অসুস্থ ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় ধর্ষণের অভিযোগ উঠল শিক্ষকের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমার শ্রীধরনগর শৈলেন্দ্র বিদ্যাপীঠ হাইস্কুলে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী সোমবার স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পর থেকেই জ্বর এবং রক্তক্ষরণে ভুগছিল। রাতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই ছাত্রীকে পাথরপ্রতিমা ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে প্রথমে কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতাল ও পরে কলকাতার চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মঙ্গলবার দুপুরে ওই ছাত্রীর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় শুভ্র সেন নামে স্কুলেরই বিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছে মৃতের পরিবার। পরিবারের দাবি, অঙ্ক শেখার জন্য ওই শিক্ষকের কাছে পড়তে যেত ওই ছাত্রী। সেই সুযোগেই তাকে ধর্ষণ করেছে ওই শিক্ষক। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক চক্রধর দলুই বলেন, “ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ শুনে বিস্মিত হয়েছি। উনি জনপ্রিয় শিক্ষক ও ভাল মানুষ। তবে অভিযোগ যখন উঠেছে তখন প্রশাসন তদন্ত করে দেখুক। তবে ওই ছাত্রী গত ৩ সেপ্টেম্বরের পর আর স্কুলে আসেনি।” পুলিশ জানিয়েছে, শিক্ষক পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে।
|
অস্বাভাবিক ভাবে মৃত্যু হল এক গৃহবধূর। সোমবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে গাইঘাটার আমন কান্দিয়া গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম শর্মিলা মণ্ডল (১৮)। বাড়ি গাইঘাটার চণ্ডীগড় গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাত্র চার মাস আগে গাইঘাটার আমন কান্দিয়া গ্রামের ভূপেন্দ্র সরকারের সঙ্গে শর্মিলার বিয়ে হয়েছিল। সেনাবাহিনীতে কাজ করে ভূপেন্দ্র। সম্প্রতি বাপের বাড়ি থেকে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে আসার জন্যে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করা হচ্ছিল শর্মিলাকে। সোমবার বিকেলে শর্মিলার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা বাপের বাড়ি লোকদের খবর দেয়, শর্মিলা অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে হাবরা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে গেলে দেখা যায়, শর্মিলা মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। শর্মিলার দাদা সুমন্ত মণ্ডল গাইঘাটা থানায় শর্মিলার স্বামী, শ্বশুর এবং ভাসুরের বিরুদ্ধে বোনকে মারধর করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন। মঙ্গলবার রাতেই শ্বশুর গজেন্দ্র সরকারকে গাইঘাটা থানার পুলিশ গাইঘাটা থেকে গ্রেফতার করে । বাকি দু’জনের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
|
চুরি হওয়া গাড়ির খোঁজে বেরিয়ে আর একটি চোরাই গাড়ি উদ্ধার করল পুলিশ। মঙ্গলবার ওই গাড়ি চুরির অভিযোগে বসিরহাটের ত্রিমোহিনী এলাকা থেকে ধরা হয়েছে দুই দুষ্কৃতীকেও। ধৃতেরা হল দেগঙ্গার রামনগর গ্রামের সফিকুল ইসলাম ও বেড়াচাঁপার হামাদামার বাসিন্দা মিজানুর রহমান। তাদের বুধবার বসিরহাট সিজেএম আদালতে তোলা হয়। পুলিশ জানায়, সম্প্রতি বসিরহাট মহকুমায় চুরি ছিনতাই বেড়েই চলেছে। সোমবার আস্তানা রোডের বাসিন্দা সমীর ঘোষ থানায় তাঁর গাড়ি চুরির অভিযোগ দায়ের করেন। |
উদ্ধার হওয়া চোরাই গাড়ি।—নিজস্ব চিত্র। |
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টা নাগাদ পুলিশ জানতে পারে, ত্রিমোহিনী এলাকায় দুই যুবক অন্য একটি গাড়ি করে এসে সন্দেহজনক ভাবে ঘোরাঘুরি করছে। সাদা পোশাকের পুলিশ এসে এলাকা ঘিরে ফেলে। দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়। গাড়িটি আটক করা হয়। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃতেরা জানিয়েছে, তারা গাড়ি চুরির সঙ্গে জড়িত। দমদম থানা থেকে বসিরহাট পুলিশকে একটি গাড়ি চুরির বিষয়ে জানানো হয়। আটক গাড়িটি দমদম থেকে চুরি করা হয়েছিল কিনা, দেখা হচ্ছে। তবে সমীরবাবুর গাড়ি উদ্ধার হয়নি।
|
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক শিশুর। মঙ্গলবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে গোপালনগরের চালকি তিনমাইলে বনগাঁ-চাকদহ সড়কে। মৃত শিশুর নাম সৃজিত সেন (৪)। বাড়ি ওই এলাকায়। তাঁর মাসতুতো দিদি পূজাকে প্রথমে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতাল ও পরে আরজিকরে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার বিকেলে ভাই সৃজিতকে সাইকেলে বসিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছিল পূজা। আচমকাই উল্টোদিক থেকে আসা একটি খালি লরি তাদের সাইকেলে ধাক্কা মারে। রাস্তায় ছিটকে পড়ে দুজনেই। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সৃজিতের। জনতা রাস্তায় মৃতদেহ ফেলে অবরোধ শুরু করে। পুলিশের আশ্বাসে ঘন্টাখানেক বাদে অবরোধ উঠে যায়।
|
স্বামী বিবেকানন্দের জন্মের সার্ধশতবর্ষ উপলক্ষে দৌড়ের আয়োজন হল হাওড়ায়। মঙ্গলবার বিকেলে ‘ভারত জাগো’ নামে এই দৌড়ের আয়োজন করে পাঁচলার বিবেকানন্দ কেন্দ্র, কন্যাকুমারী হাওড়া জেলা কমিটি। পাঁচলা মোড় এবং ধুলাগড়ি মোড় থেকে দু’টি দল পরস্পরের দিকে দৌড় শুরু করে। রানিহাটি বাজারে এসে তাঁরা মিলিত হয়। এই দৌড়ে যোগদান করেছিল প্রায় তিনশো জন যুবক। |