প্রধানশিক্ষককে হেনস্তায় অভিযুক্ত বাঁকুড়া জেলার খাতড়া হাইস্কুলের তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা শুরু করা হয়েছে বলে হাইকোর্টকে জানাল সিআইডি। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ওই রিপোর্ট জমা দেন ডিআইজি (সিআইডি)। এর পরেই বিচারপতি প্রধানশিক্ষকের রুজু করা মামলাটি নিস্পত্তি করে দেন। ঘটনাচক্রে এ দিনই খাতড়া আদালতে ওই তিন শিক্ষক-সহ অভিযুক্ত নয় শিক্ষক খাতড়া আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। বিচারক ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন মঞ্জুর করেন। শাসক দলের সমর্থক তিন সহকারী শিক্ষক তাঁকে ক্রমাগত হেনস্থা করতে থাকায় স্কুল চালানো দুষ্কর হয়ে উঠেছে বলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন খাতড়া হাইস্কুলের প্রধানশিক্ষক চিত্তরঞ্জন হাজরা। তার আগে গত এপ্রিল মাসে তিনি খাতড়া থানায় ওই তিন শিক্ষক-সহ মোট ৯ জন সহশিক্ষকের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ করেছিলেন তিনি। হাইকোর্টের নির্দেশে সিআইডি অভিযোগের প্রাথমিক তদন্ত করে ২৭ অগস্ট রিপোর্ট দিয়ে চিত্ররঞ্জনবাবুর অভিযোগ সত্য বলে দাবি করেছিল। এরপরেই বিচারপতি ওই স্কুল যাতে ঠিকমতো চলে সে জন্য জেলা স্কুল পরিদর্শককে নির্দেশ দেন। প্রধানশিক্ষক যাতে ২৯ অগস্ট থেকে স্কুলে যোগ দিয়ে নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয় পুলিশকে। গত ১৬ জুলাই থেকে ছুটিতে থাকা প্রধানশিক্ষক নির্দিষ্ট দিন থেকে স্কুল করছেন। বাঁকুড়া জেলা পুলিশের এক কর্তার দাবি, “গত এপ্রিলে থানায় অভিযোগ করলেও ওই প্রধানশিক্ষক নির্দিষ্ট ভাবে কেস না করার জন্য বলেছিলেন। তাই কেস হয়নি। পরে তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার পরে সিআইডি-র নির্দেশে গত ২৪ অগস্ট সুবীর মণ্ডল, পার্থসারথি গড়াই, গুণধর ঘোষ সহ- ৯ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।” ,এ দিন পার্থসারথিবাবু ও সুবীরবাবু অবশ্য দাবি করেছেন, “সিআইডি তদন্ত করে আমাদের দোষী সাব্যস্ত করেনি। প্রধানশিক্ষকের বহু অন্যায় কাজের আমরা বিরোধিতা করেছি বলেই তিনি নানা ভাবে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। আদালতেই তা প্রমাণিত হবে।” প্রধানশিক্ষক এ দিনও বলেন, “স্কুলে সবাই নিজের কাজ ভাল করে করুক এটাই আমি চাই। বিচারাধীন বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না।” |