|
|
|
|
বাসস্ট্যান্ডের জমি নিলামে, আন্দোলনে জমিহারারা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
সেন্ট্রাল বাস টার্মিনাস ও কমার্শিয়াল কমপ্লেক্সের জন্য অধিগৃহীত জমি লিজ দিতে চেয়ে নিলাম ডেকেছে হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ। তারই প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দোলনের ডাক দিলেন হলদিয়া শহরের পীতাম্বরচক এলাকার ওই জমিদাতারা। জমিদাতা অশোক প্রধান, গোকুলচন্দ্র বেরা, কৃষ্ণা মাইতিরা বলেন, “সেই সময় আমাদের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়া হবে। দোকানঘরের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে জমিহারা পরিবারদের। এতদিন মুখ বুজে সংসার চালিয়েছি সুদিন আসবে ভেবে। জনস্বার্থে ব্যবহার হবে ভেবে অর্ধেক দামে জমি দিয়েছিলাম। সব দিক দিয়ে আমরা প্রতারিত হয়েছি।” |
|
ভিত্তিপ্রস্তর পড়ে।—নিজস্ব চিত্র। |
১৯৯৯ সালে অধিগ্রহণের নোটিস জারি করার পর প্রায় ৭০ জন চাষির কাছ থেকে পীতাম্বরচক মৌজার ১৯.৮৬ একর কৃষি জমি ১৯৯৯ সালে অধিগ্রহণ করেছিল হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ। ২০০৮ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের তত্কালীন পরিবহণ মন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী ওই জমিতে একটি বাস টার্মিনাস ও শপিং কমপ্লেক্স বানানোর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। কিন্তু কাজ আর এগোয়নি। দীর্ঘ দিন জমিটি পড়ে থাকার পর চলতি বছর ৩০ জুলাই অধিগৃহীত জমির মধ্যে সাড়ে ৪ একর লিজ দিতে নিলাম ডাকা হয়। সাড়া না মেলায় ৪ সেপ্টেম্বর ফের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে। এ দিকে, গত ৭ অগস্ট জমিহারা ১৩ জন পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারীর কাছে লিখিত আবেদন জানান, জনস্বার্থে যখন ব্যবহারই হচ্ছে না, তখন ওই জমি ফেরত দেওয়া হোক। সেই সময়ে পর্ষদের তরফে এই নিয়ে আলোচনার আশ্বাস দেওয়া হলেও তা করা হয়নি বলে তাঁদের অভিযোগ।
কিন্তু জনস্বার্থে নেওয়া জমি কি বাণিজ্যিক ভাবে বিক্রি করা যায়?
পর্ষদের মুখ্য নির্বাহী আধিকারিক পি উলগানাথনের বক্তব্য, “অধিগৃহীত জমির ব্যবহার নিয়ে কিছু নিয়মের সংশোধন হয়েছে। তাই ওই জমি লিজ দেওয়ার ব্যাপারে কোনও আইনি বাধা নেই। ওই জমিতে সরাসরি কিছু গড়ে তোলার মতো আর্থিক সঙ্গতি পর্ষদের নেই। তবুও এলাকাবাসীর দাবি খতিয়ে দেখা হবে।” আর শুভেন্দু বলেন, “হলদিয়া টাউনশিপে এখন যেখানে বাসস্ট্যান্ড আছে সেটিরই আধুনিকীকরণ করার জন্য ২ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছি আমরা। ফলে পীতাম্বরচকে বাসস্ট্যান্ড করার আর প্রয়োজনীয়তা নেই।” |
|
|
|
|
|