জিটিএ নির্বাচনে চাপ রাজ্যের, মোর্চার আন্দোলনের হুমকি
গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (জিটিএ) নতুন ‘চিফ এক্সিকিউটিভ’ নির্বাচনের প্রক্রিয়া ফের শুরু করল রাজ্য সরকার। সরকারি সূত্রের খবর, সব কিছু ঠিক থাকলে ২৭ সেপ্টেম্বর ওই সভা হওয়ার কথা। তবে ওই সভা ডাকতে হবে জিটিএ-র চেয়ারম্যানকেই। জিটিএ চেয়ারম্যান প্রদীপ প্রধান বলেন, “ওই দিন বৈঠক করার কথা আমাদের ফোনে জানানো হয়েছে। চিঠি পাইনি। চিঠি পেলে দলে আলোচনা করে পদক্ষেপ করা হবে।” জিটিএ-এর প্রধান সচিব আর ডি মিনাও সরকারি ভাবে নির্দেশ হাতে না আসা পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করতে রাজি নন।
গত ৪ সেপ্টেম্বর জিটিএ চেয়ারম্যান নির্বাচনের জন্য সভা ডাকা হয়েছিল। কিন্তু মাত্র ৪ জন জিটিএ সদস্য সভায় উপস্থিত ছিলেন। তাঁরাও নামমাত্র উপস্থিতি দিয়েই বেরিয়ে যান। সেই সভা ভেস্তে যায়। তারপরে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে নতুন প্রধান বাছার প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে বলে সরকারি তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়।
মোর্চার অবশ্য এখনও দাবি, জিটিএ-র যে সদস্যদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাঁদের আগে মুক্তি দিতে হবে। এ দিন রোশন গিরি বলেন, “গ্রেফতারি অভিযান বন্ধ না হলে শীঘ্রই পাহাড় জুড়ে জেল ভরো আন্দোলনের ডাক দিতে বাধ্য হব।”
কিছু দিনের মধ্যেই তৃণমূল পাহাড়ে শান্তি মিছিল করবে বলে জানিয়েছে। মোর্চার প্রচার সচিব হরকাবাহাদুর ছেত্রীর অভিযোগ, “দার্জিলিঙে মিছিল করে বাংলাকে ভাগ হতে দেব না বললে লোকসভা ভোটে সমতলে কিছু ভোট বাড়তে পারে বলে ভাবছে তৃণমূল। কিন্তু তাতে পাহাড়ে যে অশান্তি হতে পারে, তা ভাবছে না।”
যদিও তৃণমূলের উত্তরবঙ্গ কোর কমিটির নেতা গৌতম দেব বলেন, “শান্তি মিছিলের দিন এখনও স্থির হয়নি। ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাহাড়ে তৃণমূলের একাধিক কর্মসূচি রয়েছে। আমি নিজেও একাধিক বার পাহাড়ে যাব। তার পরে কোনও একদিন শান্তি মিছিলের দিন ঠিক করা হবে। তবে তৃণমূল যে পাহাড়ে অশান্তি চায় না, এটা দার্জিলিং সহ গোটা দেশের মানুষই জানেন।”
এ দিন সকালে গরুবাথান থেকে নারী মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কবিতা গুরুঙ্গ এবং কালিম্পং মহকুমা কমিটির সদস্য উষা লামাকে গ্রেফতার করা হয়। দু’জনের বিরুদ্ধেই মোর্চার বন্ধের সময়ে রাস্তা অবরোধ করে রাখা এবং বিনা অনুমতিতে মিছিল করা সহ একাধিক অভিযোগ ছিল। মোর্চার কালিম্পং ব্লক সাধারণ সম্পাদক পদম খাওয়াস বলেন, “পুলিশ প্রশাসন আমাদের উপর ক্রমাগত চাপ বাড়িয়েই চলেছে। তাই আইন মেনে নিজেরাই আত্মসমর্পণ করব বলে স্থির করেছি।” যদিও সময় পেরিয়ে যাওয়ায় তাঁরা আত্মসমর্পণ করতে পারেননি।
দার্জিলিং চেম্বার অব কর্মাসের সভাপতি ব্রিজমোহন গর্গকে এ দিন দার্জিলিং জেলা আদালতে তোলা হয়। তাঁকে দু’দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে বন্ধের সময়ে অবরোধ করার অভিযোগে ধৃত হিমাংশু গর্গ এ দিন জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। তিনি ওই চেম্বার অব কর্মাসের জনসংযোগ আধিকারিক।

পুরনো খবর:





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.