|
|
|
|
ভিন্ রাজ্যে যাওয়া রুখতে উদ্যোগী নতুন সভাধিপতি |
একশো দিনে অগ্রাধিকার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কোচবিহার |
উন্নয়নের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের কাজের খোঁজে ভিন্ রাজ্যে যাওয়ার প্রবণতা ঠেকানোর কাজে অগ্রাধিকার দিতে চান কোচবিহার জেলা পরিষদের নয়া সভাধিপতি পুষ্পিতা ডাকুয়া। সোমবার কোচবিহার জেলা পরিষদের নতুন সভাধিপতি হিসাবে তিনি দায়িত্ব নেন। সহকারী সভাধিপতি হিসাবে দায়িত্ব বুঝে নেন ললিত প্রামাণিক। জেলা পরিষদের সভাকক্ষে প্রশাসনের তরফে নবনির্বাচিত ৩৩ জন সদস্যকে শপথ বাক্য পাঠ করা জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন আধিকারিক সুপ্রিয় দাস। সভাধিপতি পুষ্পিতা দেবী এই দিন বলেন, “কোচবিহারে বিভিন্ন সমস্যা রয়েছে। তার মধ্যে শিক্ষা স্বাস্থ্যের উন্নয়নে বাড়তি জোর দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে কাজের খোঁজে বাসিন্দাদের অন্য রাজ্যে যাওয়ার প্রবণতা আটকাতে পদক্ষেপ করার বিষয়টিও অগ্রাধিকারের তালিকায় থাকছে।” পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহারের ৩ লক্ষ মানুষ বিহার, গুজরাত, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান-সহ বিভিন্ন রাজ্যে প্রতি বছর কাজ করতে যান। দায়িত্ব গ্রহণের পরে ওই সমস্যা রুখতে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা নিয়ে আধিকারিকদের সঙ্গে একপ্রস্ত আলোচনা করেন সভাধিপতি। তাতে জেলায় ক্ষুদ্র ও কৃষি ভিত্তিক শিল্প স্থাপনের সম্ভবনার বিষয়গুলি উঠে আসে। সভাধিপতি বলেন, “ভিন্ রাজ্যে যাওয়া আটকাতে কর্মসংস্থান বাড়ানোর চেষ্টা হবে। ক্ষুদ্র ও কৃষি ভিত্তিক শিল্প স্থাপনে উৎসাহ দেওয়া হবে। একশো দিনের কাজের গড় দিন সংখ্যা বাড়ানো হবে। ১০০ দিনই কাজের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হবে।” |
|
দায়িত্ব নেওয়ার পরে সভাধিপতিকে সংবর্ধনা দিচ্ছেন বনমন্ত্রী।— নিজস্ব চিত্র। |
নদী ভাঙন, গ্রামীণ বিদ্যুৎ, সেচ পরিকাঠামোর উন্নয়ন, সমাজভিত্তিক বনসৃজন প্রকল্পের মত একাধিক কাজে জোর দেওয়া হবে বলে পুষ্পিতা দেবী জানিয়েছেন। বাম আমলের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের দুর্নীতির অভিযোগের প্রসঙ্গে তিনি এ দিন বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনেই ওই ব্যাপারে পদক্ষেপ করা হবে।” নয়া সহকারী সভাধিপতি ললিত প্রামাণিক বলেন, “উন্নয়নের গতিও মন্থর হয়ে পড়েছিল। পর্যায়ক্রমে সব সমস্যার সমাধান করে উন্নয়নের জোয়ার আনায় খামতি রাখা হবে না।”
বোর্ড গঠন ঘিরে জেলা পরিষদে এ দিন তৃণমূল নেতা ও কর্মী সমর্থকদের ভিড় উপচে পড়ে। নবনির্বাচিত সদস্যরা তো বটেই দফতরের আধিকারিকরাও সভাকক্ষে পৌঁছাতে ভোগান্তির মুখে পড়েন বলে অভিযোগ। ভিড় হঠানো নিয়ে তৃণমূল জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে কয়েকজন পদস্থ নেতানেত্রীকে ‘বকাঝকা’ করতেও দেখা গিয়েছে। রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “৩৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম কোচবিহার জেলা পরিষদে তৃণমূল দায়িত্ব পেল। মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করে সমস্যার সমাধান করার লক্ষ্যে কাজ করা হবে।”
দায়িত্ব গ্রহণের পর তৃণমূল জেলা সভাপতি ছাড়া প্রদেশ তৃণমূল সম্পাদক আব্দুল জলিল আহমেদ, বনমন্ত্রী হিতেন বর্মন, পুর চেয়ারম্যান বীরেন কুণ্ডু নয়া সভাধিপতি ও সহকারী সভাধিপতিকে শুভেচ্ছা জানান। পুষ্পিতা দেবী বলেন, “সকলের সাহায্য নিয়ে কাজ করব।” |
|
|
|
|
|