কলেজে দু’টি ছাত্র সংগঠনের সদস্য-সমর্থকদের মধ্যে মারপিট কেমন চেহারা নিতে পারে, তার সাক্ষী থাকলেন নবাগত পড়ুয়ারা। উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ ইউনিভার্সিটি কলেজে। গত বছর জানুয়ারি মাসে এই কলেজেই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে কলার ধরে টেনে-হিঁচড়ে কলেজ চত্বরে বেধড়ক পেটানো হয়েছিল। ভাঙচুর করে বাধানো হয়েছিল ধুন্ধুমার।
সোমবারও অবশ্য কম গণ্ডগোল হয়নি। নবাগত ছাত্রছাত্রীদের উপরে কর্তৃত্ব কায়েম করা নিয়ে ওই কলেজে ছাত্র পরিষদ ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের (টিএমসিপি) সমর্থকদের সংঘর্ষে দু’পক্ষের ১২ জন জখম হন। তাঁদের মধ্যে পাঁচ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রায়গঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সংঘর্ষের ছবি তুলতে গিয়ে সংবাদমাধ্যমের তিন প্রতিনিধি আক্রান্ত হন। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিকেলে টিএমসিপি-র পক্ষ থেকে পুর-বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এক ঘণ্টা পথ অবরোধ করা হয়। উত্তর দিনাজপুরের পুলিশ সুপার অখিলেশ চতুর্বেদী বলেন, “দু’পক্ষের অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আপাতত কলেজে কয়েকদিন পুলিশ-পাহারা থাকবে।” ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ উত্তম রায় বলেন, “এ রকম ঘটনা ঠেকাতে আমাদের তরফে কী করণীয় তা ঠিক করতে বৈঠকে বসব। বহিরাগতদের কলেজে ঢোকা আটকানো হবে।”
পুলিশ সূত্রের খবর, গত শনিবার রায়গঞ্জের একটি মেলায় ছাত্র পরিষদ ও টিএমসিপি-র সমর্থকদের মধ্যে মারপিট হয়। তা নিয়ে দু’পক্ষই উত্তেজিত ছিল। এ দিন দুপুরে ছাত্র পরিষদ ও টিএমসিপি-র সমর্থকেরা কলেজের গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে নবাগতদের তাঁদের সংগঠনে যোগ দেওয়ার অনুরোধ করছিলেন। সেই সময় বাধে সংঘর্ষ। একে-অন্যকে মাটিতে ফেলে লাথি-ঘুষি মারতে থাকে। চালানো হয় লাঠিসোটাও। |