ভোট গণনায় হার হলেও, আদালতের নির্দেশে গণনায় জিতে গেলেন বলাগড়ে তৃণমূলের এক জেলা পরিষদ প্রার্থী। হুগলি জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, জয়ী প্রার্থীর নাম সুমনা সরকার। তিনি সিপিএম প্রার্থী মহামায়া পালকে পুনর্গণনায় হারিয়ে দিয়েছেন।
ভোটের দিন গণনায় তৃণমূলের ওই প্রার্থী প্রথমে ৬১ ভোটে হেরে যান। তিনি ফের গণনার আবেদন করেন। এ বার দেখা যায় তিনি ৫৭ ভোটে হেরে গিয়েছেন। সেই মতো ঘোষণাও করা হয়। কিন্তু আবার গণনা হলেও সুমনাদেবী তাতে নিশ্চিত ছিলেন না। তিনি বলেন, “কোথাও একটা ভুল যে হচ্ছে বলে মনে হচ্ছিল। সে জন্যই আদালতে যাই।”
ফের গণনার আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টের বিচারক সৌমিত্র পালের বেঞ্চে আবেদন করেন সুমনাদেবী। হাইকোর্ট রায় দেয়, ওই আবেদনের পরিপ্রক্ষিতে জেলা জজ ভোট পুনরায় গণনার বিষয়টি দেখবেন। ওই রায়ের পরিপ্রক্ষিতে ফের হুগলি জেলা জজের আদালতে ওই মহিলা আবেদন করেন। সব পক্ষকে ডেকে শুনানি হয়। শেষ পর্যন্ত ১৯ অগষ্ট জেলা জজ রায় দেন, হুগলির জেলাশাসক যেহেতু পঞ্চায়েতের রিটার্নিং অফিসার তাই মনমিত নন্দার তত্ত্বাবধানে পুনরায় গণনার কাজ হবে।
ওই রায়ের পরিপ্রক্ষিতে বুধবার হুগলির জেলাশাসক ফের ভোট গণনার জন্য দিন নির্দিষ্ট করেন। পুরো গণনার প্রক্রিয়াটি ভিডিওতে ছবি তোলা হয় প্রশাসনের তরফে। ভোট গণনার পরে দেখা যায়, যে নির্দিষ্ট জায়গায় ভোটের সংখ্যা লেখা হয়, তৃণমূল প্রার্থীর ক্ষেত্রে সেই সংখ্যা লেখা ভুল হয়ে গিয়েছিল। তিনি মোট ৯ ভোটে জিতে গিয়েছেন।
যদিও জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “যেহেতু পুরো গণনার প্রক্রিয়াটাই আদালতের নির্দেশে হয়েছে, তাই এই বিষয়টি আজ, বৃহস্পতিবার প্রশাসনের তরফে জেলা জজকে জানানো হবে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত আদালতই নেবে।”
এ দিন প্রশাসনিক সূত্রে জানানো হয়, সুমনা সরকার নামে ওই মহিলা প্রার্থী জিতে গিয়েছেন। তবে তাঁকে জয়ের শংসাপত্র দেওয়া হয়নি। যেহেতু পুরো বিষয়টিই আদালতের নির্দেশে হয়েছে, তাই তৃণমূলের ওই জয়ী প্রার্থীকে আদালতই শংসাপত্র দেবে।
এই জয়ের পরিপ্রক্ষিতে যিনি হেরে গেলেন, সেই প্রার্থী নতুন করে আদালতে কোনও আবেদন করেন কিনা সেটাও দেখার।
তবে আপাতত রীতিমতো খুশি সুমনাদেবী। তিনি বলেন, “আমি নিশ্চিত ছিলাম জিতব। তাই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। আমার সন্দেহ যে অমূলক ছিল না ফের ভোট ফের গণনায় তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে।” |