খানাখন্দে ভরা রাস্তায় উল্টোল গাড়ি, মৃত পাঁচ
ধানের বস্তা বোঝাই মিনিট্রাক উল্টে মৃত্যু হল পাঁচ জনের। জখম হয়েছেন আরও ছ’জন। বৃহস্পতিবার ভোরে বাঁকুড়া-দুর্গাপুর ৯ নম্বর রাজ্য সড়কে বড়জোড়ার তারা সিংহ সেতুর কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ও আহতেরা সকলেই বর্ধমানের গলসি থানার পারাজ এলাকার বাসিন্দা। মৃতেরা হলেন বাতন বাগদি (২৬), বেবু বাগদি (২৪), বাপি বাগদি (২৮), মাদাই বাগদি (২৮) ও পূর্ণ দেওড়ি (২৫)। পুলিশ সূত্রের খবর, পুরুলিয়া জেলা থেকে ধান সংগ্রহ করে গলসি ফিরছিলেন ১১ জন। সকলেই গাড়িতে মাল বোঝাইয়ের কাজ কাজ করেন। পথে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি উল্টে গেলে চার জন গাড়ির তলায় চাপা পড়েন। ঘটনাস্থলেই তাঁদের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
ওই রাজ্য সড়কের বাঁকুড়া (বিশেষ করে বড়জোড়া) থেকে দুর্গাপুর পর্যন্ত অংশটি অত্যন্ত বেহাল। প্রচুর খানখন্দ রয়েছে। বর্ষায় অবস্থা আরও শোচনীয় হয়েছে। বড়জোড়ার বাসিন্দা প্রাণেশ চট্টোপাধ্যায়, বিপ্লব মুখোপাধ্যায়রা বলেন, “এই রাস্তায় হামেশাই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। বিশেষ করে অসুবিধা হয় দু’চাকার আরোহীদের। প্রাণ হাতে করেই আমাদের মোটরবাইক চালাতে হয়।” এলাকার বাসিন্দারা অবিলম্বে রাস্তা মেরামতির দাবি তুলেছেন। বড়জোড়া থানা এক পুলিশ অফিসারের কথায়, “এমনিতেই রাস্তাটি দুর্ঘটনাপ্রবণ। বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানোয় দুর্ঘটনা আরও বাড়ে। আর এখন রাস্তার হাল যা, তাতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা আরও বেড়েছে।” প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, ধান বোঝাই মিনিট্রাকটিও প্রচণ্ড গতিতে চলছিল। হঠাৎ করে কোনও বড় গর্তে পড়ে বা কোনো গর্তকে পাশ কাটাতে গিয়ে সেটি উল্টে যায়। এই রাস্তা সংস্কারের দায়িত্ব পূর্ত দফতরের। ওই দফতরের এক আধিকারিক বলেন, “ওই রাস্তার খানখন্দ ভরাট করার কাজ শুরু হয়েছে।” যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এমন কোনও মেরামতির কাজ তাঁদের চোখে পড়েনি।
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মাদাই। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমেছে পারাজ এলাকায়। মৃত বাপির স্ত্রী চায়না বাগদি বলেন, “গত সোমবার ধান বোঝাই করতে পুরুলিয়া গেল। সকালে এই দুঃসংবাদ পেলাম। আমার দু’টো ছোট ছোট ছেলেমেয়ে রয়েছে। এ বার আমাদের কী হবে?” বাতন বাগদির দাদা বলেন, “ভাইয়ের স্ত্রী আর ছেলেমেয়ে রয়েছে। পরিবারের মধ্যে ও একাই রোজগার করত। ওরা অনাথ হয়ে পড়ল।” বাঁকুড়া মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন হেমন্ত বাগদি, কালু হাজরারা বলেন, “আমরা প্রায় ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। হঠাৎ একটা প্রচণ্ড ঝাঁকুনি হল। আর কিছু মনে নেই।” আহতেরা চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.