টুকরো খবর |
তামাকে লাগাম পরানো যাচ্ছে না, চিন্তিত কেন্দ্র
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
দেশের ৩৩টি রাজ্যে ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ হয়েছে গুটখা। বিধিনিষেধ জারি হয়েছে প্রকাশ্য ধূমপানেও। তা সত্ত্বেও গোটা দেশে তামাকজাত পর্দাথের বিক্রির হার যে আশানরূপ কমেনি, তা আজ প্রকারান্তরে স্বীকার করে নিলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। পরিসংখ্যান বলছে, গত শতাব্দীতে তামাকজাত পদার্থ ব্যবহারের কারণে প্রায় দশ কোটি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আজ দিল্লিতে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ বলেন, “এই শতাব্দীতে ওই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে অন্তত একশো কোটিতে।” প্রকাশ্যে ধূমপানে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় দেশে সিগারেট উৎপাদন কিছুটা কমলেও গোটা বিশ্বে তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে ভারত এক নম্বরে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বক্তব্য গুটখা, জর্দা, খৈনির মতো তামাকজাত দ্রব্যের নেশায় বিশ্বের সব দেশকে পিছনে ফেলে দিয়েছে ভারত। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ বলেন, “এই কারণে মুখের ক্যান্সারে ভারত এক নম্বরে, যার ৯০ শতাংশ হয় গুটখা, জর্দা, খৈনির জন্য। বর্তমানে দেশের প্রায় ২৭.৫ কোটি মানুষ তামাকের নেশায় আসক্ত।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের লক্ষ্য তামাকহীন সমাজ গড়া। কিন্তু তা করতে গেলে সবার আগে যারা তামাক চাষ ও ওই শিল্পে জড়িত, তাদের বিকল্প জীবিকার সুযোগ করে দিতে হবে।”
|
সর্পদষ্ট হয়ে মৃত্যু, চিকিৎসায়
গাফিলতির
অভিযোগ তুলে ভাঙচুর নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়দিঘি |
চিকিৎসার গাফিলতিতে মৃত্যুর অভিযোগে বুধবার সকাল থেকে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বিক্ষোভ চলল রায়দিঘি গ্রামীণ হাসপাতালের সামনে। হাসপাতালের দরজা-জানলার কাচ ভাঙা হয় বলেও অভিযোগ। পরে রায়দিঘি থানার পুলিশ ও র্যাফ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে রায়দিঘির কৌতলা মাঝেরহাট গ্রামের বিক্রম মাঝি (১৩) ও তার ভাই প্রীতম মাঝিকে (৮) সাপে ছোবল মারে। রাত ২টো নাগাদ তাদের রায়দিঘি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাদের ডায়মন্ডহারবার মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসক তারা মৃত বলে জানান। এর পরেই মৃতের পরিবার ও গ্রামের লোকজন দেহ নিয়ে চড়াও হন রায়দিঘি গ্রামীণ হাসপাতালে। শুরু হয় বিক্ষোভ-ভাঙচুর। ডেপুটি সিএমওএইচ ত্রিদিব দাস ঘটনাস্থলে আসেন। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, হাসপাতালে আনার পর ঠিক করে চিকিৎসা হলে শিশু দু’টির মৃত্যু হত না।” ত্রিদিববাবু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “হাসপাতালে আনার সঙ্গে সঙ্গে শিশু দু’টির চিকিৎসা শুরু হয়েছিল। পরে তাদের অবস্থার অবনতি হলে ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল।”
|
ফের চালু হল সংক্রামক বিভাগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • রামপুরহাট |
টানা ছ’ মাস বন্ধ থাকার পর ফের রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে চালু হল সংক্রামক বিভাগ। সোমবার বিকেল থেকে হাসপাতালে ভর্তি থাকা ডায়েরিয়া ও অন্যান্য সংক্রামক রোগীদের ওই ওয়ার্ডে নিয়ে আসা হয়। হাসপাতাল সুপার হিমাদ্রি হালদার বলেন, “হাসপাতালে একটি পৃথক ওয়ার্ড চালানোর মতো প্রয়োজনীয় নার্স ছিল না। সম্প্রতি স্থানীয় ব্লক ও প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে বেশ কয়েকজন নার্সকে রামপুরহাট হাসপাতালে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, হাসপাতালের নার্স যাঁরা প্রশিক্ষণের জন্য বাইরে বা মাতৃত্বকালীন ছুটিতে ছিলেন, তাঁরাও ফিরে এসেছেন। আরও কিছু সমস্যা থাকলেও পুনরায় ওই ওয়ার্ড খোলা হয়েছে।” তবে শয্যা সংখ্যা ২৮৬ থেকে বাড়িয়ে ৫০০ না করা হলে জেলা হাসপাতালের মতো পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হবে নয় বলে সুপার জানান।
|
রিপোর্ট তলব ডিএমের
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া |
