আট ঘণ্টা ধরে যানজট ফরাক্কা ব্যারাজ সেতুতে |
দু’টি লরির মুখোমুখি সংঘর্ষের জেরে আট ঘণ্টা ধরে ফরাক্কা ব্যারাজ সেতুতে চরম যানজট তৈরি হয়। দীঘর্ক্ষণ ধরে অ্যাম্বুল্যান্স, সরকারি-বেসরকারি বাস সেতুর দু’ধারে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। যাত্রীরা সেতুর যান নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে থাকা সিআইএসএফের ভূমিকায় উষ্মা প্রকাশ করেন। মঙ্গলবার ভোর তিনটে নাগাদ সেতুর ৮২ নম্বর গেটে মালদহের দিন থেকে আসা একটি বড় লরির সঙ্গে বিপরীত দিকের একটি লরির সংঘর্ষ হয়। দু’টি গাড়িরই গতি কম থাকায় কোনও প্রাণহানি ঘটেনি। কেবল এক লরি চালক সামান্য জখম হয়েছেন। যাত্রীদের অভিযোগ, ঘটনার পাঁচ ঘণ্টা পর সকাল আটটা নাগাদ ক্রেন আনা হয় লরি দু’টিকে সরানোর জন্য। ততক্ষণে সেতুর দু’দিকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার জুড়ে গাড়ির লাইন পড়ে যায়। দু’টি লরি সরাতে এত সময় লাগল কেন? সিআইএসএফ-এর এক কমান্ডার বলেন, “অনেক রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটে। তাই ফরাক্কা ব্যারেজ থেকে ক্রেন পেতে দেরি হয়।” সিআইএসএফ সূত্রের খবর, ২.৬২ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই সেতুর হাল খারাপ। ব্রিজের বেশিরভাগ জায়গায় পিচের আস্তরণ উঠে গিয়ে গর্ত তৈরি হয়েছে। ওই এবড়ো-খেবড়ো রাস্তার জন্যই দুর্ঘটনা ঘটে। ফরাক্কার বিডিও সুব্রত চক্রবর্তী বলেন, “ব্রিজের দেখভালের দায়িত্ব সিআইএসএফের।”
|
তৃণমূল প্রার্থীকে একঘরে করার ফতোয়া, অভিযুক্ত সিপিএম |
তৃণমূলের পরাজিত এক প্রার্থীর পরিবারকে গ্রামে একঘরে করে দেওয়ার ফতোয়া দিল সিপিএম। ওই প্রার্থীর দাবি অন্তত এমনটাই। হরনগর গ্রামের রমা মণ্ডল ভান্ডারখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রার্থী হয়েছিলেন। তিনি সিপিএম প্রার্থী পুতুল বিশ্বাসের কাছে হারেন। রমাদেবীর অভিযোগ, “১৪ অগস্ট বিজয় মিছল বের করে সিপিএম। মিছিলের কয়েকজন আমার পরিবারের লোকজনকে মারধরের পাশাপাশি আমাকে শ্লীলতাহানি করে। অভিযোগ জানাতেই সিপিএম নেতারা আমার পরিবারকে একঘরে করে দেওয়ার ফতোয়া দেয়।” রমাদেবীর স্বামী অমরেশ মণ্ডলের বক্তব্য, ‘‘সিপিএম আমাদের একঘরে করে দেওয়ার কথা বলে। কোনও দোকানদার জিনিস বিক্রি করছে না।” অমরেশবাবুর বাড়ি সংলগ্ন দোকানদাররা জানাচ্ছেন, সিপিএম তাঁদের এমন নির্দেশ দেয়নি। ভাণ্ডারখোলা পঞ্চায়েতের প্রধান সিপিএমের মন্টু হালদার বলেন, “আমরা এ রকম কোনও নির্দেশ দিইনি।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত বলেন, “এই ঘটনায় সিপিএমের চরিত্র প্রকাশ পেল।”
|
মাদক কারবারে অভিযুক্তের সাজা |
হেরোইন কারবারের সঙ্গে জড়িত ওড়িশার বাসিন্দা আজাদ পারভেজের ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড হয়েছে। জেলার বিশেষ আদালতের বিচারক অসিতকুমার দে মঙ্গলবার ওই সাজা দেন। সরকারি আইনজীবী কাঞ্চনলাল মুখোপাধ্যায় বলেন, “এনডিপিএস আইনের তিনটি ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ওই ব্যক্তির সাজা ঘোষণা করেন বিচারক। সঙ্গে তিন লক্ষ টাকা জরিমানাও করেন। অনাদায়ে অতিরিক্ত তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে তাকে।” ১৯৮৬ সালে মহম্মদ লতিফ ও আমজাদ আলি নামে হেরোইন পাচারকারী দু’জনকে গ্রেফতার করে নার্কোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো। ৫০০ গ্রাম হেরোইনও উদ্ধার হয়। জেরায় জানা যায়, ওড়িশার বালাসরের বাসিন্দা আজাদ পারভেজ তাদেরকে ওই হেরোইন পাচারের ভার দেয়। সেই মত নার্কোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো ওড়িশার বাড়িতে হানা দিয়ে আজাদ পারভেজকে গ্রেফতার করে। কিন্তু শৌচালয় যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। ওই ঘটনার দশ বছর পরে কলকাতা থেকে তাকে ফের গ্রেফতার করা হয়।
|
বন্যার্তদের কাছে পৌঁছল ত্রাণ |
নির্মলচরের বন্যার্তদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিল রানিতলা থানার পুলিশ কর্মীরা। নৌকা ভাড়া করে মঙ্গলবার সকাল থেকে রানিতলা থানার নির্মলচর, মহিষমারি, পাইকমারি, চরমনসুরপুর, জাজিরার মত বানভাসি এলাকা ঘুরে বন্যার্তদের ত্রাণ হিসেবে শুকনো খাবার তুলে দেন ওই পুলিশ কর্মীরা। রানিতলা থানার ওসি বিপ্লব কর্মকার বলেন, “বন্যার্তদের মধ্যে ২০ কুইন্ট্যাল চাল, ১২ কুইন্ট্যাল চিঁড়ে, ২০ টিন গুড়, ১০ কুইন্ট্যাল আলু বিতরণ করা হয়েছে।”
|