|
|
|
|
|
|
|
|
উইলের বিষয়ে কতকগুলি প্রশ্ন রয়েছে আমার।
ক) উইলের ‘বেনিফিশিয়ারি’ চাইলে কি সম্পত্তি বিক্রি করতে পারবেন?
খ) ‘এগ্জিকিউটর’ মারা গেলে কী হবে?
গ) সম্পত্তির বর্তমান মূল্য নির্ধারণ কে করবেন? যিনি সম্পত্তির মূল্য নির্ধারণ করবেন, তিনি কি সম্পত্তির মূল্য সম্পর্কিত সার্টিফিকেট দেবেন?
তুষার বসু রায়
ক) উইলের ‘বেনিফিশিয়ারি’ চাইলে সম্পত্তি বিক্রি করতে পারবেন। তবে তার আগে ওই ‘বেনিফিশিয়ারি’-কে প্রোবেটের মাধ্যমে সম্পত্তি নিজের হাতে নিতে হবে।
খ) উইলের ‘এগ্জিকিউটর’ মারা গেলে ‘বেনিফিশিয়ারি’-দের উচিত আদালতের শরণাপন্ন হওয়া। আদালত এ ক্ষেত্রে ‘অ্যাডমিনিস্ট্রেটর’ বা পরিচালক নিয়োগ করবেন।
গ) আপনার এই প্রশ্নটি পরিষ্কার নয়। কোন সম্পত্তির বাজার দরের কথা বলছেন? যেমন, জমি-বাড়ি ইত্যাদি কিনতে গেলে, যে-এলাকায় তা কিনবেন, সেই জুরিসডিকশনের রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে নির্দিষ্ট ভাবে আবেদন করলে ওই জমি-বাড়ি বা সম্পত্তির বাজার মূল্য জানা যায় ও ওই সংক্রান্ত সার্টিফিকেটও পাওয়া যায়।
আবার হতে পারে, আপনি কারও কাছ থেকে উইলের মাধ্যমে পেয়েছেন বা পেতে যাচ্ছেন এমন কোনও স্থাবর সম্পত্তির বাজার মূল্য জানতে চান। সে ক্ষেত্রে সেই উইলটি যখন আপনি আদালতে পেশ করবেন, তখন আদালতই ওই স্থাবর সম্পত্তির মূল্য নির্ধারণ করবে। এ জন্য অফিসিয়াল ভ্যালুয়ার বা মূল্যায়নকারী আছেন। তাঁরা সম্পত্তির মোট বাজার মূল্য নির্ধারণ করেন। আর তার জন্য অবশ্যই আদালত নির্ধারিত বা আদালতের নিজস্ব শংসাপত্র পাবেন আপনি।
মিউচুয়াল ফান্ডে দীর্ঘ মেয়াদে এসআইপি পদ্ধতিতে লগ্নি করার পরামর্শ দেন অনেকেই। কিন্তু একটি ব্যাপারে একটু দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছি। ধরা যাক, গত দু’বছর ধরে আমি এসআইপি পদ্ধতিতে ফান্ড ‘এ’-তে লগ্নি করছি। এ বার দেখলাম ফান্ড ‘এ’ ভাল পারফর্ম করছে না ও ক্রিসিল সেটির রেটিং ‘ফাইভ-স্টার’ থেকে ‘থ্রি-স্টার’-এ নামিয়ে এনেছে। অন্য দিকে, এখন ফান্ড ‘বি’ খুব ভাল পারফর্ম করছে। কিন্তু আমি ফান্ড ‘বি’-তে বাড়তি কোনও টাকা লগ্নি করতে চাই না। আমার প্রশ্ন হল
১) সে ক্ষেত্রে দীর্ঘ মেয়াদি এস আই পি বলতে কি এটাই বোঝায় যে, শুরু যখন করেছি তখন, ফান্ড ‘এ’ ভাল পারফর্ম না-করলেও ৩-৫ বছর ধরে তাতেই লগ্নি চালিয়ে যেতে হবে?
২) ‘এ’-র লগ্নি বন্ধ করে কি ‘বি’-তে শুরু করতে পারব? তা হলে ‘এ’-র দীর্ঘমেয়াদি চরিত্র রক্ষা হবে কী করে?
৩) না কি, ‘এ’ বিক্রি করে পুরো টাকাটা ‘বি’-তে এসআইপি করব?
রাহুল বসাক
বড়সড় সম্পত্তি তৈরি করতে চাইলে দীর্ঘমেয়াদে এসআইপি পদ্ধতিতে সঞ্চয় করা খুব জরুরি। তবে সেই সঙ্গে এটাও মনে রাখবেন, রিটার্ন যে ভাল হবেই, সেই গ্যারান্টি কিন্তু এসআইপি লগ্নি কখনওই দেয় না।
যাই হোক, আপনি মনে করছেন ‘এ’ ফান্ড ভাল পারফর্ম করতে পারছে না। সে ক্ষেত্রে এসআইপি-টি বন্ধ করবেন, না কি চালিয়ে যাবেন, সেটা সম্পূর্ণ ভাবে আপনার নিজস্ব সিদ্ধান্ত। অর্থাৎ শুরু করেছেন বলেই যে সেটি ৩-৫ বছর ধরে অনিচ্ছাকৃত ভাবে টেনে যেতে হবে, তেমন কোনও বাধ্যবাধকতা কিন্তু এ ক্ষেত্রে নেই।
চাইলে আপনি ‘বি’ ফান্ডে লগ্নি স্থানান্তরিতও করতে পারেন। তবে তার মানে হল, আগের ফান্ডের এসআইপি-টি আপনি বন্ধ করে দিলেন।
তবে একটা কথা মাথায় রাখা ভাল, দীর্ঘ মেয়াদে সম্পদ তৈরির জন্য যে এসআইপি শুরু করেছেন, তার ভাল-মন্দ বিচারের জন্য দু’বছর কিন্তু কোনও সময়ই না। মাত্র দু’বছরেই যদি ফান্ডের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলেন, তা হলে লগ্নির আসল উদ্দেশ্যটাই মার খেতে পারে। কারণ স্বল্প মেয়াদে ফান্ড ভাল রিটার্ন না-ও দিতে পারে, এই আশঙ্কা থেকেই তো দীর্ঘ মেয়াদে এসআইপি করার কথা বলা হয়।
যে-কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর খুঁজুন
ক) লগ্নির লক্ষ্য কী?
খ) কত দিনের মধ্যে লক্ষ্যে পৌঁছতে চান?
গ) কত দিন ধৈর্য ধরে লগ্নি করতে পারবেন?
ঘ) ঝুঁকি কতটা নিতে পারবেন?
আর এই প্রশ্নগুলির জবাবের উপর নির্ভর করেই কত বছরের জন্য কোথায় টাকা ঢালবেন তা স্থির করুন।
|
(আইনি পরামর্শ জয়ন্ত
নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়) (পরামর্শদাতা: উইশলিস্ট ক্যাপিটাল অ্যাডভাইজর্সের ডিরেক্টর নীলাঞ্জন দে) |
|
|
|
|
|
|