সারদা মামলায় নালিশের তরজা
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
কলকাতা হাইকোর্ট একটি বিশেষ কোর্ট গঠন করে সারদা কাণ্ডের মামলাগুলির নিষ্পত্তি করার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল মে মাসে। সরকার পক্ষ সেই নির্দেশ অমান্য করে বিচারের কাজ পিছিয়ে দিচ্ছে বলে মঙ্গলবার বিধাননগর এসিজেএম আদালতে অভিযোগ করেন সারদা কাণ্ডে এক অভিযুক্তের আইনজীবী। সরকার পক্ষের পাল্টা অভিযোগ, অভিযুক্তদের আইনজীবীরাই নানা অছিলায় বিচার পিছিয়ে দিতে চাইছেন। হাইকোর্টের নির্দেশেরও ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে ১০ দিনের মধ্যে বিশেষ কোর্ট গঠন সংক্রান্ত নির্দেশের ব্যাপারে সরকারের বক্তব্য জানতে চেয়েছে এসিজেএম আদালত। ২১ সেপ্টেম্বর ফের শুনানি হবে।
|
বৈঠকে শোভনদেবকে চান মমতা
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
দলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র অন্তর্দ্বন্দ্বে এ বার হস্তক্ষেপ করলেন তৃণমূলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চটকলের বিভিন্ন দাবিদাওয়ার বিষয়ে গত সপ্তাহে শ্রম কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে বিরোধ বাঁধে আইএনটিটিইউসি নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ও সংগঠনের রাজ্য সভানেত্রী দোলা সেনের অনুগামীদের মধ্যে। সেই বিরোধ প্রকাশ্যে আসায় তা মেটানোর জন্য সোমবার শোভনদেববাবুর সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী শুক্রবার চটকল সংক্রান্ত ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানোর নির্দেশ মঙ্গলবার মমতা দিয়েছেন বলে শোভনদেববাবু দাবি করেছেন। তাঁর কথায়, “এ দিন মুখ্যমন্ত্রী ফোনে আমাকে বলেছেন, ওই বৈঠকে আপনি থাকবেন।” শোভনদেববাবু সন্তুষ্ট। তিনি বলেন, “আমার ন্যায্য অধিকারটা এতদিন ক্ষুণ্ণ হচ্ছিল।”
|
ওয়াকফ সম্পত্তি থেকে ভাতার দাবি ইমামদের |
রাজ্যে বিভিন্ন ওয়াকফ সম্পত্তির আয় থেকেই ইমাম-মুয়েজ্জিনদের ভাতা দেওয়ার ব্যবস্থা করুক সরকার। মঙ্গলবার রানি রাসমণি রোডে সমাবেশ করে ইমাম-মুয়েজ্জিনদের বিভিন্ন সংগঠন এই দাবি জানায়। তাদের অভিযোগ, ওয়াকফ সম্পত্তির বেআইনি হস্তান্তর রুখতে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তাঁর সরকারের দু’বছরেও তা হয়নি। সমাবেশে দাবি করা হয়, রাজ্যে ২৯ হাজার ওয়াকফ সম্পত্তি রয়েছে। বাজারদরে ভাড়া পেলে সেখান থেকে ওয়াকফ বোর্ডের মাসে ৮০০ কোটি টাকা আয় হওয়ার কথা। সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, “ইমাম-মুয়েজ্জিনদের ভাতা দেওয়ার ব্যাপারে সরকারকে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে। ভাতার জন্য তাঁদের যাতে রাজনৈতিক নেতাদের মুখাপেক্ষী হতে না-হয়, তা দেখতে হবে।” ইত্তেহাদুল আয়েম্মার সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুল্লার দাবি, “বর্তমান সরকারকে ক্ষমতায় আনতে ইমামেরা বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন। এখন ইমাম-মুয়েজ্জিনদের ব্যাপারে স্পষ্ট সিদ্ধান্ত না-নিলে কিংবা মুসলিমদের সার্বিক উন্নয়নে উদাসীন থাকলে আগের সরকারের মতোই অবস্থা হবে এই সরকারের।” তবে ইমাম-মুয়েজ্জিনদের ভাতা চালু করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দেন তিনি। ইত্তেহাদুল আয়েম্মা-সহ অন্যান্য সংগঠনের বক্তারাও ভাতার বিষয়টি স্পষ্ট করার দাবি জানান।
পুরনো খবর: রায় নিয়ে দু’ভাগ, তবু ইমামরা চান ভাতা থাক |