ছাত্রীদের যৌন নিগ্রহ করার অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত পুরুলিয়ার একটি আবাসিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। স্কুলের অধ্যক্ষার কাছে লিখিত অভিযোগ করে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে ছাত্রীদের একাংশ। অভিভাবকদের পক্ষ থেকেও সুবিচার চাওয়া হয়েছে।
স্কুলটির চেয়ারম্যান স্বয়ং পুরুলিয়ার জেলাশাসক। তিনি সমস্ত অভিযোগ জেনে কমিটি গড়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট পদমযার্দার এক আধিকারিকও তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন। বুধবার জেলাশাসকের নির্দেশে তদন্ত কমিটির সদস্যেরা ওই স্কুলে তদন্তে গিয়ে বিভিন্ন জনের সঙ্গে কথা বলেন। জেলাশাসক তন্ময় চক্রবর্তী বলেন, “তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমানিত হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” আর স্কুলের অধ্যক্ষা কণিকা সেনগুপ্ত বলেন, “অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগ ওঠার সঙ্গে সঙ্গে কম্পিউটার বিভাগের ওই অস্থায়ী শিক্ষককে আমরা বহিষ্কার করেছি।” অভিযুক্ত শিক্ষককে এ দিন বিদ্যালয়ে না থাকায় তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক পরিচালিত এই বিদ্যালয়টিতে ২০০৭ সাল থেকে পঠন-পাঠন শুরু হয়েছে। স্কুল সূত্রের খবর, ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীদের একাংশ অধ্যক্ষার কাছে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছে, ক্লাসে কম্পিউটার শেখানোর নাম করে কম্পিউটার শিক্ষক তাদের গায়ে হাত দেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ষষ্ঠ শ্রেণির এক আবাসিক ছাত্রী অসুস্থ হওয়ায় তার অভিভাবক তাকে বাড়ি নিয়ে যেতে এলে বিষয়টি জানাজানি হয়। মেয়েদের কাছে সব জেনে অভিভাবকদের একাংশও অধ্যক্ষার কাছে তাঁদের মেয়েদের উপরে শারীরিক অত্যাচার হয়েছে, এই মর্মে অভিযোগ তোলেন। পাশাপাশি তাঁদের আরও অভিযোগ, এ ব্যাপারে মেয়েরা হস্টেল-মিস্ট্রেসের কাছে অভিযোগ জানিয়েও সুবিচার পায়নি। এক অভিভাবক বলেন, ‘‘অধ্যক্ষাকে বলেছিল, যে অভিযোগ ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে উঠেছে, তা অত্যন্ত গুরুতর। তিনি অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।” |