দাদা কংগ্রেস কর্মী, সহোদর সিপিএম। জমি নিয়ে দুই দলের সমর্থক দুই ভাইয়ের পারিবারিক বিবাদ কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ল কংগ্রেস ও সিপিএম। মালদহে রতুয়ার সাহারাতলা এলাকায় বুধবার সকালে ওই ঘটনাটি ঘটেছে। সংঘর্ষে দুপক্ষেরই ১৩ জন জখম হন। তাঁদের মধ্যে ৬ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মালদহ মেডিকেল কলেজে ও বাকিদের সামসি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। গন্ডগোলের সময় দুটি বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে সিপিএম কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। কংগ্রেসের তরফে ২৪ সিপিএম কর্মী সমর্থদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হলেও বিকাল অবধি সিপিএমের তরফে অভিযোগ জানানো হয়নি বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে। মালদহের পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেছেন, “এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। দুপক্ষে অভিযোগ করলে সব খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ির পাশে একটি জমি নিয়ে কংগ্রেস কর্মী দাদা হবিবুর রহমান এবং সিপিএমের কর্মী ভাই আমির হোসেনের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরেই বিবাদ চলছে। ওই জমি নিয়ে বিবাদকে কেন্দ্র করে একাধিকবার দুজনের মধ্যে মারামারির ঘটনাও ঘটেছে। বিষয়টি নিয়ে গ্রামে একাধিক বার সালিশি বসলেও সমস্যার সমাধান হয়নি।
এ দিন পুলিশি সূত্রে জানা যায়, ওই জমিতে বাঁশ, কাঠ বোঝাই করেন ভাই আমির। এদিন দাদা হবিবুরের ছেলে রবিউল পরিবারের লোকজনদের নিয়ে তা সরাতে গেলে দুপক্ষের বিবাদ বেঁধে যায়। ওই সময় সিপিএমের কর্মী সমর্থকরা আমিরের পক্ষ নিয়ে হবিবুরের পরিবারের উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ। তাদের মার খেতে দেখে হবিবুরের পক্ষ নিয়ে ছুটে যান এলাকার কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা। তার পরই দুপক্ষের সংঘর্ষ বেঁধে যায়। রতুয়া-১ ব্লক কংগ্রেস সভাপতি আব্দুল হান্নান বলেন, “ওটা দুই ভাইয়ের পারিবারিক বিবাদ। কিন্তু এলাকা দখলে রাখতে পরিকল্পনা করেই সিপিএম হামলা চালিয়েছে।”
এই প্রসঙ্গে এ দিন সিপিএমের রতুয়া জোনাল কমিটির সম্পাদক জহুর আলমের অভিযোগ, “দুই ভাইয়ের গণ্ডগোল দেখে দলের কয়েক জন তা মেটাতে গিয়েছিল। তখনই তাদের উপর হামলা চালানো হয়। তা নিয়ে এখন অযথা রাজনীতি করা হচ্ছে।” |