আর মাত্র মাস খানেক বাকি। দুর্গা পুজোর জন্য মণ্ডপ তৈরির কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু লাখ খানেক টাকা অগ্রিম নিয়ে মণ্ডপ তৈরির কাজে নিযুক্ত ডেকোরেটর হঠাৎ বেপাত্তা হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন দুবরাজপুরের তিনটি দুর্গাপুজো কমিটি।
পথিকৃৎ পুজো কমিটির সম্পাদক অজিত সিংহ বলেন, “নদিয়ার নবদ্বীপ থেকে আসা তারা মা ডেকোরেটরের মালিক পরিচয় দিয়ে একজন আমাদের মণ্ডপ তৈরির কাজে হাত দিয়েছিলেন। বাঁশের কাজ শুরু করেছিলেন সুনীল মণ্ডল নামে ওই ব্যক্তি মনোনীত নবদ্বীপের জনা পাঁচেক কারিগর। কিন্তু কাউকে কিছু না বলে হঠাৎ তাঁরা বেপাত্তা। খোঁজ নেই মালিকেরও। আমাদের কাছ থেকে প্রায় ৬০ হাজার টাকা অগ্রীম নিয়েছেন। এখন কী করব বুঝতে পারছি না।” |
মাঝ পথে চম্পট দিয়েছে মণ্ডপ কারিগররা।—নিজস্ব চিত্র। |
দুবরাজপুর স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন ও দুবরাজপুর ডাকবাংলো পুজো কমিটির কাছ থেকেও প্রায় ২০ হাজার টাকা নিয়ে একটিও খুঁটি পোঁতেনি তাঁরা। অবার অন্য কোনও মণ্ডপ তৈরির লোকজনের সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারেননি ওই দুই পুজো কমিটি।
প্রায় ২০ হাজার টাকা অগ্রিম দিয়ে এখন হাত কামড়াচ্ছেন অগ্রদূত কালীপুজো কমিটির সম্পাদক মানিক মুখোপাধ্যায়ও। মানিকবাবু বলেন, “গত বার যে মণ্ডপ আমাদের হয়েছিল, সেটা নবদ্বীপের এক ডেকোরেটরই করেছিলেন। সেই সময় ওই মালিকের ম্যানেজার ছিলেন সুনীলবাবুই। তাঁর হাত দিয়েই টাকা পয়সা আমরা দিয়েছিলাম মণ্ডপ মালিককে। কিন্তু গত বছর ওঁর মৃত্যুর পরে সুনীলবাবু আমাদের জানান, এখন সমস্ত কিছুই তিনি কিনে নিয়েছেন। বলেছিলেন, তাঁকে দিয়ে আমাদের মণ্ডপ ছাড়াও দু’ একটি দুর্গাপুজোর মণ্ডপ তৈরি করাতে পারলে ভাল হয়। কিন্তু এভাবে প্রতারিত হব ভাবতে পারিনি।” |