গলি থেকে রাজপথ, থোড়াই কেয়ার নো-পার্কিং
রাস্তার পাশে ফুটপাথে লাগানো রয়েছে কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের ‘নো-পার্কিং’ বোর্ড। কিন্তু সেখানেই সার দিয়ে দাঁড় করানো গাড়ি। কিছু দূরেই গাড়ি নিয়ে পাহারা দিচ্ছে ট্রাফিক পুলিশ। আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু রোড-শেক্সপিয়র সরণি সংযোগস্থলের দৃশ্য। বৃহস্পতিবার দুপুর ২টো।
একই দৃশ্য সৈয়দ আমির আলি অ্যাভিনিউয়ে। বিকেল ৩টের সময়ে বালিগঞ্জ ফাঁড়ির পর থেকেই দেখা গেল বেআইনি ভাবে গাড়ি দাঁড়িয়ে। একই দৃশ্য সার্দান অ্যাভিনিউয়ে। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতিদিনই ওই রাস্তাগুলিতে বেআইনি ভাবে গাড়ি দাঁড় করানো থাকে।
পরিবহণমন্ত্রী বুধবার ঘোষণা করেছিলেন, সিঁথি থেকে টালিগঞ্জ পর্যন্ত বড় রাস্তার দু’ধারে এবং সংযোগকারী রাস্তার দু’ধারে গাড়ি দাঁড়ানোর অনুমতি দেওয়া হবে না। মন্ত্রীর এই ঘোষণার পরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ওই রাস্তাগুলিতে পার্কিং তোলার জন্য ট্রাফিক পুলিশের সক্রিয়তা ছিল চোখে পড়ার মতো। সিঁথি থেকে টালিগঞ্জ বড় রাস্তার দু’ধারে কোনও গাড়ি দাঁড়াতে দেয়নি পুলিশ। বড় রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করাতে না পেরে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, যতীন্দ্রমোহন অ্যাভিনিউয়ের পাশে যে সব ছোট রাস্তা রয়েছে, সেখানে গাড়ি রেখেছেন চালকেরা। ফলে ওই সব ছোট রাস্তায় উপচে পড়েছে গাড়ি।

নো-পার্কিং বোর্ডের সামনেই সার দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে গাড়ি।
বৃহস্পতিবার, বেকবাগান এলাকায়। —নিজস্ব চিত্র।
কিন্তু এ তো গেল পরিবহণমন্ত্রীর নয়া ঘোষণার ফল। কিন্তু আগে থেকেই যে সব রাস্তায় পার্কিং নিষিদ্ধ ছিল, সে সব রাস্তায় দেখা গিয়েছে উল্টো ছবি।
কিন্তু ওই রাস্তাগুলিতে পুলিশ জেনেশুনেও কেন বেআইনি পার্কিং বন্ধ করতে পারছে না? লালবাজারের এক আধিকারিক জানান, প্রতিটি ট্রাফিক গার্ড নিজের এলাকায় প্রতিদিন টহলদারি চালায়। রোজ বেআইনি গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযানও চালানো হয়। কেস দেওয়া হয়। তবে, পুরো বিষয়টি লালবাজারের হাতে থাকে না। পুরসভাও বেশ কিছু রাস্তায় পার্কিং এলাকা দেখভাল করে।
কিন্তু বৃহস্পতিবার থেকে নতুন যে রাস্তাগুলি যোগ হল, সেখানে বেআইনি পার্কিং কি রোজ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে পুলিশ? লালবাজারের ওই আধিকারিকের কথায়, “কোনও অংশের পার্কিং রাতারাতি তোলা যাবে না। এর জন্য সময় লাগবে।” তাঁর মতে, কলকাতা শহরে গাড়ির সংখ্যা যে ভাবে বেড়েছে, সেই তুলনায় গাড়ি দাঁড় করানোর জন্য অফিসপাড়া বা রাস্তার আশপাশে কোনও ব্যবস্থাই নেই। তা ছাড়া উত্তর থেকে দক্ষিণ রাস্তার উপরে বহু জায়গায় অটো এবং ট্যাক্সিস্ট্যান্ড রয়েছে। ফলে মন্ত্রীর ঘোষণা মতো ওই সব রাস্তার দু’ধার থেকে গাড়ি পার্কিং তোলা গেলেও, অটো বা ট্যাক্সি স্ট্যান্ড তুলতে গেলে আলোচনায় বসতে হবে।
তবে পরিবহণমন্ত্রীর ঘোষণা মতো যে সিঁথি থেকে টালিগঞ্জ পর্যন্ত বড় রাস্তায় এ দিন পার্কিং নিষিদ্ধ করা হয়েছে সে সম্পর্কে ওয়াকিবহাল নয় কলকাতা পুরসভা। পুরসভার পার্কিং দফতরের এক পদস্থ অফিসার জানান, সিঁথি থেকে টালিগঞ্জ পর্যন্ত বড় রাস্তার পাশে থাকা পার্কিং সরানোর কোনও নির্দেশ পুরসভায় এ দিনও আসেনি। পুরকর্তাদের বক্তব্য, পার্কিং সরানোর ব্যাপারে পুর প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন মদনবাবু। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে পরিবহণ দফতর তাঁদের সঙ্গে কোনও আলোচনা করেনি বলে পুরকর্তাদের অভিযোগ।

পুরনো খবর:
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.