রোগিণীর ‘শ্লীলতাহানি’, গ্রেফতার চিকিৎসক |
হাসপাতালে ওয়ার্ডের ভিতরেই এক কিশোরীর শ্লীলতাহানির অভিযোগে শুক্রবার গ্রেফতার হলেন এক চিকিৎসক। এম আর বাঙুর হাসপাতালের ফিমেল মেডিসিন ওয়ার্ডের ঘটনা। ধৃত মণীশ কুমার স্নাতকোত্তর স্তরে পড়াশোনা করছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।
মঙ্গলবার পেটে ব্যথা নিয়ে বাঙুরে ভর্তি হন ওই কিশোরী। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে ওই ওয়ার্ডে ডিউটি ছিল মণীশের। রোগিণীকে পরীক্ষা করার অছিলায় তিনি তার শ্লীলতাহানি করেন। মেয়েটি পরিবারকে সব কথা জানালে তাঁদের পক্ষে থেকে প্রথমে হাসপাতাল সুপার এবং পরে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়। শুক্রবার হাসপাতাল চত্বর থেকে ধরা হয় মণীশকে। সুপার সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের কিছুই বলার নেই। পুলিশ তদন্ত করবে।” ওয়ার্ডের অন্য রোগিণীরা জানান, রাতের খাওয়া শেষ হওয়ার প্রায় ঘণ্টা দুয়েক পরে ওই চিকিৎসক রাউন্ডে আসেন। তখন অনেকেই ঘুমিয়ে। বিভিন্ন শয্যার পাশে গিয়ে রোগিণীদের সঙ্গে কথা বলছিলেন চিকিৎসক। কাউকে কাউকে পরীক্ষাও করছিলেন। ওই মেয়েটিরও পেটে হাত দিয়ে পরীক্ষা করেন। তার পরে তিনি অন্য শয্যার দিকে এগিয়ে গেলে মেয়েটিকে কাঁদতে দেখা যায়। প্রথমে সে কিছু বলতে চায়নি। পরে কান্নায় ভেঙে পড়ে এবং বাড়ির লোককে গোটা বিষয়টি জানায়।
|
সংক্রামক রোগ, বিমানে উঠতে বাধা যাত্রীকে |
গামছায় মুখ ঢেকে উঠতে যাচ্ছিলেন বিমানে। সঙ্গীরা আড়াল করেই নিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু কলকাতা বিমানবন্দরের টার্মিনাল থেকে বেরোনোর দরজায় বিমান সংস্থার কর্মীরা আটকান ওই যাত্রীকে। দেখা গেল, তাঁর সারা মুখে বসন্তের দাগ। জেরায় অশোক দাস নামে ওই যুবক স্বীকারও করেন, তাঁর চিকেন পক্স হয়েছে। বিমানকর্মীরা জানালেন, সংক্রামক রোগ নিয়ে তাঁকে বিমানে উঠতে দেওয়া সম্ভব নয়।
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, অশোকের বাড়ি পোর্ট ব্লেয়ারে। কিছু দিন আগে ৮০ জনের একটি দলের সঙ্গে তিনি কলকাতা বেড়াতে আসেন। শুক্রবার সকালে ১০টা ৫৫ মিনিটে জেটের বিমানে ফেরার কথা ছিল তাঁদের। অশোক বিমানে উঠতে না পারায় বাকিরা গেটের কাছেই বিক্ষোভ দেখান। বিমানবন্দরের অফিসারেরাও ঘটনাস্থলে আসেন। কিছুক্ষণ টানাপোড়েনের পরে ওই যুবককে কলকাতায় রেখেই দলটি রওনা হয়।
কিন্তু বিমান সংস্থার অভিযোগ, বিমানটি রানওয়ের দিকে গড়াতে শুরু করতেই ভিতরে থাকা ওই যুবকের মা-বাবা এবং অন্য দু’জন বলতে থাকেন, ‘‘বিমান ফিরিয়ে নিয়ে অশোককে নিতে হবে।’’ অন্য যাত্রীদেরও উস্কাতে থাকেন তাঁরা। অগত্যা, পাইলট বিমান নিয়ে ১১টা ৩০ মিনিটে ফিরে আসেন টার্মিনালের কাছে। ওই চার জনকে মালপত্র-সমেত নামিয়ে দিয়ে দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে উড়ে যায় বিমানটি।
|
হাসপাতালে আগুন, আশঙ্কা ৩৭ জনের মৃত্যু |
তখন ভোররাত। ঘুমের মধ্যেই আগুনে পুড়ে মারা গেলেন রাশিয়ার লুকা গ্রামের এক মানসিক হাসপাতালের রোগীরা। স্থানীয় সংবাদ চ্যানেল অনুযায়ী, শুক্রবার রাত ৩টে নাগাদ ওই এক তলা মানসিক হাসপাতালের পুরুষ বিভাগ থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, খবর দেওয়া সত্ত্বেও প্রায় ৪৫ মিনিট পরে দমকল আসে। এর মধ্যে স্থানীয় বাসিন্দারাই উদ্ধারকাজ শুরু করেন। এখনও পর্যন্ত ১৫টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতদের মধ্যে ওই হাসপাতালের এক নার্সও রয়েছেন। সম্ভবত হাসপাতালের রোগীদের উদ্ধার করতে গিয়েই ধোঁয়ায় মারা যান তিনি। পুলিশের দাবি, কোনও রোগী হয়তো রাতে লুকিয়ে ধূমপান করার সময়ে বিছানায় আগুন লাগে। আর তা থেকেই পুরুষ বিভাগে আগুন ধরে যায়। রোগীদের রাতে ঘুম পাড়ানোর জন্য ওষুধ দেওয়া হত। ফলে অনেকেই পালাতে পারেননি। ঘুমের মধ্যেই তাঁরা মারা গিয়েছেন বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা। হাসপাতালটি এমন ভাবে পুড়ে গিয়েছে যে সেটি আর বাসযোগ্য অবস্থায় নেই বলে মনে করছেন কর্তৃপক্ষ। পুতিন বিরোধীদের অবশ্য দাবি, নিজেদের দোষ ঢাকতেই প্রশাসন মানসিক রোগীদের উপর দোষ চাপাচ্ছে। |