কামদুনিতে কলেজছাত্রীকে গণধর্ষণ করে খুনের মামলাটি বারাসত আদালতে ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন আগেই নাকচ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। এ বার কামদুনি মামলার তদন্তভার বিশেষ কোনও তদন্ত সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার আর্জিও খারিজ করে দিল তারা। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এইচ এল দাত্তু এবং বিচারপতি মহম্মদ ইউসুফ ইকবালের ডিভিশন বেঞ্চ ওই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে। কামদুনি মামলা বারাসতে ফেরানোর আবেদন নাকচ করেছিল সর্বোচ্চ আদালতের ওই বেঞ্চই।
ধর্ষিত ও নিহত ছাত্রীর পরিবারের আইনজীবী বিজন ঘোষ ১০ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানান, কলকাতা হাইকোর্টের তত্ত্বাবধানে এই মামলার তদন্ত বিশেষ কোনও তদন্ত সংস্থাকে দিয়ে করানো হোক। একই সঙ্গে তিনি আবেদন জানান, যে-সরকারি আইনজীবী মামলা লড়ছেন, তাঁর বদলে অন্য কোনও দক্ষ আইনজীবীকে নিযুক্ত করা হোক। এ দিন সুপ্রিম কোর্ট জানায়, এই বিষয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানানো যেতে পারে। আদালতে রাজ্য সরকারের আইনজীবী মুকুল রোহতাগি জানান, ওই ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে আইনজীবীর যে-তালিকা দেওয়া হবে, তা তিনি সরকারকে দেবেন।
হাইকোর্টের নির্দেশে কামদুনি মামলার বিচার শুরু হয়েছে কলকাতা জেলা ও দায়রা আদালতে (বিচার ভবন)। মামলার চার্জ গঠনও হয়ে গিয়েছে ১০ সেপ্টেম্বর। রাজ্য প্রশাসন সূত্রের খবর, সরকারের পক্ষ থেকে দীপকরঞ্জন ঘোষকে ওই মামলায় নিযুক্ত করা হয়েছে। ফৌজদারি মামলা লড়ার দীপকবাবুর দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা রয়েছে বলে দাবি করেছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতরের এক কর্তা।
কামদুনি মামলার বিচার পর্ব যাতে গোপনে চালানো না-হয়, সেই জন্য এ দিন বিচার ভবনের আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি ও সঞ্জীব দাঁ। আদালতের ভিতরে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের হাজির থাকার ক্ষেত্রে প্রয়োজনে শর্ত আরোপের কথা বলেন তাঁরা। এ দিনও আট অভিযুক্তকেই বিচারকের সামনে হাজির করানো হয়েছিল। তবে আদালত-চত্বরে বিক্ষোভ দেখানো হয়নি। বিচারক বৃহস্পতিবারেই নির্দেশ দিয়েছেন, আদালত-চত্বর বা লাগোয়া এলাকায় বিক্ষোভ প্রদর্শন, মিছিল করা বা স্লোগান দেওয়া চলবে না। |