|
|
|
|
জমি অমিল, ধাপা জলপ্রকল্পে আশঙ্কা জল সরবরাহ নিয়ে |
কৌশিক ঘোষ • কলকাতা |
ধাপা জলপ্রকল্পের ছ’টি ওভারহেড জলাধার তৈরির জন্য জমি চেয়ে কেএমডিএ এবং সেচ দফতরের দ্বারস্থ হল কলকাতা পুরসভা। এই জলপ্রকল্পের জন্য মোট ১৬টি ওভারহেড জলাধার তৈরি হওয়ার কথা। এর মধ্যে ছ’টির জন্য জমি পাওয়া যাচ্ছে না। এই জলাধারগুলি তৈরি না হলে জল সরবরাহে সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে পুরকর্তৃপক্ষের আশঙ্কা।
|
চলছে ধাপা জলপ্রকল্প তৈরি। |
কলকাতার মেয়র তথা মেয়র পারিষদ (জল) শোভন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ধাপা জলপ্রকল্প থেকে পানীয় জল জলাধারে যাবে। সেখান থেকে বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হবে। কয়েকটি জলাধার তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। কিন্তু ছ’টি জলাধার তৈরির জন্য জমি পাওয়া যাচ্ছে না। কয়েকটির জন্য কেএমডিএ-র কাছে জমি চাওয়া হয়েছে। বাকি জমির জন্য রাজ্য সেচ দফতরকে অনুরোধ করেছি। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।”
সেচমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ধাপা জলপ্রকল্পের পাশে সেচ দফতরের কিছু জমি আছে। কিন্তু নির্দিষ্ট ভাবে কোথায় কত জমি লাগবে তা পুরসভার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ জানান, কলকাতা পুরসভা অনুরোধ করেছে। ওভারহেড জলাধার তৈরির জন্য জমি চিহ্নিত করার কাজ চলছে।
২০০৬-এ ধাপা জলপ্রকল্প তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু আইনি জটিলতায় প্রকল্পটি শুরু হয় ২০০৯-এ। এর পরে বাগবাজার ‘মায়ের ঘাট’ থেকে অপরিস্রুত জল নিয়ে যাওয়ার জন্য জেটি তৈরি এবং প্রায় সাড়ে নয় কিলোমিটার লাইন পাতার সমস্যায় বছরখানেক কাজ আটকে ছিল। ঠিক হয়, কলকাতা পুরসভা ২০১১-র মধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শেষ করবে।
ধাপা জলপ্রকল্প রূপায়িত হলে ইএম বাইপাস-সহ সংলগ্ন কসবা, গড়ফা, পাটুলি, গড়িয়ার একাংশ, আনন্দপুর, তিলজলা এবং তপসিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল উপকৃত হবে।
পুরসভা সূত্রের খবর, ধাপা জলপ্রকল্পের জন্য উত্তর কলকাতার বাগবাজারের ‘মায়ের ঘাট’ থেকে অপরিশোধিত জল পাইপলাইনের মাধ্যমে ট্রিটমেন্ট প্লান্টে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে পরিশোধনের পরে বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হবে। এই জলপ্রকল্পের জন্য একটি বুস্টার পাম্পিং স্টেশন, একটি ভূগর্ভস্থ জলাধার এবং ১৬টি ওভারহেড জলাধার তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে। এই প্রকল্প থেকে দৈনিক ৩ কোটি গ্যালন জল সরবরাহ করা হবে। এ জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৪০ কোটি টাকা। |
জি জে খান রোডে কাজ চলছে বুস্টার পাম্পিং স্টেশন ও ভূগভর্স্থ জলাধারের। |
পুরসভার জল সরবরাহ দফতরের ডিরেক্টর জেনারেল বিভাস মাইতি বলেন, “এখনও পর্যন্ত ১০টি ওভারহেড জলাধার তৈরির জন্য জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। একটি ভূগর্ভস্থ জলাধার তৈরির জমিও পাওয়া গিয়েছে। বাকি ছ’টি ওভারহেড জলাধারের জন্য জমির প্রয়োজন। এগুলি তৈরি না হলে জল সরবরাহের সমস্যা হবে।” তাঁর আশা, আগামী বছরের মাঝামাঝি ধাপা জলপ্রকল্প-সহ অন্য জলাধারগুলি তৈরির কাজ শেষ হবে। কিন্তু বাকি ছ’টি জলাধারের কাজ এর মধ্যে শেষ হবে কি না, তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
|
ছবি: শুভাশিস ভট্টাচার্য
|
পুরনো খবর: মিটল না তৃষ্ণা |
|
|
|
|
|