ভুয়ো নথি জমা দিয়ে ভূমিহারা কোটায় চাকরির অভিযোগে জলপাইগুড়ির ১৬ জন প্রাথমিক শিক্ষককে বরখাস্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ কতৃর্পক্ষকে সরকারি অভিশংসকের দফতর থেকে ওই নির্দেশ পাঠিয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। ভূমিহীনদের চাকরি সংক্রান্ত একটি মামলায় গত বছরের জুলাই মাসে কলকাতা হাইকোটের্র নির্দেশে জলপাইগুড়ি জেলাশাসকের দফতর থেকে তদন্ত শুরু হয়। জেলার ২২ জন প্রাথমিক শিক্ষকের নথি খতিয়ে দেখে তদন্ত কমিটি। জেলাশাসকের দফতরে ডেকে পাঠানো হয় ওই শিক্ষকদের। গত বছরেরই সেপ্টেম্বর মাসে প্রকাশিত সেই তদন্ত রিপোর্টে জানানো হয়, ভূমিহীন কোটায় চাকরি পাওয়া জেলায় ১৬ জন প্রাথমিক শিক্ষক, নিয়োগের সময়ে যে নথি দাখিল করেছিলেন সেগুলি ভুয়ো। তৎকালীন জেলাশাসক স্মারকী মহাপাত্র অভিযুক্ত শিক্ষকদের বরখাস্ত করার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ মেনে কাজ না হওয়ায় গত মঙ্গলবার জেলার সরকারি অভিশংসক গৌতম দাস প্রশাসনের তরফে আইনি নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন। বুধবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারমান ধর্তিমোহন রায় বলেন, “অভিশংসকের নির্দেশ পেয়েছি। প্রশাসনের নির্দেশমত পদক্ষেপ করা হবে।” ২০০৭ সালে জলপাইগুড়িই ৪ বাসিন্দা হাইকোর্টে ভূমিহারাদের নিয়োগ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। সেই মামলাতেই হাইকোর্টের তরফে জেলা প্রশাসনকে ভূমিহারা কোটায় চাকরি প্রাপ্তদের নথি খতিয়ে দেখে তদন্তের নির্দেশ দেয়। দেখা যায়, ১৬ প্রাথমিক শিক্ষকের ভূমিহারার শংসাপত্র বৈধ নয়। প্রশাসনের তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী পদক্ষেপ করে তার রিপোর্ট পাঠাতেও বলা হয়েছে সংসদকে। প্রাথমিক শিক্ষক সংসদের চেয়ারমান ধর্তিবাবুর কথায়, “প্রশাসনের তদন্তে এই ঘটনা উঠে আসার পরে, অন্য বছরে কোনও অভিযোগ খতিয়ে দেখা হতে পারে।” |