গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে বনগাঁর বৈরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ভোটে আগেই হেরেছিল তৃণমূল। এ বার স্কুল পরিচালন সমিতির নির্বাচনেও একই কারণে হারল তারা। রবিবার ওই পঞ্চায়েতের বৈরামপুর হাইস্কুলের অভিভাবক প্রতিনিধির নির্বাচনে ৬টি আসনের প্রতিটিই পেয়েছে সিপিএম। আগে অবশ্য ওই কমিটি ছিল তৃণমূলেরই দখলে।
তৃণমূলের একাংশের দাবি, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই হার। স্কুল সূত্রে খবর, ৭৩৫ জনের ভোট দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভোট পড়ে ৬২০টি। তার মধ্যে ৩৬টি ভোট বাতিল হয়।
পঞ্চায়েত ভোটেও ওই পঞ্চায়েতের ২১ টি আসনের মধ্যে এবার সিপিএম পেয়েছে ১২টি, তৃণমূল ৮টি ও নির্দল ১টি। এলাকার তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেতা হায়দার আলি মোল্লা বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটে দলের যারা দলবিরোধী কাজ করেছিল, স্কুল নির্বাচনেও তারা সক্রিয় ছিল। নিজেদের অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে পঞ্চায়েতের পর স্কুল ভোটেও হারলাম আমরা। যারা পঞ্চায়েত ভোটে দল বিরোধী কাজ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থানীয় বনগাঁ দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক তৃণমূলের সুরজিৎ বিশ্বাস ও তৃণমূলের গোপালনগর ব্লক সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের কাছে আবেদন জানিয়েছি।” তবে তৃণমূলের অন্য একাংশের দাবি, এলাকায় হায়দারের নেতৃত্ব মানতে নারাজ অনেকেই। অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ে নিজের ‘কাছের লোকজনকেই’ প্রার্থী করেছিলেন তিনি। ‘যোগ্য’ লোকেরা প্রার্থী হতে পারেননি।
জেলা তৃণমূলের পক্ষে অবশ্য জানানো হয়েছে, দলীয় কোন্দলে যারা যুক্ত থাকবেন, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্কুলভোট প্রসঙ্গে সুরজিৎবাবু বলেন, “স্কুল নির্বাচনে জিততে দল তেমন উদ্যোগী হয়নি।
এ দিনই হাবরার জানাফুল হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির ভোটে ভুয়ো পরিচয় দিয়ে ভোট দিতে আসার অভিযোগে খোকন কাহার নামে এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে ‘সাহায্য করার’ অভিযোগে সিপিএম প্রার্থী শঙ্কর হালদারকেও গ্রেফতার করা হয়। এর প্রতিবাদে একটি মিছিল করে সিপিএম। এর জেরে এ দিন ভোট স্থগিত হয়ে যায়। আগে স্কুলটি সিপিএমের দখলেই ছিল। |