|
|
|
|
স্কুল পড়ুয়াদের আঁকা ছবি নিয়ে ক্যালেন্ডার জেলাতেও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
নির্মল বিদ্যালয় সপ্তাহে এ বার জেলাস্তরেও অঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করল সর্বশিক্ষা দফতর। জেলাস্তরে প্রথম ৩ জনকে পাঠানো হবে রাজ্যে। সেখানে ভাল ফল করতে পারলে মিলবে পুরস্কার। বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রতিযোগিতাটি হল মেদিনীপুরে সর্বশিক্ষা বিভাগের অফিসে। চারটি বিভাগে ২০ জন ছাত্রছাত্রী এতে যোগ দেয়। জেলাস্তরে প্রথম থেকে তৃতীয় স্থানাধিকারীর জন্য রয়েছে পুরস্কার। প্রথম ১২ জনের আঁকা ছবি নিয়ে ক্যালেন্ডারও তৈরি করা হবে। সর্বশিক্ষার জেলা প্রকল্প আধিকারিক শাশ্বতী দাস বলেন, “আগে রাজ্য ক্যালেন্ডার বের করত। কিন্তু জেলা থেকে ক্যালেন্ডার হত না। এবার আমরা জেলার ছাত্রছাত্রীদের আঁকা ছবি দিয়ে জেলাতেও ক্যালেন্ডার প্রকাশ করব।” |
|
নির্মল বিদ্যালয় সপ্তাহে অঙ্কন প্রতিযোগিতা। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
প্রতি বছরই ‘নির্মল বিদ্যালয় সপ্তাহ’ পালন করা হয়। এই কর্মসূচিতে স্কুল ও নিজের বাড়ি পরিচ্ছন্ন রাখার পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি হাতেকলমে সেই কাজ করানো হয়। ছাত্রছাত্রীরা যাতে সুস্থ শরীর ও মনে সুস্থ পরিবেশে বেড়ে উঠতে পারে সে জন্য এই উদ্যোগ। এই কর্মসূচিরই অঙ্গ অঙ্কন প্রতিযোগিতা। প্রতিটি স্কুল থেকে শুরু করে ব্লক, মহকুমা ও জেলা স্তরে তিন জন করে নির্বাচন করা হয়। আগে অবশ্য জেলা স্তরে প্রতিযোগিতা হত না। ব্লক ও মহকুমাস্তরে বাছাইয়ের পর বিচারকেরা সিদ্ধান্ত নিতেন জেলাস্তরে কে প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় হল। চারটি বিভাগে এই প্রতিযোগিতা হয়। প্রতিটি বিভাগে ছবি আঁকার বিষয় আলাদা। প্রথম বিভাগে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। তাদের বিষয় হল, ‘সদাই থাকি পরিচ্ছন্ন’। দ্বিতীয় বিভাগে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়াদের বিষয়, ‘সবাই মিলে স্কুলকে পরিচ্ছন্ন রাখি’। তৃতীয় বিভাগে রয়েছে পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণি। তাদের আঁকার বিষয়, ‘আমার কল্পনায় এক নির্মল বিদ্যালয়’। চতুর্থ বিভাগে রয়েছে অষ্টম থেকে দশম শ্রেণি। তাদের বিষয়, ‘বর্জ্য পদার্থ বাড়িতে ও স্কুলে নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলি’। এ বার প্রতিটি বিভাগে ৫ জন করে মোট ২০ জনকে জেলাস্তরের প্রতিযোগিতায় সুযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রথম তিন জনকে পুরস্কৃত করা হবে। প্রথম ১২ জনের ছবি নিয়ে তৈরি করা হবে ক্যালেন্ডার। |
|
|
|
|
|