|
|
|
|
অসুস্থ শরীরেই দফতরে এলেন নতুন সভাধিপতি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
বুধবারের দুপুর। ঘড়িতে তখন ২টো ১০। গাড়ি থেকে নেমে দফতরে গেলেন উত্তরা সিংহ। জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত সভাধিপতি। ঘরে ঢুকে উত্তর দিকের দেওয়ালের দিকে তাকিয়ে দু’হাত জড়ো করে প্রণাম করলেন। ওই দেওয়ালেই রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি।
২টো ৩৫ নাগাদ সভাঘরে পৌঁছে মাইক্রোফোন হাতে কর্মীদের নতুন সভাধিপতি বললেন, “আমি আপনাদের দিদির মতো। পাশে থাকতে চাই। আশা করি, আপনারাও আমার পাশে থাকবেন। সহযোগিতা করবেন। আমি সকলের সহযোগিতা চাই। আমরা জেলা পরিষদকে পিছিয়ে পড়া এলাকার মানুষের কাছে পৌঁছে দেব।” পাশে তখন অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) পাপিয়া ঘোষ রায়চৌধুরী, জেলা পরিষদের সচিব বিপুল বিশ্বাস। নিরাশ করলেন না কর্মীরা। সকলেই সহযোগিতার আশ্বাস দিলেন। |
|
আলাপচারিতায় উত্তরা সিংহ। —নিজস্ব চিত্র। |
শরীরটা ভাল নেই। এ দিন তাই উত্তরাদেবীর সঙ্গে ছিলেন মেয়ে পূজা। মঙ্গলবার জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতি নির্বাচ ও জেলা পরিষদ সদস্যদের শপথগ্রহণের সময়ও দিনভর মায়ের সঙ্গে ছিলেন পূজা। গোটা দিনটার নানা মূহূর্তের ছবি মোবাইল ক্যামেরায় বন্দি করেছেন। এ দিনও তার ব্যতিক্রম হল না। সভাধিপতির ঘরে মায়ের প্রথম দিনের নানা ছবি তুলে রাখলেন পূজা। উত্তরাদেবী আসার আগেই এ দিন জেলা পরিষদের পৌঁছে গিয়েছিলেন নির্মল ঘোষ, অজিত মাইতি, বিবেক মুখোপাধ্যায়রা। সকলেই জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্য। নির্মলবাবুর নাম ইতিমধ্যে দলনেতা হিসেবে ঘোষণা করেছে তৃণমূল। সকলে মিষ্টিমুখ করেন। পরে আসে চা-বিস্কুট। এরই মধ্যে নতুন সভাধিপতির সঙ্গে দেখা করতে আসেন এক মহিলা। বলেন, “উত্তরাদির সঙ্গে দেখা করতেই এসেছি। মঙ্গলবার শপথগ্রহণে আসতে পারিনি। তাই আজ এলাম।”
ততক্ষণে সভাঘরে জড়ো হয়েছেন কর্মীরা। উত্তরাদেবী সেখানে পৌঁছতেই শুরু হয় পরিচয়পর্ব। উপস্থিত জেলা পরিষদ সদস্যরা একে একে নিজেদের নাম জানান। জানান, কোন এলাকা থেকে নির্বাচিত হয়েছেন। কর্মীরাও তাঁদের নাম জানান। কোন দফতরে কাজ করেন জানান। এ দিন সভাধিপতির ঘরটা খুঁটিয়ে দেখেছেন উত্তরাদেবী। তাঁর কথায়, “এই প্রথম এই ঘরে এলাম। সব নতুন লাগছে।” |
|
|
|
|
|