টুকরো খবর
হাতির দাঁতকাটা দেহ উদ্ধার
একটি দাঁত কাটা অবস্থায় পূর্ণ বয়স্ক দাঁতাল হাতির পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার হল। বুধবার সকালে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পূর্ব বিভাগের ভল্কা বনাঞ্চলের বালাপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বন কর্মীরা টহল দেওয়ার সময় ওই দাঁতালের মৃতদেহটি দেখতে পান। খবর পেয়ে বন দফতরের কর্তারা ঘটনাস্থলে যান। এ দিনই হাতটির ময়না তদন্ত করেন চিকিৎসকেরা। চোরা শিকারিরা গুলি করে হাতিটিকে মেরেছে কি না সেটা খতিয়ে দেখছেন বন কর্তারা। বনদফতর বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের (পূর্ব) উপ ক্ষেত্র অধিকর্তা ভাস্কর জেভি বলেন, “পুরুষ দাঁতাল হাতিটির বয়স আনুমানিক ১৫ বছর। ৪-৫ আগে হাতিটির মৃত্যু হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। হাতিটির বাঁ দিকের দাঁতের কিছুটা অংশ কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ডান দিকের দাঁতের কিছুটা অংশ পড়ে ছিল। ঘটনার পিছনে চোরা শিকারিরা আছে কি না দেখা হচ্ছে।’’ পরপর বুনো হাতির অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় এ দিন উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবেশপ্রেমীরা। বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৭ অগস্ট বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পূর্ব বিভাগের রায়ডাক বনাঞ্চল লাগোয়া উত্তর রামপুর গ্রামের একটি ধান খেত থেকে একটি হাতির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ফেব্রুয়ারি মাসের ১৫ ও ১৭ তারিখ বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের (পূর্ব) বিভাগের উত্তর রায়ডাকের ৬ নম্বর কম্পার্টমেন্টের জঙ্গল থেকে দুটি হাতির পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়। মার্চ মপ্রথম সপ্তাহে পূর্ব রাজাভাতখাওয়ার পানবাড়ি জঙ্গল থেকে একটি হাতির মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। তিনটি হাতিরই দাঁত কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

অনর্থক হর্ন বন্ধ করতে কর্মসূচি লালবাজারের
পথ-নিরাপত্তা সপ্তাহ পালনের মাধ্যমে পথচারীদের সচেতন করার পদক্ষেপ আগেই করেছিল কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। এ বার সেই পথেই হেঁটে অহেতুক হর্ন না বাজানোর জন্য গাড়ির চালকদের সচেতন করার একগুচ্ছ কর্মসূচি নিতে চলেছে লালবাজার। লালবাজারের এক কর্তা জানান, কলকাতার অধিকাংশ গাড়ির চালকের, বিশেষ করে ট্যাক্সি, বাস বা প্রাইভেট গাড়ির চালকদের ‘সাইলেন্স জোন’ সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই। ট্রাফিক পুলিশের লাগানো ‘নো-হর্ন’ বোর্ডের মানেও অধিকাংশ চালক জানেন না। তাঁদের বিভিন্ন ওয়ার্কশপ ও সচেতনতামূলক কর্মসূচির আওতায় আনা হবে। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান বিনয়কান্তি দত্তও বলেন, “শীঘ্রই বেশ কয়েকটি কর্মসূচি নেওয়া হবে। বিশেষ করে ‘সাইলেন্স জোন’-এ শব্দদূষণ কমানোর উপরেই জোর দেব।” সোমবার শহরের বিভিন্ন সাইলেন্স জোন-সহ গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতে স্কুলপড়ুয়া এবং কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাহায্যে কলকাতা পুলিশ হর্ন না বাজানোর ব্যাপারে চালকদের সচেতন করতে উদ্যোগী হয়। ট্রাফিক পুলিশ সূত্রে খবর, সারা বছরই তিন-চার মাস অন্তর এ ধরনের একাধিক কর্মসূচি নেওয়া হবে। লালবাজারের এক কর্তা জানান, স্কুলপড়ুয়াদের সচেতন করার মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের কাছে অনর্থক হর্ন না বাজানোর বার্তা পৌঁছে দেওয়া হবে। ছাত্রছাত্রীরাই রাস্তার মোড়ে প্ল্যাকার্ড, ব্যানার নিয়ে চালকদের সচেতন করবে।

পুরনো খবর:

