নালিশ শুনলেন প্রতিনিধিরা
রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের
শুনানি কোচবিহার সার্কিট হাউসে
বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা ঢুকে বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে বলে রাজ্য মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ করলেন ভারতীয় ছিটমহল বাঁশকাটার বাসিন্দা বলরাম বর্মন। সোমবার কোচবিহার সার্কিট হাউসে রাজ্য মানবধিকার কমিশনের শুনানিতে অংশ নিয়ে ওই অভিযোগ করেন তিনি। কমিশনের চেয়ারম্যান অশোক গঙ্গোপাধ্যায় এবং নারায়ণচন্দ্র শীলের কাছে বলরামবাবু-সহ একদল ছিটের বাসিন্দা অভিযোগ করেন, সমস্ত রকম মৌলিক অধিকার থেকে তাঁরা বঞ্চিত। বলরামবাবু এদিন বলেন, “চোখের সামনে বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে প্রাণ বাঁচিয়ে জমি-ভিটে ছেড়ে এ পারে আশ্রয় নিয়েছি। দিনমজুরি করে সংসার চালাই। না রয়েছে ভোটাধিকার, না আছে রেশন কার্ড। এই অবস্থার হাত থেকে আমরা রেহাই চাই।”
দুই বিচারপতি মন দিয়ে সব কিছু শোনেন। বিষয়টি দুটি দেশের হওয়ায় তাঁরা অভিযোগ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। শুধু বলরামবাবুই নন, ভারতীয় ছিটমহল ঐক্য পরিষদ ও ছিটমহল পিপলস কমিটির যৌথমঞ্চের দাবি, বাঁশকাটা, শালবাড়ি, নটকটকা সহ একাধিক ভারতীয় ছিটে নিত্যদিন বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের হামলা হচ্ছে। কয়েকশো বাসিন্দা কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলার নানা অংশে আশ্রয় নিয়েছেন। সংগঠন উপদেষ্টা দেবব্রত চাকি বলেন, “বহু বছর ধরে আন্দোলন করছি। এ বার মানবিধিকার কমিশনেও সব জানালাম।” মানবিধিকার কমিশনের রেজিস্ট্রার রবীন্দ্রনাথ সামন্ত জানান, এ দিন মানধিকার কমিশনে মোট ১১টি অভিযোগ জমা পড়ে। ১১ জনের সঙ্গেই কথা বলেন দুই বিচারপতি। এর মধ্যে ৫টি মামলা বাতিল করে দেওয়া হয়। প্রাক্তন বিচারপতি নারায়ণচন্দ্র শীল বলেন, “অনেকেই মানবাধিকার বিষয়টি নিয়ে ওয়াকিবহাল নন। তাঁদের কাছে পৌঁছতেই রাজ্যের সমস্ত জেলায় আমরা যাব। অনেকেই কমিশনে অভিযোগ পাঠিয়ে অপেক্ষায় বসে থাকেন। এবারে হাতে হাতে অভিযোগ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।” আজ, মঙ্গলবারও কোচবিহারে ফের তাঁরা জন শুনানিতে বসবেন। পাহাড়ে বন্ধ প্রসঙ্গে অশোকবাবু বলেন, “আমরা রাজনৈতিক বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। বর্তমান অবস্থায় এই দফায় পাহাড়ে জনশুনানি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।”





First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.