প্রধানশিক্ষককে হেনস্থা করার অভিযোগের তদন্ত করতে খাতড়া হাইস্কুলে গেলেন সিআইডি-র গোয়েন্দারা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিআইজি (সিআইডি) শঙ্করপ্রসাদ চক্রবর্তী ওই হাইস্কুলে গিয়ে প্রধানশিক্ষক এবং সহ শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন। প্রত্যেকের বক্তব্য ভিডিও রেকর্ডিং করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত এপ্রিল মাসে খাতড়া হাইস্কুলের শিক্ষক সুবীর মণ্ডল, পার্থসারথি গড়াই, গুণধর ঘোষ-সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ করেছিলেন প্রধানশিক্ষক চিত্তরঞ্জন হাজরা। গত ১৬ জুলাই চিকিৎসা করানোর কথা উল্লেখ করে তিনি স্কুল থেকে ছুটি নেন। পরে ওই হেনস্তার অভিযোগ নিয়ে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। হাইকোর্ট অভিযোগ সম্পর্কে সিআইডি-কে খোঁজ করতে নির্দেশ দেয়। প্রাথমিক ভাবে প্রধানশিক্ষককে অভিযোগের সত্যতা রয়েছে বলে সিআইডি হাইকোর্টকে জানায়। সিআইডি-র নির্দেশে গত ২৪ অগস্ট ওই তিন শিক্ষক-সহ স্কুলের ৯ জন সহ-শিক্ষকের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। সম্প্রতি ওই মামলায় ৯ জন শিক্ষকই খাতড়া আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন।
এ দিন দুপুর সওয়া দু’টো নাগাদ খাতড়া হাইস্কুলে যান ডিআইজি (সিআইডি)। প্রধানশিক্ষকের অফিসে প্রত্যেককে ডেকে তিনি অভিযোগ সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রথমে চিত্তরঞ্জনবাবুকে জেরা করা হয়। এর পরে সুবীরবাবু, পার্থসারথিবাবু, গুণধরবাবু-সহ অন্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রধান শিক্ষক বলেন, “স্কুলে কাজ করতে গিয়ে কী ভাবে আমি সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি তা আগে সিআইডি-কে জানিয়েছিলাম, এ দিনও বলেছি। স্কুল ঠিক ভাবে চলুক এটাই চাই।” পার্থসারথিবাবু বলেন, “প্রধান শিক্ষক আমাদের প্রতি কেমন ব্যবহার করেন, তা সবিস্তারে গোয়েন্দা কর্তাকে জানিয়েছি। প্রধান শিক্ষকের অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করায় তিনি যে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন, তা-ও জানিয়েছি।” জেরা চলে বেশ রাত পর্যন্ত। |