|
|
|
|
প্রেমের টানে বাড়ি ছাড়ল নবমের ছাত্রী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়গঞ্জ |
পরিবারের সদস্যরা ‘ইচ্ছের বিরুদ্ধে’ বিয়ে ঠিক করায় রবিবার রাতে বাড়ি ছেড়ে ‘প্রেমিক’ প্রতিবন্ধী এক যুবকের বাড়িতে আশ্রয় নেয় হেমতাবাদের নবম শ্রেণির এক ছাত্রী। খবর পেয়ে সোমবার সকালে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে রায়গঞ্জের হোমে পাঠিয়ে দেন উত্তর দিনাজপুরের শিশু কল্যাণ সমিতির সদস্যরা। ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের থেকেও ভবিষ্যতে নাবালিকা মেয়ের বিয়ের চেষ্টা করবেন না বলে মুচলেকা লিখিয়ে নিয়েছেন সমিতির সদস্যরা। তবে ওই নাবালিকা বাড়িতে ফিরতে না চাওয়ায় তাকে হোমেই রেখে দেওয়া হয়েছে। ওই নাবালিকার দাবি, সে মূক ও বধির ওই যুবককে ভালবাসে। তাঁকেই বিয়ে করতে চায়। বাড়িতে গেলে তাকে জোর করে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হবে বলে তার দাবি।
শিশু কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সুনীলকুমার ভৌমিক বলেন, “ওই নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা ভুল স্বীকার করে মুচলেকায় জানিয়েছেন ১৮ বছর হওয়ার আগে ওই নাবালিকার বিয়ে দেবেন না। কিন্তু নাবালিকাটি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ফিরতে রাজি না হওয়ায় তাকে হোমেই রাখা হয়েছে।” হেমতাবাদের চৈনগরের বাসিন্দা নাবালিকা স্থানীয় হাইস্কুলের ছাত্রী। পাঁচ বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে সেই ছোট। বাবা পেশায় ভ্যানচালক। এক মাস আগে এক প্রতিবেশীর সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক হয়। কয়েক দিনের মধ্যেই বিয়ের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হওয়ার কথা ছিল। পুলিশ সূত্রের খবর, গত বৃহস্পতিবার ওই নাবালিকাকে বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়। এর পরই রবিবার পালিয়ে গিয়ে ‘প্রেমিক’ মূক ও বধির এক যুবকের বাড়িতে আশ্রয় নেয় সে। তারা গোপনে বিয়ে করার সিদ্ধান্তও নেয় বলে নাবালিকার দাবি। তবে তার আগেই সমিতির সদস্যরা গিয়ে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে। এ দিন নবম শ্রেণির ওই ছাত্রী বলেন, “এক মূক ও বধির যুবককে ভালবাসি বলে বাড়ির লোকেরা অন্যত্র বিয়ে ঠিক করেছিল। তাই পালিয়ে আসি। বাড়ি ফিরে যাব না, তাহলে আবার বিয়ের চেষ্টা হবে। হোমেই থাকব।”
ওই নাবালিকার মা এ দিন বলেন, “নাবালিকা মেয়ের বিয়ে যে বেআইনি তা আমাদের জানা ছিল না। তা ছাড়া ইচ্ছের বিরুদ্ধে মেয়ের বিয়ে ঠিক করে আমরা ভুল করেছি। আমরা কোনও প্রলোভনে পা দিয়ে মেয়ের বিয়ে ঠিক করিনি।” নাবালিকার ‘প্রেমিক’ ওই প্রতিবন্ধী যুবকের বাবা এ দিন অবশ্য বলেছেন, “ছেলের বিয়ে করা নিয়ে আমাদের কোনও আপত্তি নেই।” |
|
|
|
|
|