বাসে আর দোকানে প্লাস্টিকের মুদ্রা, কুপন কেন, ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট
খুচরোর আকাল। তাই বাসকর্মীদের অনেকে যাত্রীদের এবং অনেক দোকানদার ক্রেতাদের কাগজের কুপন বা প্লাস্টিকের মুদ্রা ফেরত দিচ্ছেন। বেশ কিছু দিন ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এই রেওয়াজ চলছে। মঙ্গলবার এই নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্র এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ।
প্রধান বিচারপতি অরুণ মিশ্র বলেন, “এটা কেউ করতে পারে না। কী করে চলছে এ-সব!” তার পরেই ডিভিশন বেঞ্চ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারের কাছে এ ব্যাপারে কৈফিয়ত তলব করে। ১৫ দিনের মধ্যে হলফনামা পেশ করে এই কৈফিয়ত দিতে হবে।
এক শ্রেণির বাস-মালিক এবং দোকানদারের তৈরি এই বিকল্প ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সম্প্রতি হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থের মামলা হয়। এ দিন শুনানিতে আইনজীবী রাজীব সরকার বলেন, “বাস-মালিকরা প্রথমে কাগজের কুপন চালু করেছিলেন। এখন তাঁরা পাঁচ ও তিন টাকার প্লাস্টিকের মুদ্রাও তৈরি করে ফেলেছেন!” তিনি জানান, যাত্রীদের খুচরোর বদলে ওই প্লাস্টিকের মুদ্রা দেওয়া হচ্ছে। জেলাতেও একই ব্যবস্থা চলছে। রাজীববাবু কলকাতার কয়েকটি দোকানের নাম উল্লেখ করে বলেন, “ওই সব দোকানেও প্লাস্টিকের মুদ্রা চালু করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় এই ব্যবস্থা ছড়িয়ে পড়ছে। একটা বিকল্প অর্থনীতি গড়ে উঠছে। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ছাড়া অন্য কোনও সংস্থা বা ব্যক্তি বিকল্প মুদ্রা চালু করতে পারেন না।”
আবেদনকারীদের অভিযোগ শুনে আদালত জানায়, এই ধরনের একটা বিকল্প ব্যবস্থা চলছে। অথচ রাজ্য, কেন্দ্র বা রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কারও কোনও নজরদারি নেই। এটা বিস্ময়কর! এর পরেই ডিভিশন বেঞ্চ কেন্দ্র, রাজ্য এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে বিষয়টি নিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে হলফনামা পেশ করতে বলে।
হাইকোর্টের এই পর্যবেক্ষণ ও মন্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র। তিনি বলেন, “আমি প্রথম থেকেই বলে আসছিলাম, এটা পুরোপুরি বেআইনি। কিছু অসাধু লোক জোর করে কুপন বা প্লাস্টিকের মুদ্রা যাত্রীদের ধরিয়ে দিচ্ছেন। আদালতের নির্দেশ শোনার পরে আমরা এর বিরুদ্ধে জোরদার অভিযান চালাব।” বাস-মালিক সংগঠন জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটসের নেতা তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানান, সংগঠনগত ভাবে তাঁরা কখনওই এই কাজ সমর্থন করেননি। তিনি বলেন, “আমরা প্রথম থেকেই বলে দিয়েছিলাম, এমন এ কাজের কোনও দায়িত্ব নেব না। খুচরোর আকাল চলছে বলেই কেউ কেউ এই পদ্ধতি নিয়েছেন। খুচরো-সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ করার জন্য রাজ্যকে বারবার অনুরোধ করেছি। সমস্যা মেটেনি।”

পুরনো খবর:



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.