বুধবার হাওড়া জেলা পরিষদে সভাধিপতি পদে শপথ নিলেন তৃণমূলের করবী ধুল। এই দলেরই অজয় ভট্টাচার্য শপথ নিলেন সহকারী-সভাধিপতি পদে। একই সঙ্গে এ দিন শপথ নেন জেলা পরিষদের তৃণমূলের বাকি নির্বাচিত সদস্যেরাও।
তবে বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে এ দিনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান বয়কট করা হয়। জেলা পরিষদের ৪০টি আসনের মধ্যে বামফ্রন্টের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন মাত্র ৬ জন। তাঁরা কেউই এ দিন শপথ নিতে আসেননি। এ দিন সকলকে শপথবাক্য পাঠ করান অতিরিক্ত জেলাশাসক (পঞ্চায়েত) চৈতালি চক্রবর্তী। |
বোর্ড গঠনের আনন্দে মাতোয়ারা সমর্থকেরা। ছবি: সুব্রত জানা। |
তিনি বলেন, “জেলা পরিষদের সব সদস্যকেই প্রথামাফিক চিঠি দিয়ে শপথ নিতে আসার জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়, এ দিন তাদের নির্বাচিত সদস্যেরা শপথ নিতে আসবেন না। না আসার কোনও কারণ তাঁরা জানাননি।” আগের বামফ্রন্ট পরিচালিত জেলা পরিষদের প্রাক্তন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা সিপিএম নেতা আনন্দ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “নির্বাচনে রিগিং হয়েছে। গণনার সময়ে জোর করে আমাদের অনেক প্রার্থীকে হারানো হয়েছে। এরই প্রতিবাদে আমাদের বামফ্রন্টের সদস্যেরা এ দিন শপথ নিতে যাননি। তা ছাড়া, এ দিন শপথ নিতে গেলে আমাদের হেনস্থা হওয়ারও আশঙ্কা ছিল। আমাদের সদস্যেরা পরে শপথ নেবেন।”
সদ্য শপথ নেওয়া সহকারী-সভাধিপতি অজয় ভট্টাচার্য বলেন, “এটা অসৌজন্য। ২০০৩ সালে তৃণমূলের মাত্র ১ জন সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। দলের নির্দেশে তিনিও কিন্তু শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। আমরা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি সম্পূর্ণ ভাবে আস্থা রাখি।” সভাধিপতি ও সহকারী-সভাধিপতি নির্বাচিত হলেও জেলা পরিষদের পুরোদস্তুর কাজ শুরু করতে এখনও মাসখানেক সময় লাগবে বলে জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু হবে নয়টি স্থায়ী সমিতির সদস্য নির্বাচনের কাজ। স্থায়ী সমিতিগুলির মাধ্যমে আবার নির্বাচিত হবেন সংশ্লিষ্ট কর্মাধ্যক্ষরা। তার পরে জেলাশাসক জেলা পরিষদের সাধারণ সভা ডাকবেন। ওই সভার মাধ্যমেই আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করবে জেলা পরিষদ। |