হাসনাবাদের সিপিএম নেতা জাহাঙ্গির আলম মণ্ডলকে খুন করতে না পারলে দুষ্কৃতীরা তাঁকে অপহরণ করার ফন্দি এঁটেছিল বলে জানাল পুলিশ। ওই ঘটনায় তিন জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে জানিয়েছেন উত্তর ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়। কিন্তু কেন খুন হলেন জাহাঙ্গির, পুলিশ তা নিয়ে এখনও অন্ধকারে।
সোমবার রাতে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন হাসনাবাদ পঞ্চায়েত সমিতির সদ্য নির্বাচিত সভাপতি জাহাঙ্গির। যার প্রতিবাদে বুধবার সিপিএমের ডাকা বসিরহাট বন্ধে অশান্তি ছড়িয়েছে কিছু এলাকায়। সিপিএম-তৃণমূলের সংঘর্ষে দু’পক্ষের ১০ জন জখম হয়েছেন।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের বক্তব্য, জনপ্রিয় ওই সিপিএম নেতাকে খুনের জন্য তিনটি মোটর বাইকে ৮ জন সশস্ত্র দুষ্কৃতী এসেছিল। তিন ভাগে ভাগ হয়ে তারা জাহাঙ্গিরের বাড়ি ফেরার রাস্তায় দাঁড়িয়েছিল। দুষ্কৃতীদের উপরে নির্দেশ ছিল, কোনও অবস্থাতেই যেন সিপিএম নেতার কোনও সঙ্গী জখম না হন। এ দিকে, ওই রাতে তালপুকুরে একটি চায়ের দোকান থেকে তকিপুর নয়দাপাড়ায় বাড়ির দিকে যাওয়ার সময়ে জাহাঙ্গিরের সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় এক চিকিৎসক। যে কারণে চায়ের দোকানের কাছে দাঁড়ানো প্রথম দলটি হামলা চালায়নি। ওই দলে একটি মোটরবাইক নিয়ে ছিল তিন যুবক। মোবাইলে তারা খবর দেয় দ্বিতীয় দলটিকে।
সেখানেও তিন জন মোটরবাইক নিয়ে অপেক্ষা করছিল। ওই চিকিৎসক কিছু দূর এগিয়ে অন্য রাস্তা ধরেন। জাহাঙ্গির সাইকেল নিয়ে একাই এগোন দেন বাড়ির দিকে।
দ্বিতীয় দলটি এই সুযোগ কাজে লাগায়। তকিপুর দিঘির ধারে বড় রাস্তার উপরেই জাহাঙ্গিরকে আটকায় তারা। তারপর খুব কাছ থেকে চোয়ালে গুলি চালিয়ে দেয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান ওই সিপিএম নেতা।
তদন্তকারী অফিসারেরা জানিয়েছেন, দ্বিতীয় দলটি কাজ হাসিল না করতে পারলে তৃতীয় আরও একটি দল মোটর বাইক নিয়ে অপেক্ষা করছিল জাহাঙ্গিরের বাড়ির কাছে। সেই দলে ছিল দু’জন। পুলিশের অনুমান, গুলি করে খুন করতে না পারলে ওই মোটরবাইকে তুলেই জাহাঙ্গিরকে অপহরণ করার নির্দেশ ছিল তাদের উপরে। |