কিন্তু এ তো গেল পরিবহণমন্ত্রীর নয়া ঘোষণার ফল। কিন্তু আগে থেকেই যে সব রাস্তায় পার্কিং নিষিদ্ধ ছিল, সে সব রাস্তায় দেখা গিয়েছে উল্টো ছবি।
কিন্তু ওই রাস্তাগুলিতে পুলিশ জেনেশুনেও কেন বেআইনি পার্কিং বন্ধ করতে পারছে না? লালবাজারের এক আধিকারিক জানান, প্রতিটি ট্রাফিক গার্ড নিজের এলাকায় প্রতিদিন টহলদারি চালায়। রোজ বেআইনি গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযানও চালানো হয়। কেস দেওয়া হয়। তবে, পুরো বিষয়টি লালবাজারের হাতে থাকে না। পুরসভাও বেশ কিছু রাস্তায় পার্কিং এলাকা দেখভাল করে।
কিন্তু বৃহস্পতিবার থেকে নতুন যে রাস্তাগুলি যোগ হল, সেখানে বেআইনি পার্কিং কি রোজ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে পুলিশ? লালবাজারের ওই আধিকারিকের কথায়, “কোনও অংশের পার্কিং রাতারাতি তোলা যাবে না। এর জন্য সময় লাগবে।” তাঁর মতে, কলকাতা শহরে গাড়ির সংখ্যা যে ভাবে বেড়েছে, সেই তুলনায় গাড়ি দাঁড় করানোর জন্য অফিসপাড়া বা রাস্তার আশপাশে কোনও ব্যবস্থাই নেই। তা ছাড়া উত্তর থেকে দক্ষিণ রাস্তার উপরে বহু জায়গায় অটো এবং ট্যাক্সিস্ট্যান্ড রয়েছে। ফলে মন্ত্রীর ঘোষণা মতো ওই সব রাস্তার দু’ধার থেকে গাড়ি পার্কিং তোলা গেলেও, অটো বা ট্যাক্সি স্ট্যান্ড তুলতে গেলে আলোচনায় বসতে হবে।
তবে পরিবহণমন্ত্রীর ঘোষণা মতো যে সিঁথি থেকে টালিগঞ্জ পর্যন্ত বড় রাস্তায় এ দিন পার্কিং নিষিদ্ধ করা হয়েছে সে সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয় কলকাতা পুরসভা। পুরসভার পার্কিং দফতরের এক পদস্থ অফিসার জানান, সিঁথি থেকে টালিগঞ্জ পর্যন্ত বড় রাস্তার পাশে থাকা পার্কিং সরানোর কোনও নির্দেশ পুরসভায় এ দিনও আসেনি। পুরকর্তাদের বক্তব্য, পার্কিং সরানোর ব্যাপারে পুর প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন মদনবাবু। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে পরিবহণ দফতর তাঁদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করেনি বলে পুরকর্তাদের অভিযোগ।
|