সদর হাসপাতাল চত্বরের ঠিক বাইরে কুকুরের মুখে সদ্যোজাতের মুন্ডু কী ভাবে এল, জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কাছে তা জানতে চাইবেন পুরুলিয়ার জেলাশাসক তন্ময় চক্রবর্তী। পাশাপাশি ৪৮ ঘণ্টায় ন’টি শিশুর মৃত্যু নিয়েও স্বাস্থ্য দফতরের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। বুধবার জেলাশাসক বলেন, “ঠিক কী কারণে শিশুমৃত্যু হয়েছে, তার রিপোর্ট চেয়েছি। আর হাসপাতাল চত্বরের কাছাকাছি কুকুরের মুখে একটি সদ্যোজাতের মাথা দেখা গিয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে খবর এসেছে। এই বিষয়টি নিয়েও জানতে চেয়েছি।” এ রকম ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখার পরে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে মৃত সদ্যোজাতদের দেহ সঠিক ভাবে সুরক্ষিত রাখা হয় কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। হাসপাতালের সুপার নীলাঞ্জনা সেন এই অভিযোগ উড়িয়ে দিলেও এ দিন তিনি স্বীকার করেছেন, এমন দৃশ্য দেখা গিয়েছে। তিনি বলেন, “এটা খতিয়ে দেখা হবে।” তবে সদ্যোজাতের মৃতদেহ হাসপাতালের মর্গে সুরক্ষিতই রাখা হয় বলে তাঁর দাবি।
পুরনো খবর: পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে এ বার দু’দিনে মৃত ৯ শিশু
|
বোলপুরে বিক্ষোভ
নিজস্ব সংবাদদাতা • বোলপুর |
উপযুক্ত পরিষেবার দাবিতে বুধবার বোলপুর থানার বড়শিমূলিয়ায় বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। প্রায় আধ ঘণ্টা পরে নিজেরেই বিক্ষোভ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিজস্ব ভবন না থাকায় বড়শিমূলিয়ার উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রটি দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় অঙ্গনওয়াড়িকেন্দ্র চলছে।
|
উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রে জমায়েত। —নিজস্ব চিত্র |
সম্প্রতি ওই উপস্বাস্থ্যকেন্দ্রের নতুন ভবন নির্মাণ হয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, নতুন ভবনে তো স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে স্থানান্তরিত করা হয়নি। পরিষেবাও ঠিক মতো মিলছে না। সহ-মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক (বোলপুর) জয়ন্ত সুকুল বলেন, “কী হয়েছে খোঁজ নিয়ে দেখছি। পরিষেবা বিঘ্নিত হচ্ছে কি না এবং এলাকাবাসীর অভিযোগ সম্পর্কে বোলপুরের বিএমওএইচ-এর কাছে রিপোর্ট চেয়েছি।”
|
হাসপাতালে হামলা, মার
নিজস্ব সংবাদদাতা • দুর্গাপুর
|
এক প্রসূতির মৃত্যুর পরে গাফিলতির অভিযোগ তুলে মারধর করা হল দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার ও কর্তব্যরত চিকিৎসককে। জেমুয়ার বাসিন্দা ওই মহিলার প্রসব অবশ্য বাড়িতেই হয়েছিল। পরে পরিস্থিতি সঙ্কটজনক হওয়ায় বুধবার রাত তাঁকে হাসপাতালে আনা হয়। ঘণ্টাখানেক বাদে, রাত ১০টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু ঘটে। এর পরেই তাঁর বাড়ির লোকজন খেপে ওঠেন। অভিযোগ, ওয়ার্ড মাস্টার শঙ্কর কাপুরির ঘরে ঢুকে তাঁরা চেয়ার-টেবিল উল্টে দেন। শঙ্করবাবুকে মারধরও করেন। পুলিশ গিয়ে চার জনকে আটক করেছে।
|
স্বাস্থ্য শিবির
নিজস্ব সংবাদদাতা • রানিগঞ্জ
|
আইএম রানিগঞ্জ ও তৃণমূলের রানিগঞ্জ ৪ নম্বর ওয়ার্ড কমিটির যৌথ উদ্যোগে রক্তের শ্রেণি নির্ণয়, চোখ ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবির হয়ে গেল বুধবার। রানিসায়ের গ্রামে ১৪ জন চিকিৎসক ৫০০ জনের চিকিৎসা করেন। শিবিরে স্বামী বিবেকানন্দের জীবন ও দর্শন সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন রানিগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সেনাপতি মণ্ডল, তৃণমূলের প্রদেশ কমিটির সদস্য কাঞ্চন তিওয়ারি প্রমুখ।
|
মৃগীর চিকিৎসায় |
মৃগী রোগের চিকিৎসায় ‘লং টার্ম ভিডিও ইইজি মনিটরিং’ চালু হল কলকাতার এক বেসরকারি স্নায়ুরোগ হাসপাতালে। বুধবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে হাসপাতালের চিফ ম্যানেজিং ডিরেক্টর রমাপ্রসাদ সেনগুপ্ত জানান, রোগীর মস্তিষ্কের সঙ্গে যন্ত্রটিকে টানা ৭২ ঘন্টা জুড়ে রাখা যাবে। এই পদ্ধতিতে মস্তিষ্কের ঠিক কোন অংশে সমস্যার সূত্রপাত তা চিহ্নিত করা সম্ভব। ফলে মৃগীর মতো রোগ থেকে এ বার মুক্তি পাওয়ার আশা অনেক বেড়ে গেল বলে চিকিৎসকদের অভিমত।
|
|