|
|
|
|
অভিযোগ জানাতে এসে পুলিশকেই মার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
থানায় এসেছিলেন ভাইয়ের দোকানে চুরির অভিযোগ জানাতে। কিন্তু পুলিশকে ‘ঘায়েল’ করে প্রাক্তন সেনাকর্মী নিজেই হলেন ‘অপরাধী’।
বুধবার ঘটনাটি ঘটে মোহনপুর থানায়। ভাই স্বপন মহাপাত্রের দোকানে চুরির অভিযোগ দায়ের করতে গিয়েছিলেন প্রাক্তন সেনাকর্মী শান্তনু মহাপাত্র। মেজাজ হারিয়ে আইসি-সহ চার পুলিশকর্মীকে মারধর করে নিজেই গ্রেফতার হয়ে যান। মোহনপুর ব্লকের সাউটিয়া গ্রামের মহাপাত্র পাড়ার বাসিন্দা ওই দুই ভাই। সেখানেই বাড়ি দাঁতনের বিধায়ক অরুণ মহাপাত্রেরও। স্বপন ও শান্তনু সম্পর্কে অরুণবাবুর ভাইপো। ওই গ্রামেই স্বপনের বৈদ্যুতিন সরঞ্জামের দোকান রয়েছে। মঙ্গলবার রাতে দোকানের কিছু সামগ্রী চুরি যায় বলে এ দিন থানায় ফোন করেন তাঁরা। তবে পুলিশ পৌঁছতে দেরি করলে সকাল দশটা নাগাদ থানায় দাদা শান্তনুকে নিয়ে থানায় আসেন স্বপন। সেকেন্ড অফিসার সুজনকুমার রায় ছিলেন না। অন্য পুলিশ কর্মীরা তাঁদের অপেক্ষা করতে বলেন। অভিযোগ, সে কথা না শুনেই চেঁচাতে থাকেন শান্তনু। ছুটে আসেন সুজনবাবু। এরপর দু’পক্ষের বচসা বাধে। গণ্ডগোলের মধ্যেই সুজনবাবুকে কিল-চড় মারতে থাকেন শান্তনু। বাধা দিতে এলে শান্তনু আইসির জাফরুল মল্লিকের জামা ছিঁড়ে দেন বলে অভিযোগ। জাফরুলও শান্তনুবাবুকে চড় মারেন বলে অভিযোগ। প্রহৃত হন আরও দুই পুলিশ কর্মীও।
বিধায়ক অরুণবাবু বলেন, “ওঁরা আমার অনেক দূর সম্পর্কের ভাইপো। আইন হাতে তুলে নেওয়াকে সমর্থন করি না।” খড়্গপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক দ্যুতিমান ভট্টাচার্য জানান, পুলিশকর্মীদের ওপর চড়াও হওয়ার অপরাধে প্রাক্তন ওই সেনাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওঁদের চুরির অভিযোগটিও তদন্ত করে দেখা হবে। |
|
|
|
|
|