|
|
|
|
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানেও বিভাজনের ছায়া তৃণমূলে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদে ক্ষমতায় ফিরে এসেও বোর্ড গঠনের দিনে আনন্দের মেজাজটা ছড়িয়ে দিতে পারল না তৃণমূল। কারও মুখ গোমড়া, কেউ অকারণ কটাক্ষ করলেন, আর জেলারই মন্ত্রী ও বিধায়কদের একাংশ গরহাজির থাকলেন অনুষ্ঠানে।
৬০ আসনের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদে এ বার তৃণমূলের সদস্য ৫৪ জন, বামফ্রন্টের ৬। পূর্ব ঘোষণা মতো বুধবার জেলা পরিষদের সভাধিপতি হিসেবে নির্বাচিত হন মধুরিমা মণ্ডল ও সহ-সভাধিপতি হন শেখ সুফিয়ান। সভাধিপতি নির্বাচনের আগে জেলা পরিষদের সব সদস্যরা শপথ বাক্য পাঠ করেন। শপথ গ্রহণ করান অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) অজয় পাল। অনুষ্ঠানে ছিলেন জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন আধিকারিক শুভাশিস বেজ। নব নির্বাচিত সভাধিপতি ও সহ-সভাধিপতিকে সংবর্ধনা জানান পূর্বের জেলাশাসক অন্তরা আচার্য। |
|
নতুন সভাধিপতিকে বরণ করছেন সাংসদ। ছবি: পার্থপ্রতিম দাস। |
পরে সভাধিপতি ও সহ-সভাধিপতিদের সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য জেলা পরিষদ অফিস প্রাঙ্গণে আয়োজিত দলীয় অনুষ্ঠানে জেলা তৃণমূলের দুই কাণ্ডারী শিশির অধিকারী ও শুভেন্দু অধিকারী উপস্থিত থাকলেও ছিলেন না জেলার মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র ও বিধায়ক অখিল গিরি, শিউলি সাহা, জ্যোতির্ময় কর প্রমুখ। এক কথায় অধিকারী পরিবারের বিরোধী বলে যাঁরা পরিচিত, তাঁরা। জেলায় গ্রামীন উন্নয়নের কাজে অন্যতম স্তম্ভ জেলা পরিষদে ক্ষমতায় বসার দিনে শাসকদলের নেতাদের একাংশের এই অনুপস্থিতি নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই গুঞ্জন উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রকে না-আসার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, “জেলা পরিষদের অফিস প্রাঙ্গণে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ছিল বলে আমার জানা নেই। হয়তো আমার অফিসে আমন্ত্রণপত্র দেওয়া হয়েছিল। আমি এখন দলের কাজে জেলার বাইরে আছি।”
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত জেলা সভাধিপতি মধুরিমা মণ্ডল একশো দিনের কাজ, গ্রামীণ সড়ক, শিক্ষা, স্বাস্থ্য প্রভৃতি কাজে অগ্রাধিকার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী মানুষের আস্থা অর্জনের কথা বলেন। শিশিরবাবু বলেন, “যে সব মহিলা প্রধান, সভাপতি হয়েছেন, তাঁদের নিজেদেরই কাজ করতে হবে। আপনাদের স্বামীদের নিয়ে জেলা পরিষদে আসবেন না।” |
|
|
|
|
|