নতুন করে অনেকে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। অথচ স্প্রে করার জন্য লার্ভা মারার তেল পর্যাপ্ত মিলছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন কাউন্সিলরের একাংশ। রাজ্য স্বাস্থ্যবিষয়ক কমিটি চেয়ারম্যান রুদ্রনাথ ভট্টাচার্যের উদ্যোগে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা ৪০টি দল করে বিভিন্ন ওয়ার্ডে বৃহস্পতিবার থেকে স্প্রে করার কাজে নেমেছেন। শুক্রবার স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়, শিলিগুড়ি পুর এলাকা এবং মহকুমার অন্যান্য অংশে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪৪ জন। শিলিগুড়ি লাগোয়া জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকে নানা এলাকায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা অন্তত ১০০। জ্বর নিয়ে এখনও রোগী আসছে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে এবং উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। শহরের নার্সিংহোমগুলিতেও অনেকে যাচ্ছেন। সোমবার নার্সিংহোমগুলিকে নিয়ে বৈঠক ডেকেছে স্বাস্থ্য দফতর। ডেঙ্গি পরিস্থিতিতে তাদের কী করণীয় সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হবে। এ দিন জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে মাটিগাড়ার শিবির করা হয়। সেই সঙ্গে সেখানে মশা মারার স্প্রে করা হয়েছে। মাটিগাড়া এলাকাতেই অন্তত ২৬ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত রয়েছেন বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রেই জানা গিয়েছে।
৪২, ৪৩, পুর ওয়ার্ডের ডেমডেমা বস্তিতে যেখানে ডেঙ্গির সংক্রমণ সব চেয়ে বেশি তা জলপাইগুড়ি জেলার অধীনে। জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফেও সেখানে লাগাতার সচেতনতা প্রচার প্রচার কর্মসূচি চলছে। এ দিন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব ‘ডেঙ্গি যান’ নামক প্রচার গাড়ির চালু করেন। জলপাইগুড়ির উপমুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পূরণ কুমার শর্মা জানান, বিভিন্ন ওয়ার্ডে মাইকিং করে এলাকার ডেঙ্গি নিয়ে সচেতনতা প্রচার শুরু হয়েছে। আলিপুরদুয়ারেও ডেঙ্গি যান চালু হয়। জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য দফতরের তরফে রক্তের নমুনা সংগ্রহের কাজও চলছে। ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গি আক্রান্ত সন্দেহে অন্তত ৪ জন রোগী চিহ্নিত হয়েছে।
গত ১৪ দিনে প্রতিটি ওয়ার্ডের জন্য ৫ লিটার করে তেল বরাদ্দ করে বরো অফিসগুলিতে পাঠানো হয়েছে। কাউন্সিলরদের একাংশের বক্তব্য তারা ওই তেল পাননি। বরং কেউ ১ লিটার কেউ বা ২ লিটার তেল পান। ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জানান, তিনি দুই লিটারে মতো তেল পেয়েছেন। ব্লিচিং-ও কম পরিমাণে দেওয়া হয়েছে। কাউন্সিলর কমল অগ্রবাল বলেছেন, “ক’দিন ধরেই ওয়ার্ডের নানা জায়গায় মশা মারার তেল স্প্রে করা হচ্ছে। তবে যে পরিমাণ তেল দেওয়া হয়েছে তা পর্যাপ্ত নয়।” তৃণমূলের কাউন্সিলর কৃষ্ণ পালের কথায়, ছোট ওয়ার্ডে স্প্রে করতে যদি ৫ লিটার তেল লাগে তা হলে ৩৪, ৩৫, ৩৬, ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডে অনেক বেশি তেল দরকার। সেই মতো তা পুরসভার সরবরাহ করা উচিত। কর্তৃপক্ষ জানান, ওয়ার্ডগুলিতে যখন যেমন প্রয়োজন হচ্ছে সেই মতো স্প্রে করার তেল দেওয়া হচ্ছে। |