বোল্ডারের সঙ্গে বাঁধা এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হল পুকুর থেকে। সোমবার রাতে গোঘাটের দেওয়ানগঞ্জ গ্রামের ঘটনা। পুলিশ জানায়, নিহতের নাম ললিন পাঁজা (৫০)। বাড়ি স্থানীয় কৃষ্ণবল্লভপুর গ্রামে। জমি নিয়ে পারিবারিক বিবাদের জেরে তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে দু’জনকে আটক করা হয়েছে। মূল দুই অভিযুক্ত সর দলুই ও তার ছেলে বিশ্বজিৎ পলাতক। নিহতের গলায় গভীর ক্ষতের দাগ ছিল বলে পুলিশ জানায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ললিনবাবু প্রতিদিনের মতোই গ্রামের কাছাকাছি দেওয়ানগঞ্জ বাজারে সন্ধ্যায় চা খেতে গিয়েছিলেন। রাত ৯টার মধ্যেই বাড়িতে ফেরার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু গভীর রাত পর্যন্ত বাড়ি না ফেরায় দেওয়ানগঞ্জ বাজারে তাঁর খোঁজ করতে যান গ্রামের মানুষ। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন, রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ বাড়ির দিকে রওনা দিয়েছিলেন তিনি। নিহতের ছেলে অরূপ বলেন, “রাতে আমরা থানায় বিষয়টি জানাইনি। সকালে থানায় অভিযোগ করতে যাওয়ার আগে প্রতিবেশীদের নিয়ে ফের দেওয়ানগঞ্জ বাজার যাই। পথে দেখি, মাঠের একটা ধান জমি থেকে কিছু টেনে নিয়ে যাওয়ার দাগ। মাটির সঙ্গে ধান গাছ লেপটে গিয়েছিল। সেই দাগ অনুসরণ করে পুকুর ধারে পৌঁছই। সকলে মিলে খোঁজাখুঁজি করার পরে বাবার দেহ মেলে জলে। দেহ যাতে ভেসে না ওঠে, তার ব্যবস্থা করতে লুঙ্গির সঙ্গে বড় বড় বোল্ডার বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।” অরূপবাবুর অভিযোগ, বাড়ি করার জন্য জায়গা ছাড়া নিয়ে প্রতিবেশী সর দলুই ও তার ছেলে বিশ্বজি দলুইয়ে সঙ্গে ঝামেলা চলছিল তাঁদের। সেই ঝামেলা পঞ্চায়েত থেকে মিটমাট করে মঙ্গলবারই বাড়ি তৈরি করেন তাঁরা। রায় তাঁদের পক্ষে যাওয়ায় ‘দেখে নেওয়ার হুমকি’ দিয়েছিল অভিযুক্তেরা। |