেতাকে পিটিয়ে, কুপিয়ে খুনের দায়ে কংগ্রেসের এক ব্লক স্তরের নেতা সহ ৫ সমর্থকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল। মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের (ফাস্ট ট্র্যাক ফাস্ট কোর্ট বিচারক সঞ্জীব শর্মা ওই আদেশ দেন। আদালত সূত্রের খবর, প্রায় ১০ বছর আগে ২০০৩ সালে ৩০ এপ্রিল পঞ্চায়েত ভোটের কয়েকদিন আগে চোপড়ার সিপিএম নেতা আকবর আলিকে খুন করা হয়। ওই ঘটনায় নাম জড়িয়ে যায় কংগ্রেসের নেতা হামিদূল রহমান, অশোক রায়, তাঁর স্ত্রী নমিতা দেবী সহ ৩৮ জনের নাম। বর্তমানে হামিদুলবাবু তৃণমূল বিধায়ক। অশোকবাবু এখনও চোপড়ার ব্লক কংগ্রেস সভাপতি। হামিদুলবাবু, অশোকবাবু, নমিতা দেবী সহ ৩৩ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছে আদালত। আদালত সূত্রের খবর, যে ৫ জনের সাজা হয়েছে তাঁদের মধ্য এক জন কংগ্রেসের চোপড়ার ঘিন্নিগাও অঞ্চল কমিটির সভাপতি মহম্মদ গোলাম মুস্তাফা। তিনি এলাকার এক মাদ্রাসাতে কেরানির কাজ করেন। বাকিরা হলেন কংগ্রেস সদস্য নুরুল ইসলাম, মহম্মদ রিয়াজুল, গৌতম অধিকারী, ভোলুয়া মহম্মদ। তাঁরা প্রত্যেকেই চোপড়ার কংগ্রেস কর্মী হিসেবে পরিচিত।
সরকারি আইনজীবী কাইজার চৌধুরী বলেন, “এ দিন ৩৮ জনকে ইসলামপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক ফাস্ট কোর্টেই তোলা হলে বিচারক ৩৩ জনকে সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাবে নির্দোষ রায় দেন। তবে বাকি ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।” এ দিন অবশ্য খালাস পাওয়ার পরেও কান্নায় ভেঙে পড়েন কংগ্রেসের চোপড়া ব্লক সভাপতি অশোক রায় ও তাঁর স্ত্রী নমিতা রায়। অশোকবাবু বলেন, “আমাকে যে চক্রান্ত করেই ফাঁসানো হয়েছে, তা আজ প্রমাণ হল। তবে আমাদের সমর্থকদেরও জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করব।” চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমান জানান, ন্যায় বিচার হয়েছে। ওই রায়ে খুশি হলেও বাকিরা শাস্তি না পাওয়ায় উচ্চ আদালতে যেতে চান নিহত আকবর আলির স্ত্রী আলেমা খাতুন। তিনি বলেন, “আদালত ৫ জনকে সাজা দিয়েছে বলে আমি খুশি। স্বামীর খুনিরা শাস্তি পেল। তবে বাকিদের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আর্জি জানাব।” |