একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে চুলের মুঠি ধরে মারধর করার অভিযোগে জলপাইগুড়ির শামুকতলার রহিমাবাদ হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ওই প্রধান শিক্ষক ওম প্রকাশ সিংহের বিরুদ্ধে শামুকতলা থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। তারপরে গভীর রাতে তাঁকে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার আলিপুরদুয়ার আদালতে তাঁকে তোলা হলে তিনি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
অভিযোগ, স্কুলের অপরিষ্কার বেঞ্চে বসতে আপত্তি করেছিল ওই ছাত্রী। তখনই প্রধান শিক্ষক তাকে মারধর করেন। প্রধান শিক্ষকের অবশ্য বক্তব্য, “এক ছাত্রীকে শাসন করতে যা করার তাই করেছি। বকাঝকা করে, আলতো করে একটা থাপ্পর মেরেছিলাম। আমার বিরুদ্ধে রং চড়িয়ে অভিযোগ করা হয়েছে।”
তবে ঘটনার প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছে আদিবাসী বিকাশ পরিষদ। পরিষদের দাবি, স্কুল কর্তৃপক্ষ ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
এ দিন উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের একটি বেসরকারি স্কুলে নিচু ক্লাসের বাচ্চাদের উপরে উঁচু ক্লাসের পড়ুয়ারা অত্যাচার করে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সম্প্রতি শিশু শ্রেণির এক ছাত্রীকে শৌচাগারে আটকে রেখে মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই ছাত্রীর বাবা। তাঁর বক্তব্য, “মেয়ে আতঙ্কে স্কুলে যেতেই চাইছে না।”
উঁচু ক্লাসের পড়ুয়ারা চতুর্থ শ্রেণির দুই ছাত্রীর হাতে কাঁটা কম্পাস দিয়ে খুঁচিয়ে দিয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। কয়েকজন অভিভাবকের দাবি, স্কুলের সুনাম ও পড়ুয়াদের শিক্ষার স্বার্থে তাঁরা এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ জানাননি।
তবে এই দিন বেশ কিছু অভিভাবক স্কুলে গিয়ে ঘণ্টা তিনেক ধরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। স্কুল কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপিও দিয়েছেন তাঁরা। কর্ণজোড়া পুলিশ ফাঁড়ির ওসি দিলীপ রায়ের মেয়ে ওই স্কুলের ছাত্রী। এ দিন দিলীপবাবুর নেতৃত্বেই পুলিশকর্মীরা অভিভাবকদের বিক্ষোভ সামাল দেন।
দিলীপবাবু বলেন, “দমদম স্কুলকাণ্ডের জেরে অভিভাবকেরা উদ্বিগ্ন। স্কুল কর্তৃপক্ষকে আমরা নজরদারি আরও বাড়াতে অনুরোধ করেছি। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ জানালে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে।” ওই স্কুল কর্তৃপক্ষ অবশ্য এই ব্যাপারে কোনও রকম মন্তব্য করতে চাননি। |