শহিদ দিবসে নিরাপত্তার দাবি অরণ্য কর্মীদের
অরণ্য শহিদদের স্মরণ করতে গিয়ে নিজেদের নিরাপত্তার দাবিতে সরব হলেন দেশের বনকর্মীরা। দেশের বিভিন্ন জঙ্গলে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যাঁরা বন্যপ্রাণী বা জঙ্গল মাফিয়াদের হাতে নিহত হয়েছেন, তাঁদের ‘শহিদ’-এর মর্যাদায় স্মরণ করা হয় ১১ সেপ্টেম্বর। বুধবার বিধাননগরে বিদ্যুৎ ভবনের অডিটোরিয়ামে সেই অরণ্য শহিদ দিবস পালন করতে গিয়ে ‘অল ইন্ডিয়া ফরেস্ট অফিসার্স ফেডারেশন’ এবং ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ফরেস্ট সার্ভিস এমপ্লয়িজ ফেডারেশন’-এর সদস্যরা অভিযোগ করেন, বনকর্মী-আধিকারিকদের আত্মরক্ষার জন্য অস্ত্র, গাড়ি বা অন্ধকারে বন্যপ্রাণী সম্পর্কে সচেতন করার জন্য সঙ্কেত ব্যবস্থা কিছুই দেওয়া হয় না। ফলে প্রায়ই তাঁরা বনের হিংস্র জন্তু এবং জঙ্গল মাফিয়া বা চোরাশিকারীদের আক্রমণের মুখে পড়ে আহত বা নিহত হন। সর্বভারতীয় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কমল সিংহ যাদব বলেন, “আমাদের নিরাপত্তার সরঞ্জামের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ লড়াই করতে হবে।” ওই দাবিতে আগামী দিনে লোকসভায় ধর্না এবং হরতাল করা হবে, জানান কমলবাবু। ১৭৩০ সালের ১১ সেপ্টেম্বর জোধপুরের রাজা অভয় সিংহের পাঠানো রাজকাঠুরিয়াদের অরণ্য নিধন ঠেকাতে সচেষ্ট হওয়ায় অমৃতা দেবী বেনিওয়ান নামক এক মহিলা ও সঙ্গী ৩৬৩ জন গ্রামবাসীকে প্রাণ দিতে হয়। তাই এই দিনটিকে অরণ্য শহিদ দিবস হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন-সহ রাজ্যের অনেক মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়কের যাওয়ার কথা ছিল। বিধায়ক তথা রাজ্যের তৃণমূল প্রভাবিত কর্মচারী সংগঠনের নেতা মৃগেন মাইতি ছাড়া অন্য কেউ যাননি।

পুরনো খবর:

স্কুলে হাতির হানা
ক্লাসের দেওয়াল ভেঙে মিডডে মিলের কয়েক বস্তা চাল খাওয়ার পর তা ছড়িয়ে নষ্ট করল একটি বুনো হাতি। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গল লাগোয়া ভাটপাড়া-বি চা বাগান এলাকায়। রাতে এলাকায় তিনটি ঘর ভেঙে চাল ও সবজি খায় বুনো মাকনা হাতিটি। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রকি লামা জানান, ক্লাস ফাইভের ঘরে রাখা মিড-ডে মিলের চাল খাবার জন্য দেওয়ালের বড় একটা অংশ ভেঙে দেয় হাতিটি। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চাল খেয়ে হাতিটি রায়মাটাং জঙ্গলের দিকে চলে যায়। ওই ক্লাস ঘরের দেওয়াল যে কোনও সময় ধসে পড়বে। বিষয়টি বন দফতরকে জানানো হয়েছে।

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত সিংহী
খাবারের খোঁজে গির অরণ্য ছেড়ে হঠাৎই একটি সিংহী ঢুকে পড়েছিল আখের ক্ষেতে। বুধবার তার দেহ মেলে। ময়না-তদন্তে দেখা গিয়েছে, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছে সিংহীটি। প্রাথমিক তদন্তে বন দফতরের অফিসারদের ধারণা, ক্ষেতের মালিক ভীমভাই ভগবান জানকান্তই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করে মেরেছেন সিংহীটিকে। জানকান্তকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

মনসাদেবীর আরাধনা
তথ্য ও ছবি: দিলীপ নস্কর।
মনসা পুজোর এক মাস আগে থেকেই শুরু হয়ে যায় হয় বিষধর সাপের খোঁজ। সারা মাস ধরে সাপ ধরার পরে তা পুরে রাখা হয় মাটির হাঁড়িতে। ব্যাঙ ও চুনোমাছ খাইয়ে তাদের যত্ন করা হয়। পুজোর দিন সমস্ত সাপ নিয়ে শোভাযাত্রা বের হয়। পরদিন সেগুলিকে কলার ভেলায় নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢোলাহাটের ১০ নম্বর ঘেরি গ্রামে রীতি মেনে দীর্ঘদিন ধরে এ ভাবেই চলে আসছে মনসাদেবীর আরাধনা। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, সাপ ধরে মেরে ফেলা নয়, তাকে ফের জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে সচেতনা বাড়াতেই তাঁরা এই কাজ করে আসছেন।

আরশোলা কেন বেঁচে
তাকে মারার জন্য কম চেষ্টা হয়নি। কিন্তু সে বহাল তবিয়তে সব দেশের অসংখ্য গেরস্থ বাড়িতে বহু যুগ কাটিয়ে ফেলেছে। কী ভাবে? আরশোলা নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে এই প্রশ্নটারই জবাব খুঁজছিলেন নর্থ ক্যারোলাইনা আরশোলা মারতে যে সব বিষ ব্যবহার করা হয় তার স্বাদ মিষ্টি হয়। যাতে আরশোলা সেটার প্রতি আকৃষ্ট হয়। ৮০-র দশক থেকে এই রকম বিষ ব্যবহার শুরু হয়। কিন্তু ক্যারোলাইনার গবেষণা বলছে, ওই মিষ্টি বিষ আরশোলা নিধনে তেমন কাজ দিচ্ছে না। কস্তুমাতার বক্তব্য, আসলে ওরা মিষ্টি স্বাদ পাচ্ছেই না।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.